চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান দখলে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় দুই কসাই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের আনন্দ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়া নামে দুই কসাইকে গ্রেপ্তার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পৌর এলাকার কাজীপাড়ার তৌহিদ মিয়া আনন্দবাজারে মাংসের ব্যবসা করতো। তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় গত ঈদ-উল আজহার কিছুদিন আগে তৌহিদ মিয়া শহরতলীর বিরাসার গ্রামের সুলতান মিয়ার কাছে তার আনন্দ বাজারের দোকানের দখলটি বিক্রি করে দেন।
এদিকে তৌহিদ মিয়া তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় বিরাসার গ্রামের হোসেন মিয়ার কাছ থেকে তিনশত টাকার অলিখিত জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে দাদনে কিছু টাকা নেয়।
তৌহিদ মিয়া দাদনের টাকা ফেরত দিতে না পারায় হোসেন মিয়া আজ শুক্রবার বেলা ১১টার সময় সুলতান মিয়ার ক্রয় করা দোকানটি দখল করতে যায়। এসময় সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়ায় হোসেন মিয়া ও তার সহযোগীরা সুলতানকে বেধরক মারধোর করে।
খবর পেয়ে সুলতান মিয়ার স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসলে দুইপক্ষ গরু জবাইয়ের ছুরি, টাকশাল নিয়ে মুখোমুখী হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সুলতান মিয়ার ক্রয়কৃত দোকান হোসেন মিয়া দখল করতে গেলে সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭, বিধিমালা-২০১৮, জেন্ডার সমতা ও শিশু বিষয়ক এক ওরিয়েন্টেশন আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এবং বিধিমালা ২০১৮ নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন।
জেন্ডার সমতা, শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) এর সিইএমবি প্রকল্পের বিভাগীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস।
বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ভিকারুন্নেছা, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাংবাদিক জয়দুল হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসপার জেলা সমন্বয়কারী গোলাম ছরওয়ার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে ইমাম ও পুরোহিতদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। জনগনকে সচেতন করতে হবে। আমরা সবাই যদি বাল্য বিয়ে বন্ধে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি সাংবাদিকদেরকে এ ব্যাপারে লেখনীর মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করার আহবান জানান। ওরিয়েন্টেশনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩- (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলার সময় হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ নিহতের ঘটনায় তার খালাতো ভাই নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তানজিল বারী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মালেক চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খোকন আচার্য, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুম্মান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলী আজম, ঠিকাদার হামদু মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা ফারানিসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদি মাওলানা মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলি মাসুদের পেটে বিদ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাতিলের প্রতিবাদে এবং স্বৈরাচার আর স্বৈরশাসনের সাম্প্রদায়িক, গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য অ্যাড.মোহাম্মদ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী,জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাবেক ছাত্র মৈত্রী নেতা ও জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মৈত্রী নেতা মারিয়া,রেশমা, লিসা, রূপম, বসির, তাজিম প্রমুখ।