চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবা বসে না থেকে কাজ করে খেতে বলায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন শান্ত মিয়া (১৮) নামের এক তরুণ।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শান্ত মিয়া পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার পশ্চিম পাড়ার শাহ আলমের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শান্তকে বসে না থেকে কাজ করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলে তার বাবা বকা দেন। এতে শান্ত অভিমান করে ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন। দুদিন চিকিৎসার পর আজ শান্ত মারা যান।
ওসি আসলাম হোসাইন জানান, স্বজনরা থানায় এসেছেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ মে শনিবার বেলা ১১টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। উনি যে কাজই করেছেন সেটা দেশের জন্য মানুষের জন্য। উনি রাজনীতি করতেন না। তবে উনার বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করতো। উনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। ‘
বক্তারা আরো বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। এ পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে তিনিও বেঁচে থাকবেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেশপ্রেমকে অনুসরণ করে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ‘
তাঁর সহধর্মিণী শিরিন হক বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাধারণ মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। এটাকেই তিনি জীবনের বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছন। তিনি সব সময়ই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতেন। ‘
সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শামীমা সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাফরুল্লাহ’র সহধর্মিণী নারী নেত্রী শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. মুস্তফা মজিদ, অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, তৈমুর রেজা শাহজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাথী চৌধুরী, ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬ জন। সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছে রোগী ও স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। ছেলেকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা সেলাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরেক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী। চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই। বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু’একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু আজ শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিনভাগের দুইভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতিবছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে। এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কৃষকলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ ১ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী “জাতীয় শোক দিবস” উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সকাল ১০টায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোকন কান্তি আচার্য্য, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মাসুকুল কবির সহ ডাঃ মোঃ অলিউর রহমান, মোঃ আলাউদ্দিন, আবুল বাছের চৌধুরী, এহসানুল হক, আঞ্জুআরা বেগম প্রমুখসহ জেলা ও শহর কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তাঁর সহধর্মিনী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে পৌর শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পাওয়ার হাউজ রোডের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে পৌছলে সেখানে মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সমাবেশ সভা করে তারা।
জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও শফিকুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছে। এই রায় আমরা মানি না। সরকারকে এই অন্যায় সাজা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন বলেন, প্রশাসন দিয়ে গুম করে বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না, দূর্বল করতে পারবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে ভোট না দিতে দিয়ে সরকার গঠন করেছে। এখন আবার মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে এভাবে নির্মুল করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ ২৯ জুলাই শনিবার সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার সিন্দুউড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা। ঘটনার পর থেকে আক্রান্ত গোষ্ঠীর পুরুষেরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে কালিসীমা খেলার মাঠে ফুটবল খেলা হয়। এসময় সিন্দুউড়া গ্রামের উম্মত আলী গোষ্ঠীর সোহেল মিয়ার ছেলে মুস্তাকিমের সঙ্গে একই গ্রামের কিমুদ্দি গোষ্ঠীর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লার বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এর জের ধরে রাতে যুবলীগ নেতা আলী আজমের নির্দেশে ৪০/৫০ জনের একটি দাঙ্গাবাজ বাহিনী দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উম্মত আলী গোষ্ঠীর সাবেক মেম্বার কুদ্দুস মিয়া, সোহেল মিয়াসহ ওই গোষ্ঠীর অন্তত ১৫টি ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তারা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, গবাদি পশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই গোষ্ঠীর পুরুষরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম জানান, হামলার বিষয়টি মিথ্যা। বরং ওই গোষ্ঠীর লোকজন আমার ভাইসহ ৫ জনের ওপর হামলা করে তাদের গুরুতর আহত করেছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস.আই আব্দুস সবুর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।