চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলা ৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত হারুনুর রশিদ (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। হারুন জেলা শহরের শেরপুরের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ বিরুদ্ধে থানায় ইয়াবাসহ গ্রেফতারের মামলা ছিল। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আদালত ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ডের রায় দেন। রায়ের পর দীর্ঘ ৯ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সদর উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে সদর উপজেলার ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় সচেতনতামূলক অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সের মেডিকেল অফিসার ডঃ মোহাম্মদ ইসমাইল ভূঁইয়া, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা ও আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু জামাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সচেতন ও সর্তক হতে হবে। সচেতনতা ও সর্তকতাই পারবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে। তিনি বলেন, বাড়িতে কোন জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। যদি কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন সাথে সাথে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, বুধবার একযোগে উপজেলার উপজেলার ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় সচেতনতামূলক অভিভাবক সমাবেশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে প্রায় দুই শতাধিক অভিভাবক অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
“সেবার ব্রতে চাকরি” এই শ্লোগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ৭১ জন চাকরি প্রত্যাশী। অনলাইনে জনপ্রতি মাত্র ১০৫ টাকা খরচ করে (আবেদন খরচ) তারা চাকরি পেয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৭১জনের নাম ঘোষনা করেন।
৭১ জনের মধ্যে ৬০ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে। পরে পুলিশ সুপার সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম ফুল দিয়ে চাকুরি পাওয়াদের বরণ করে নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ১ হাজার ৭৩৮ জন আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি স্কিনিং শেষে ১২৩৮ জন প্রার্থীর শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ শেষে ৪৬৩ জন চাকরি প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে ৪৬১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৮৯ জন মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ন হন। ২৮৯ জন চাকরি প্রত্যাশী মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৭১জনকে চুড়ান্তভাবে মনোনীত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা টিআরসি-২০২৪ নিয়োগ বোর্ড। ৭১ জনের মধ্যে ৬০জন ছেলে ও ১১ জন মেয়ে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম বলেন, সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৭১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্যতা ও মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ছিলো। আমরাও সঠিক কাজটি করতে পেরেছি। ১০৫ টাকা আবেদন খরচের বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে।
তিনি আজকে যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হলেন তারা সবাই সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক ইত্তেফাকের ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথিছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা,খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান, দীপক চৌধুরী, সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন বিপু, আশিকুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, ইত্তেফাকের সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি জুলকার নাইন ও ইত্তেফাকের বিজয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াদুল হক । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে দৈনিক ইত্তেফাকের ভূমিকা ছিল অপরিসিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। “ভালো মানুষ ভালো দেশ-স্বর্গভূমি বাংলাদেশ”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল আজ ২১ মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) বিশেষ এক মেডিটেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
২০২১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো এ দিবস পালন করে কোয়ান্টাম। এর ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও তৃতীয়বারের মত এই দিবসটি উদ্যাপন করা হল।
এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হল ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বমহলে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেইসাথে নতুন প্রজন্মের মাঝে সমৃদ্ধ ও সমমর্মী বাংলাদেশের একটি স্বপ্ন তুলে ধরা।
উক্ত মেডিটেশন প্রোগ্রামে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, এডভোকেট, গৃহিণীসহ নানান শ্রেণি-পেশার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বলছেন নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করে শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।
ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের কাউতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনিসুল হক নামে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার শাকিল প্রকাশ লায়ন শাকিল (৩৫), শাকিলের স্ত্রী হাবিবা আক্তার (২৯), শহরের শিমরাইলকান্দির এনামুল হক প্রকাশ জুয়েল (৩০), একই এলাকার জোনায়েদ (২৭), সাইমন ইসলাম প্রকাশ রাজু সিকদার (২৫), জেলার কসবা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের জোনাকি প্রকাশ শিউলী (২৫), সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের সৌরভ (২২), শহরের কলেজপাড়ার বাবুল মিয়া (৪৫) ও শহরতরীর বিরাসার গ্রামের পান্না চৌধুরী (৩০)।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আনিসুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে হাবিবা বেগমের পরিচয় হয়। তারা মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে আনিসুল হক হাবিবা বেগমের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়া (পানির ট্যাংক) সামনে দেখা করতে আসেন।
সেখানে আগে থেকে মাইক্রবাস নিয়ে উৎপেতে থাকা ৮/৯ জন অপহরণকারী কিছু বুঝে উঠার আগেই আনিসুল হককে মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে শহরের কাউতলী এলাকার আলম ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধোর করেন। এক পর্যায়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ১০ লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। শাকিলের স্ত্রী হাবিবা বেগম ব্যবসায়ী আনিসুল হককে টাকা না দিলে ধর্ষণ মামলা দিব বলে হুমকি দেয়। আনিসুল হক ভয়ে তার স্ত্রী ও তার মামাকে মুক্তিপণের টাকার বিষয়ে বললে, তারা টাকা জোগাড় করছে বলে অপহরণকারী দলকে জানায়। অপহরণকারীরা আনিসুল হকের কাছে থাকা১৫ হাজার ৫০০ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের কাউতলী গ্রামের আলম ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ব্যবসায়ী আসিসুল হককে উদ্ধার করে ও সংবদ্ধ অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাকিল কুখ্যাত অপহরনকারী, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুরসহ একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। অপহরণ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে শাকিল।
তিনি আরো জানান, এই চক্রে দুইজন নারী সদস্য রয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন জনের সাথে মোবাইল ফোনে সখ্য গড়ে তোলা। এক পর্যায়ে দেখা করতে আসলে তারা তাদের কে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।