অনলাইন ডেস্ক :
ঘরে এসে সিরিজ হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ওই সিরিজই বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি হাইপ তুলেছে। হাইপ ওঠা ওই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পানসে বানিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের বড় জয়ে দুই পয়েন্টের সঙ্গে ১.৪৮ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৭ রানের জুটি দেন। সাবলীল শুরু করা ওই জুটি ভাঙতে সপ্তাম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। দলকে দরকারী ব্রেক থ্রু দেন।। তরুণ ওপেনার ইব্রাহিমকে ২২ রানে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর রহমত শাহকেও (১৮) তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হন গুরবাজ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদী। চারে নামা শাহেদী ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। দলের রান তখন ১১২। সেখান থেকে ১৪ রান হতেই আরও তিন উইকেট হারায় আফগানরা। ফিরে যান ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় ৪৭ রান করা ওপেনার গুরবাজ। ব্যর্থ হন পাঁচে নামা নাজিবউল্লাহ (৫) ও ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবী (৬)।
ওই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। অলআউট হয় ৩৭.২ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন (১৩) ও তানজিদ তামিম (৫)। তিনে নামা মিরাজ ও চারে নামা শান্ত ৯৭ রানের জুটি দিয়ে ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। মিরাজ ৭৩ বলে পাঁচটি চারের শটে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ১৪ রান করে ফিরে যান। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। সঙ্গে ফিফটি করে মিরাজ ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুই উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের হয়ে তিন পেসার ফারুকি, নাভিন উল ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উরকে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল চলে গেলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে উত্তরার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহিসহ অনেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
২০০৮ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন আলাউদ্দীন লাল। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০০ নাটকে অভিনয় করেছেন।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এ অভিনেতা। ভুগছিলেন শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকসহ নানাবিধ জটিলতায়। সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ গত দুইদিন আগে ফেসবুকে অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল।
তখন তার সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন অভিনেতা লাল ভালো আছেন। তার দুই দিনের মাথায় না ফেরার দেশে এ অভিনেতা। এর আগে ২০২২ সালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এ অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে তার চিকিৎসা।
ফেসবুকে এ খবর জানিয়েছিলেন নাট্যনির্মাতা প্রীতি দত্ত। প্রীতির স্ট্যাটাস পড়ে কয়েকজন সহকর্মী আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু তাদের দেয়া অর্থেও চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। এ খবর পেয়েই মুশফিক আর ফারহান আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ একাই বহন করেছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে ফিরেছিলেন আলাউদ্দিন লাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফ্রিজ-টিভি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার গোকর্ণ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনে গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় গোকর্ণ কিংসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গোকর্ণ মটর সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি বসির উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী সভায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান খান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, গোকর্ণ ফুটবল একাডেমির সভাপতি সাকিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও ফুটবলপ্রেমি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার ম্যাচের শুরুতে লঙ্কানদের আড়াইশর আগে আটকে রেখে জয়ের পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ব্যর্থ হলে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। শঙ্কা জেগেছিল জয় নিয়েও। সেই শঙ্কা উড়ে গেছে রিশাদ হোসেনের ঝড়ে। তার ক্যামিওতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।
জবাবে খেলতে নেমে ৪০ ওভার ২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাছাড়া ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেছেন রিশাদ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঁচামরার ম্যাচ। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ রবিবার জিততেই হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো টাইগাররা।
মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৩৫।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় ছিল সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
এরপর মিরাজ-শান্তর রূপকথার ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯৪ রান। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৫ বলে। এরপর শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
তার আগেই অবশ্য উঠে গেছেন মিরাজ। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংসে মিরাজ ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
এক রান নিতে গিয়ে মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন শান্ত। ফেরার সুযোগ পাননি। পা পিছলে পড়ে যান মাঝ পিচে। ১০৫ বলে শান্তর ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া মুশফিক ১৫ বলে ২৫, সাকিব শেষদিকে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ আর শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে করেন ১১ রান।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজের সামর্থ্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন দলটির তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। রাজা টানা পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন অর্ধশত রানের বেশি ইনিংস। কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও সমান উজ্জ্বল ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। গত রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ওই হারের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে তিনি খেলেছেন ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। পাশাপাশি মাত্র ১৩ রানেই শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তবে তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও দলের হার ঠেকাতে পারেনি।
এর আগে খেলা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে রুয়ান্ডার বিপক্ষে তিনি প্রথম ফিফটি হাঁকান। ৩৬ বলে ৫৮ রানের পাশাপাশি ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৬৫ রান এবং ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। তৃতীয় ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ রান এবং ২১ রানে শিকার করেছেন ২ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৫ রান এবং ২৮ রানে ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন।
এর আগে সর্বোচ্চ টানা চার টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের টানা চার ম্যাচে রানের পরিসংখ্যান ছিল এরকম— ৫৯ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ৬১ (অস্ট্রেলিয়া), ৫৬* (ভারত) ও ৬৯* (ভারত)। এভাবে সমান চারটি করে টানা ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড আছে আরও পাঁচ ক্রিকেটারের। তারা হচ্ছেন— উইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইল, নামিবিয়ার ক্রেইগ উইলিয়ামস, কানাডার রায়ান পাঠান, ফ্রান্সের গুস্তাভ ম্যাককন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্সের। পাঁচটি অর্ধশতরান করে সবার ওপরে ওঠে গেলেন রাজা।
গত প্রায় দুই বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করছেন রাজা। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের জন্য এই সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দেশের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ সময়ে পথ হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আফ্রিকান অঞ্চলে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে ছিটকে পড়ে তারা।