চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মাদক পাচারকারী হলো কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত দেঠৎ মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রকাশ রয়েল(৩৮)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এস. আই মোঃ মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ এলাকার নোয়ামোড়া- গোপীনাথপুর সড়কের থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামকে আটক করে। তাকে তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি মাদক মামলা ও ০১টি অন্যান্য ধারায় মামলা সহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. পলাশ (৩০), মো. হেলাল মিয়া (৩৫) ও মো. কাউছার (৪৫)। এদের মধ্যে কাউছারের বাড়ি আখাউড়ায় মসজিদ পাড়ায় ও পলাশ এবং হেলালের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলায়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আজ মসজিদ পাড়ার ফায়ার সার্ভিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে চাইনিজ রাইফেলের ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এই গুলি কুমিল্লা থেকে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় প্রকৃত কৃষক থেকে সরকারি মূল্যে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম।
এ বছর আখাউড়া উপজেলায় ৩৮৮ মেঃ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দর। ধান সংগ্রহের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা (এলএসডি) মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাছলিমা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, জনতা ব্যাংক ম্যানেজার বশিরুল আলম সিদ্দিকী।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা ও শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দুই দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ওই দুই দিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক শিক্ষকের আকষ্মিক মৃত্যুতে লাশ কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিতার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উত্তেজিত ছাত্র-জনতা লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে সেখানে অবস্থান পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ওই শিক্ষকের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযুক্ত করে বিচার দাবি করা হয়। নিহত ওই শিক্ষক হলেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) এরফানুল ইসলাম শরীফ। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত লাশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে ছাত্র ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তাদেরকে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বস্ত করেন। পরে স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
নিহত শিক্ষকের ছোট ভাই মোঃ আওলাদ হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি’র মানসিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আওলাদ হোসেন বলেন, শহরের রাধানগরে তাদের বাড়ি। বাড়ির পূর্ব সীমানা ঘেঁষে উপজেলা পরিষদের একটি পুকুর আছে। পুকুর পাড়ে একটি ছোট গেইট আছে। এটি দিয়ে তারা মাঝে মধ্যে উপজেলা পরিষদের মসজিদে নামাজ পড়তে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও শিক্ষক শরীফের বাসায় গিয়ে তাকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে পুকুরের পাড়ে গেট রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। পরে দুপুরে ইউএনও শরীফের কর্মস্থল হীরাপুর স্কুলে গিয়ে তার ভাই শিক্ষক শরীফের সাথে খারাপ আচরণ করে মানসিক নির্যাতন করেন। ইউএনওর নির্যাতনে তার ভাই মারা গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ইউএনও’র বিচার দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বেলা পোনে ১২টার দিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে সাথে নিয়ে স্কুলে যান। এক পর্যায়ে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি অফিস কক্ষে এরফানুল ইসলাম শরীফের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এ সময় অন্য শিক্ষকদেরকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন। প্রায় ২০ মিনিট কথা বলার পর ইউএনও বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ইউএনও চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর শিক্ষক শরীফ বুকে ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন ইউএনও মেডাম শিক্ষক শরীফের সাথে একান্তে কথা বলেছেন। আমাদেরকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাই দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে বলতো পারবো না।
জানতে চাইলে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি বলেন, আমি তাকে নির্যাতন করিনি। আমি ওই স্কুলের সভাপতি সেজন্য স্কুলে গিয়ে তার বেতনভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে একান্তে কথা বলেছি। উপজেলা পরিষদের পুকুরের পাশে তাদের বাড়ির গেইট থাকায় সেটি দেখার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে সানিয়া আক্তার (২৮) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ওই তরুণী উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের শাহআলমের মেয়ে ও একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে গত ১৪ জুলাই রোববার রাতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এ ঘটনার পর ১৫ জুলাই সোমবার সবার অজান্তে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ধাতুরপহেলা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। দুই পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকটি সালিশ করে সমস্যা মিটিয়ে দেন। একপর্যায়ে কোনো উপায় না পেয়ে উভয় পরিবারের লোকজন বৈঠক করে রোববার তাদের বিচ্ছেদ করেন। বিচ্ছেদের পর তিনি তার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু এর পরও তারা দুজন নানা বিষয় নিয়ে এলোপাতাড়ি কথা বলেন। সোমবার সকালে সবার অজান্তে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে ঘরের মধ্যে ছটপট করতে থাকেন সানিয়া আক্তার। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। তবে এ ঘটনার খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।