চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। এ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ১৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ ৮ অক্টোবর রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। ফলে সভার দিকে তাকিয়ে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করলে গত ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এই আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করেছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহ মফিজ, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফিউল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তানবির হোসেন (কাউসার), প্রয়াত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় যুব কমান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ও সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল মিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় সিদ্ধান্তে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকেও পদত্যাগ করে নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সারাদেশেই আলোচিত হন আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তবে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য হন সাত্তার।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন আগামী ১১ অক্টোবর। এরপর যথাক্রমে মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল হক শুভকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাহিদুল হক শুভ (২৫) জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লামা বাইক গ্রামের আনিসুল হকের ছেলে। জাহিদুল হক শুভ ঢাবি শাখার সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শুভর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক মামলা ও ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা রয়েছে। ওসি আরো বলেন, শুভ ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে সরাসরি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’