চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনায় ২০২৩-২৪ আর্থিক সালে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর সদিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তর আযয়োজিত অনুষ্ঠিত জনসচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাওয়াল বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ, অর্থ সম্পাদক হিরোক হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।
বক্তারা ২২ দিন মা’ ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরার বন্ধের আদেশ মানার নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। ২২ দিন বন্ধের ফলে সাগর, নদী ও খালে মাছের প্রজনন প্রচুর হারে বাড়বে। তাই সরকারের নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন বক্তারা। এ সময় স্থানীয় মৎস্যজীবীবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ট্রান্সফরমারের বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে ঝলসে যায় দুই হাত। সেই থেকে এক হাত নেই, আরেক হাত আছে কনুই পর্যন্ত। হাত হারিয়ে দমে না যাওয়া সেই অদম্য মানুষটি চবির সদ্য সাবেক শিক্ষার্থী বাহার উদ্দিন রায়হান। হাত না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে চাকরি পাননি রায়হান। কিন্ত রায়হানের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নজর কেড়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের। তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের ‘প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক’ পদে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন বাহার। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে জিপিএ ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ দশমিক ১৩। যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক কাজেও। কিন্ত এতসব অর্জন খুশি করতে পারেনি চাকরির বাজারকে। পরিবারে আছে শুধু মা। ছোটবেলা থেকে এই মায়ের সাহায্যে এতটা পথ অতিক্রম করেছে রায়হান। এবার মাকে সাহায্য করার জন্য একটা চাকরির প্রয়োজন ছিল তার। তাই রায়হানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লেখালেখি করেন। তার বন্ধুরা তুলে ধরেন সংগ্রামের গল্প। যা নজর কাড়ে সরকারের আইসিটি বিভাগের।
পরে আজ ১৫ মে সোমবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে বাহারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চাকরি পাওয়ার পর আনন্দ প্রকাশ করে বাহার উদ্দিন রায়হান বলেন,’যেখানে বেসরকারি সেক্টরগুলোতে চাকরি পাচ্ছিলাম না, সেখানে সরকারি চাকরি ছিল আমার জন্য অবিশ্বাস্য। তারা আমার স্পৃহাকে মূল্যায়ন করে সুযোগ দিয়েছেন এই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এই বিভাগে ভালো করার এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করবো।’
মায়ের আনন্দের কথা জানিয়ে রায়হান আরো বলেন, ‘আমার মা অনেক খুশি হয়েছেন। তিনি সারা গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করছেন।’
সবশেষে হতাশ না হয়ে তরুণ সমাজকে নিজের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতা তৈরির উপদেশ দেন রায়হান।
চবির ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘রায়হান তার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিভাগ থেকে ভালো ফলাফল করেছে। সুযোগ সুবিধা থাকার পরও অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরাও রায়হানের মতো ফলাফল করতে পারে না। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে সাফল্য এনে দিয়ছে। বিভাগের ছাত্র হিসেবে তার এই অর্জনে আমরা গর্বিত।’
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে লিখেন,’ আজ অন্য রকম একটি দিন আমাদের জন্য। শৈশবে দুই হাত হারানো অদম্য তরুণ বাহার উদ্দিন রায়হান আজ যোগ দিলেন আইসিটি পরিবারে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (EDGE) প্রকল্পের অধীনে ১,০০,০০০ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সে।’
রায়হানকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারী, কম্পোনেন্ট টিম লিডার ড. মাহফুজুর ইসলাম শামীমসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
রায়হানের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে। ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর এক দুর্ঘটনায় এক হাত ও আরেক হাতের কনুই পর্যন্ত হারান। দুর্ঘটনার পর আয়ত্ত করেন মুখ দিয়ে লেখা। আত্মবিশ্বাসী রায়হান আবার ২০০৮ সাল থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ ৩ দশমিক ৪১ পেয়ে এসএসসি পাস করেন রায়হান। তারপর মানবিক বিভাগে ভর্তি হন চকরিয়া কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে প্রতিবন্ধী কোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করছেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধানরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে সক্রিয় চার-পাঁচটি সন্ত্রাসী দল। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িত। এসব দলের মধ্য ‘সালমান শাহ গ্রুপ’ অন্যতম। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই গ্রুপের অন্যতম সন্ত্রাসী মো. শফিকে আটক করেছেন ১৬ এপিবিএনের সদস্যরা। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শফি টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে।
এপিবিএন জানায়, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ শফিকে ধরে আনার সময় পুলিশের ওপর হামলা হলে তার তিন সহযোগী নুরুল আমিন, ওমর ফয়সাল ও মেহের খাতুন মিন্নিকেও আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের ১৬ এপিবিএনের পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে শফিকে (২৪) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে ক্যাম্প থেকে একটি ওয়ান শুটার এলজি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সে ক্যাম্পের ত্রাস সালমান শাহ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিল।
এসপি জানান, শফিকে নিয়ে আসার সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তার দলের লোকজন। এ সময় আরও তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্যাম্পে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলমান।
রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে চার-পাঁচটি ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের গোপন আস্তানা তৈরির চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি আস্তানা তৈরি হয়ে গেছে। শুধু ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছেই নয়, কক্সবাজারে বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছেও এসব ডাকাত গ্রুপ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে ক্যাম্পের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিলেন। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ জন মন্ত্রী ও পরে ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে পাঠ করান শপথবাক্য।
সাংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ শপথ নেন।
প্রথমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরে গোপনীয়তার শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ শপথ নেওয়া ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভাই দেশের নতুন সরকার। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ভূমি মন্ত্রণালয় নারায়ণ চন্দ্র (খুলনা-৫), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), রেলপথ মন্ত্রণালয় মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা ১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করে তুলে নেয়ার সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে আসামিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল বিকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে শেখ মো. মোজাম্মেল হক (৫৫), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার আলতাফ আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩৮), গাজীপুরের কাপাসিয়ার সাহাবুদ্দীনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (৪৮) এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানাধীন হাটখোলার চড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুলতান (৩৩)। তারা সকলেই বর্তমানে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন (৩০) নীলফামারী জেলার ডিমলা থানাধীন ছামিনুর ওরফে আমিনুরের ছেলে।
বর্তমানে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। পেশায় রেন্ট এ কার চালক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসায় একটি প্রাইভটে কার নিয়ে উপস্থিত হয় আটককৃতরা। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে মারধর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়।
এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিচয় দেয়া চারজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তরা কেউ-ই তার পূর্বপরিচিত নয়। তার ধারণা, পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করতে চেয়েছিল আসামিরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক শরীফ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীর বাসা গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।
তবে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবারকে।
তারা বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে, তারা আটক করে পুলিশের খবর দেয়। এর ভেতরে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা? সবগুলো বিষয় মাথা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।