অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানার অন্তর্গত এলাকায় ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সরাসরি জড়িত। তার নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং বাকি আসামিদের তথ্য সংগ্রহে আসামিকে রিমান্ডেেনেওয়া দরকার।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই আনিসুল হকের বিরুদ্ধে। এর আগেও কয়েকবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বারবার রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বাড্ডা, বনানী থানার প্রায় অর্ধ শতাধিক হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, জুনায়েদ আহমেদ পলক, দীপু মনি, ফারজানা রূপা, দিলিপ কুমার আগর ওয়ালা, সাবেক সাংসদ সাদেক খান, শাজাহান খান, ডিবির অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার মশিউর রহমান, মাজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
আজ সকালে পুলিশি পাহারায় এসব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের বিরুদ্ধে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি সুপারশপে পলিথিনের ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন যতদিন পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ না হয় ততদিন এ অভিযান চলবে? একটি বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রয়োগ শুরু করেছি? একবার বছর দুয়েকের জন্য প্রয়োগ হয়েছিল? মার্কেট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন প্রায় উঠে গিয়েছিল? তারপর আর মার্কেট মনিটরিং ছিল না, এটা আবার ফেরত এসেছে?
তিনি বলেন, সুপারশপের মালিকেরা এবং তাদের যে অ্যাসোসিয়েশন আছে তারা খুব খুশি মনে এটি (পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ) করতে রাজি হয়েছেন? কারণ, তারা এর বিপদটা বোঝেন? তাদের নিজেদের সন্তানদের জন্যও এটি একটি ভালো কাজ?
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি? যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটা করছি? যেন পলিথিনের শপিং ব্যাগ উঠে যায়? আস্তে আস্তে পাট এবং কাপড় বা পুরনো কাপড় যেগুলো আমরা ফেলে দিই সেগুলোর রি-ইউজ (পুনর্ব্যবহার) করে ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি?
তিনি বলেন, মোট কথা হচ্ছে ক্রমান্বয়ে পলিথিনের শপিং ব্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দিকে যাওয়া? আমরা সুপারশপ দিয়ে শুরু করেছি? আমরা ক্রমে ক্রমে ঢাকার বাইরে যাবো, এক পর্যায়ে মুদি দোকান ও কাঁচাবাজার থেকে দেশব্যাপী পৌঁছে যাবো?
রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাঁচা বাজারের কাজ শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে? সুস্পষ্টভাবে বলা যে, সব ধরনের প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধ না, আমাদের কাজটা হচ্ছে শুধু পলিথিনের শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে?
তিনি বলেন, ময়লার বিনের জন্য যে পলিথিন সেটির ওপরেও আপাতত কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই? কারণ, আমরা এখনো বিকল্পে যেতে পারিনি? এখান থেকে কিছু কিনে নেওয়ার সময় ক্রেতারা পলিথিনের ব্যাগ নেবেন না এবং বাসা থেকেও কোনো পলিথিনের ব্যাগ আনবেন না? যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের ব্যাগ আমরা দেশ থেকে সরিয়ে দিতে চাই?
এ উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান হিসাবে শুধু পলিথিনের ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? তবে অর্থনীতির একটি বড় জায়গাজুড়ে এটি রয়েছে? রাতারাতি তা বন্ধ করতে পারবো না? কিছু পলিথিন যেগুলো একবার ইউজ করে আমরা ফেলে দিই সেগুলো খালে, নর্দমায় বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে? এগুলো যেন সংবেদনশীল জায়গায় না যায়? আমরা সেন্টমার্টিন থেকে কাজটি শুরু করতে যাচ্ছি? সেন্টমার্টিনের হোটেল মোটেলগুলোকে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে মুক্ত করা হবে?
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে মনিটরিং হয় না? ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একবার মার্কেট মনিটরিং হয়েছিল? যার ফলে পলিথিনের ব্যবহার কমে এসেছিল? আমরা এখন ক্রমান্বয়ে মনিটরিংয়ের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লোকবলের অভাব আছে? সেজন্য সুপারশপ দিয়ে শুরু করেছি? কারণ, এখানে মনিটরিং করা আমাদের জন্য সুবিধার?
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার বিকালে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্টের’ ফাইনাল শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগীতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি-নাতনীরাও ফুটবল খেলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ জন পরিচালক বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন সাধারণ সদস্যরা। চেম্বার গ্রুপে ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয়েছে কেবল অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩টি পদে।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, বিরতিহীন চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের মোট ৮০ জন পরিচালকের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন পরিচালক হিসেবে ইতোমধ্যে মনোনীত হয়েছেন।
এর বাইরে জেলা চেম্বার গ্রুপে ২৩ জন এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ২৩টি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেম্বার গ্রুপের ২৩টি পদের বিপরীতে ২৩টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সে কারণে সোমবার ভোট হচ্ছে কেবল অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩টি পদে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৪৯ জন।
এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৯০ জন। সোমবার কেবল তারাই ভোট দিতে পেরেছেন।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, দুপুর পর্যন্ত বেশ সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কেউ কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তোলেননি। ৮/১০ জন ভোটারের বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা কোর্টের নির্দেশনা ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
ভোট গণনা করে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচিত পরিচালকদের নাম ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে ২ আগস্ট এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয়জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন।
২০২১ সালে পদের সমান প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদের পরিচালকরা। সেই পর্ষদের মৌখিক সমর্থনেই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বর্তমান নেতৃত্ব গঠিত হয়েছিল।
আগামী দুই বছরের জন্য সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যবসায়ী মাহবুব আলমকে সমর্থন দিচ্ছেন সালমান এফ রহমানসহ সাবেক সভাপতিরা।
মাহবুব আলমের প্যানেলের পাশাপাশি সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বে তরুণ ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ নামে আলাদা একটি প্যানেল রয়েছে।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এ ধরনের নির্বাচন হলে সবার সঙ্গে সবার দেখা সাক্ষাৎ হয়। আশা করি, এ ধরনের নির্বাচন অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।