চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর এলাকার পুকুর হতে মাছ ডাকাতির সময় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ১৪জন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-৫।
আজ ১১ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে ১৯ বস্তা মাছসহ তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এই তথ্যগুলো জানান।
আটককৃতরা হলো, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়– চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২), জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ্জল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগ গ্রামের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)। আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ লুট করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়ার আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ লুট করে পিকআপে লোড করার সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে হাতেনাতে আটক করে।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে কার্প জাতীয় মাছ-৩৬৫ কেজি, মাহিন্দ্রা পিকআপ-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), মাছ ধরার জাল-০২ টি, মোবাইল ফোন-০৫টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), সিম কার্ড- ১০ টি, চাকু-০১ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ও ছোট হাসুয়া-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ডাকাত দলের নেতা শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে।
তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এই ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে,দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত বলে জানায়।
আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নে এক বাড়িতে ধুমধাম করে চলছিলো পনেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান। হঠাৎ হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মোর্শেদ। ওই কিশোরীর বয়স প্রমানের কাগজপত্র চাইলে পরিবারের লোকজন তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ওই কিশোরীর পারিবারীক সূত্রে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। তার বিয়ে হচ্ছিলো চর বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের কাজীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মোল্যার ছেলে সৌদী প্রবাসী রায়হান মোল্যা (২৮) এর সাথে। ইউএনও এর উপস্থিতি ও বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে তারা আর মেয়ের বাড়িতে আসেননি।
ইউএনও বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে খবর পেয়ে তিনি তথ্য যাচাই করে এর সত্যতা জানতে পেরে ওই বাড়িতে আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে ওই কিশোরীর মায়ের কাছ হতে মূচলেকা গ্রহণ করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ইউপি সদস্য সরোয়ার মৃধা, এখলাস হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফের) বাঁধায় দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প কাজ পরিদর্শনের পর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফ নির্মান কাজে আপত্তি তুলে। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র বাঁধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র সাথে কার্যকর যোগাযোগ শুরু করে।
অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাঁধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী অংশের নির্মান কাজ পুনরায় হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অসম্পন্ন হওয়া কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়।
একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি স¤প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে পকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সুুবক্ত গীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পের সব ধরনের বাঁধা দূর হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি শেষ হবে। এতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময়ও কমে আসবে।
এ সময় বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, তমা গ্রুপের ট্রেগ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিনসহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে এসেছে একটি মৃত পরপইস। আজ ৩ মার্চ রবিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের টেকনাফ সৈকতের চৌকিদার পাড়ায় এটি ভেসে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরওআই) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে জোয়ারের সঙ্গে পরপইসটি ভেসে আসে। এটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। ওজন ৪৫ কেজি। বয়স আনুমানিক ৯ থেকে ১০ বছর।
পরপইসটির মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। তিনি বলেন, এর মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, কোনো নৌযানের প্রপেলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত পর্যটন, দখল, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান নষ্ট ইত্যাদি কারণে বিশ্বব্যাপী বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে একই প্রজাতির একটি পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল। এই পরপইসটি উদ্ধারের পর বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরওআই) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন দেশে এর আগে পরপইস ভেসে আসেনি। গত ১৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক নাগাড়ে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসে। এর মধ্যে চারটি ডলফিন, অন্তত ৮০টি অলিভ রিডলি ও বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একইসাথে এই কার্যক্রম বেগবান করতে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। আজ ২৮ মে বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছেন।
সভায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় হতে প্রেরিত তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এ পর্যন্ত ১৬ টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা প্রদান করে। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলদুটো কর্তৃক প্রেরিত তালিকার সাথে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) প্রেরণ না করায় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে, ২০২৫ তারিখে) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা প্রদান করেছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রেরিত সকল মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ভারতের সাথে সম্পর্ক হবে প্রতিবেশীর মতো। সম্পর্ক তিক্ততার হবে কি না তা ভারত কাজের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে বিগত ১৬ বছর যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে শুষে নিয়েছে, সেটা আবারও পাওয়া যাবে। সেই সুযোগ বাংলাদেশের জনগণ আর দিবে না।’
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ায় ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সফরে গিয়ে তিনি সাংবাদিকের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বগুড়ায় আমি প্রথম এসেছি। বগুড়া নেমেই যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে ৬৪ জেলার মধ্যে নামের কারণেই বগুড়া জেলা ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বগুড়া নামের কারণেই ১৬ বছরে বগুড়ার কোনো উন্নয়ন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষ এখন শতভাগ ঐক্যবদ্ধ। ভারতের কিছু মেরুদণ্ডহীন মিডিয়া সাম্প্রদায়িক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে।’
বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলায় অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর বাসায় সারসিজ আলম পারিবারিক সফরে যান। সঙ্গে তার বাবা-মা ছিলেন। সারজিস আলম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার আগেই বলেন, ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। যে বাড়িতে তিনি গিয়েছিলেন সেই বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলীও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।