চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে মৃত ব্যক্তিসহ পাঁচ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বাকি পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়ন দাখিলের সময় মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। এরমধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন দৈবচয়নের মাধ্যমে ১০ জনের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ১০ জনের মধ্যে চারজন কোনো স্বাক্ষর করেননি। তালিকায় একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।
মনোনয়ন বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয়পার্টির আব্দুল হামিদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল)।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৩-১৭ অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থী আপিল করতে পারবেন। ১৮ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের মৃত্যুর খবরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (৩৮) এর হার্টের সমস্যা ছিলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে সাগর মিয়ার স্ট্রোক করলে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি রাত হয়। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগর মিয়া মারা যান।
সাগরের চাচাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, হাসপাতালে সাগর মারা গেছেন এই খবর শুনে সাগরের মা মুর্শিদা বেগম-(৬৫) ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পথে রাত ১০ টার দিকে তিনিও মারা যান।
এ ব্যাপারে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাবেল বলেন, সাগর মিয়া পেশায় একজন অটোচালক ছিলো। সাগরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মা মুর্শিদা বেগমও মারা গেছেন। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদায়ক। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন সদস্যরা। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ অনাস্থা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, টিআর/কাবিখার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। সরকারের কৃষি প্রণোদনা সার এবং বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ না করে নিজেই তা লুটপাট করেছেন। এছাড়া গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ এলাকার জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ টাকা জমা না রেখে বেশির ভাগ অংশ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এলাকার অসহায়-হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন আবেদন, সংশোধন পরিবর্তন, পরিবর্ধন বাবদ বিভিন্ন অসুবিধা জটিলতা দেখিয়ে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার টাকা নিয়া জনগণের কাজ করে দেয় এমনকি চাহিদা মত টাকা না পেলে দীর্ঘদিন হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নিজ ইচ্ছায় অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে ডালিম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুদান যেমন প্রেগনেন্সি ভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সার, বীজ, ধান বীজ, সরিষাসহ সরকারি টিউবওয়েল, টিসিবির পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসরিন আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করা সব ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে আছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই বলেন, লিখিত অভিযোগে যা লেখা হয়েছে, তা সামান্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সবশেষ বরাদ্দ পাওয়া টিউবওয়েলও লুট করে খেয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপি সদস্যরা অহেতুক কারণে এমন করছেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন জেলা প্রশাসককে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি ইউএনওর কাছে আবেদন করতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস- এর উদ্যোগে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এ চক্ষু শিবির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয় নগর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন স্কাউটরা ভাল কাজে সবসময়ই মিশে থাকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কাউটিং আন্দোলনকে গতিশীল রাখতে সবসময়ই পাশে থাকবো।
তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেবামনস্ক মানুষ প্রয়োজন লায়ন্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি একেএম রেজাউল হকের ব্যবস্থাপনায় প্রাক্তন স্কাউটদের এ কর্মসূচি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ বারের মতো লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান একেএম রেজাউল হক ঝুনু এমজেফ, পিসিসিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উদ্বোধনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক মীর,উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, উপদেষ্টা অরুণাভ চক্রবর্তী টিংকু অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলালউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধরী মন্টু, জেলা বারের পিপি অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীন শাহীন।
সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সভাপতি শাহ আলমগীর, এহতেশামুল বারী তানজিন।
বক্তারা সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটদের অবদান তুলে ধরেন। চক্ষু শিবিরে বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকবৃন্দ ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বড়ভাই পুলিশকে তথ্য দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে তার ছোটভাইকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর জাহিদুল হত্যার দায়ও শিকার করেছেন তারা।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করতেন। ১৭ রমজান ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের বীভৎস মরদেহ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভূরি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কব্জির রগ ও বিশেষঅঙ্গও কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটা পাওয়া যায়।
ইকবাল হোছাইন আরো জানান, ঘটনা তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার তথ্যে একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।
পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতন আইনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে তাকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো. সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোটভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। তাকে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তার বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরও দুজন মিলে কিশোর জাহিদুল ইসলামকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলা এবং হবগিঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নর (সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর, ধর্মঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্তোষনগর, মধুপুর, নোয়াবাদী, দৌলতবাড়ি, আলীনগর, মোহনপুর, বিষ্ণপুর, ইকরতলী, কাশিনগর এবং নলগরিয়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালায় ২৫ বিজিবি সদস্যরা। এসময় অভিযানে ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৮১ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১৫ কেজি গাঁজা, ৬০ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১০০ পিস শাড়ী, ৭২০ পিস কাবেরী মেহেদী, ১৭০৪টি ভারতীয় চকলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদ্রকদ্রব্য মালামাল গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা এবং ধ্বংসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান মালামাল গুলো আখাউড়া কাষ্টমসে জমা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, (পিএসসি) জানান, সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনরকম মাদক যেন দেশে না ঢুকতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সবসময়ই সীমান্ত এলাকায় সজাগ রয়েছে। দেশ ও যুব সমাজ রক্ষায় তাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।