চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় অ্যাডভোকেট মঞ্জুর হোসেন (৫৮) মারা গেছেন।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার দৌলায়তদিয়াড় গ্রামে ইজিবাইকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, আইনজীবী মঞ্জুর হোসেন সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা পার হয়ে মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ইজিবাইক তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তিনি রাস্তার উপর পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আহত আইনজীবী মঞ্জুর হোসেনকে রাজশাহী নেওয়ার পথে শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজের কাছে পৌছালে তিনি মারা যান। আইনজীবী মঞ্জুর হোসেনের মৃত্যুজনিত কারণে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি সাগর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের কবরস্থানে নিহতের নামাজে জানাজা ও দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কর অঞ্চল ময়মনসিংহের অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ জেলার নিবন্ধিত করদাতাদের সঙ্গে কর কর্মকর্তাদের মতবিনিময় ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ময়মনসিংহ কর অঞ্চল ও কিশোরগঞ্জ উপ কর কমিশনারের কার্যালয় (সার্কেল ১৩, ১৪ ও ২১)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান। এ সময় যুগ্ম কর কমিশনার শামসুল আলম, কিশোরগঞ্জ জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল ইসলাম জানু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, কিশোরগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সভাপতি মজিবুর রহমান বেলাল ও সহ সভাপতি ইকবাল আহমেদ চৌধুরী অপু উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আয়কর আইন-২০২৩, আয়কর সেবা প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে একটি ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুর রহমানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকটি ফার্মেসির মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এসময় তিনি ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে না আসার অনুরোধ করেছেন।
আজ ২৮ জুন বুধবার সকালে ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঢাকায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার লোক নামাজ পড়বেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। গাড়ি কোথায় থামবে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে তাই বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আবহাওয়ায় যদি আরও বড় দুর্যোগ না হয় তাহলে মুসল্লিরা এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদের সময়টাতে জাতীয় ঈদগাহসহ গোটা রাজধানীজুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। কমিশনার বলেন, এবারে ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবে অতীত ইতিহাসের বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর রয়েছে।
ডিএমপি প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন ইউনিটের পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংও স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকবে। এছাড়া, অন্য কোনো হুমকি থাকাকালে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে।
জাতীয় ঈদগাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডেরর মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। র্যাবও ফোর্স নিয়োগ করবে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বাসা খালি রেখে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন, সেখানেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করছি সে অবস্থা বজায় থাকবে। ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে যোগাগাযোগ থাকবে। কোনো তথ্য আমাদের জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এটেন্ড করবে। তারপরেও যারা গ্রামে যাচ্ছেন, মূল্যবান সম্পত্তি খালি বাসায় না রেখে ঘনিষ্ঠদের বাসায় অথবা ব্যাংকে রেখে যান। যদিও পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে, তাও ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী থাকলে ঝুঁকি থেকে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কসাইয়ের ছদ্মবেশে রেকি করে অপরাধের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। যে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
কমিশনার বলেন, ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩-৪ হাজার জনকে হয়তো ছুটি দিব। বাকিরা নগরবাসীর সেবায় ঢাকায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ঈদ নেই। আশা করি সবার নিরাপদে ঈদ উদযাপিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নগরকান্দা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলাম অফিস থেকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহার মোটর সাইকেল যোগে ফরিদপুরের যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাটকৃষ্ণপুর সড়কের স্বাধীপুর ব্রিজে ঢাল ওঠার সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, আইরিন ফরিদপুর শহরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে ফরিদপুরের বাসায় পথে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ার জেরে স্বামীকে বালিশ চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধনবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বামী গনেশ চন্দ্র পাল।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া মধ্যপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় মনিন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে গনেশ চন্দ্র পালের সাথে।
অভিযোগকারী স্বামী গনেশ চন্দ্র পাল জানান, আমি বিগত ৯ বছর পূর্বে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কামালপুর গ্রামের জিতেন্দ্র পালের মেয়ে সুমা রানী পাল কে বিবাহ করে সংসার করে আসছি।
সংসার জীবনে আমাদের ঘরে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ভালই চলছিলো আমাদের সংসার। বছর খানেক আগে আমার স্ত্রীর এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কটি জানতে পারায় পরকীয়া সম্পর্কে বাঁধা দিলে আমার সাথে রাগারাগি কর সে বাড়ী ছেড়ে সাত দিন অন্যত্র ছিলো।
পরে সে এই সম্পর্ক বাদ দিয়েছে বলে আমার স্ত্রী পারিবারিক সমঝতায় আমার সংসারে ফিরে আসে। আমার স্ত্রী আমার অজান্তে গোপনে এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক টি চালিয়ে আসছিলো। হঠাৎ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার থাকার ঘরে আমাকে ঘুমন্তবস্থায় আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পাল দুই জনে মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
আমার গোংরানি’র শব্দে পাশের ঘরে থাকা আমার বড় ভাই ও তার স্ত্রী সহ অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম কে আটক করে। পরে পুলিশ কে খবর দিলে তারা এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। অসীম আমার শ^শুর বাড়ীর পাশের উপজেলা দূর্গাপুরের রামপুর গ্রামের শ্যামল চন্দ্র পালের ছেলে। আমি আমার স্ত্রী সুমা রানী পাল ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এঘটনায় সঠিক বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত সুমা রানী পাল জানান, আমি বাঁচলেও আমার প্রেমিক অসীমের সাথেই বাঁচব, মরলেও দু’জনে একসাথে মরব। এবলে তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।
থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ছেলে মেয়ে দু’জন কে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। অভিযুক্ত সুমা রানী পালের স্বামী গনেশ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে থানায় আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনকেই টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।