চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আয়োজনে শহরের দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান কমপ্লেক্সস্থ জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে বিশাল শ্রমিক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি এড. কাউসার আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এড. কামরুজ্জামান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিনার আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সহ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, শেখ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন খান, আমিন শাহ, খবির উদ্দিন আহমেদ, দুলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লু মিয়া, রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক লীগের সভাপতি হোসেন মিয়া, ইজিবাইক শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির হোসেনসহ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের উর্ধ্বে থেকে আজ আরো সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্বতঃর্স্ফুত উপস্থিতি তার স্বাক্ষী বহন করে। এই সুশৃংঙ্খল ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় এদেশের প্র্রধানমন্ত্রী করে দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো যৌক্তিসঙ্গত। আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শ্রমিকদের কল্যাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
আলোচনাসভা শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মহসিন মিয়া (৪৫) নামে ওই ওয়ার্কশপ মালিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরতলীর বিরাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহসিন মিয়া উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিলকেন্দাই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিরাসার বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক মহসিন মিয়া কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় নিয়ম মেনে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হচ্ছে তিনদিনের অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শুরু হয়ে মেলা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে মেলাটি। মেলায় ২০ টি বইয়ের স্টল থাকবে। প্রতিদিন বিকাল থেকে চলবে আলোচনা, কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাউল সঙ্গীতের আসর। মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকরা অংশ গ্রহণ করবেন। মেলার শেষদিন অদ্বৈত পুরস্কার-২০২৪ মরণোত্তর হিসাবে প্রদান করা হবে প্রখ্যাত অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে। পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হবে ফুল, উত্তরীয়, সনদপত্র ও নগদ ২৫ হাজার টাকা। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় অমর কথাশল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভূমি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো.আ.কুদদূস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অদ্বৈত মেলার পুরস্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অদ্বৈত মেলার প্রচার কমিটির আহবায়ক মো.মনির হোসেন।
অদ্বৈত মেলার আহবায়ক মো.আ.কুদদূস বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান ও আন্তর্জাতিক মানের কথাশিল্পী। আমরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রান্ড হিসাবে তার স্মরণে তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছি। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় এখানকার মানুষের সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নেবে। মেলায় দেশ-বিদেশের কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরো অংশগ্রহণ করবেন। অদ্বৈত স্মরণে তাঁর জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অদ্বৈত গণগ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, মুক্তমঞ্চ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আশা’র এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২৬ জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে নিয়ে আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিস (টিএসএস) পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া, আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয় ডেপুটি ডিরেক্টর (কৃষি) মোঃ খুরশীদ আলম, আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার (কৃষি) মোঃ সোহাগ আলম, আশা নরসিংদী জেলা সদর এগ্রিকালচারাল ট্রেইনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
২৬টি ব্রাঞ্চের কর্ম এলাকার আশা’র সদস্যদের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এসএমএপি প্রকল্পের আওতায়, কৃষি, প্রানীসম্পদ ও কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে চলতি অর্থবছরে ৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।