চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নেত্রকোনা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ স্লোগানে দিবসটি পালিত হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা মূলক মহড়া প্রদর্শন করে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
সচেতনতা মহড়া প্রদর্শন পূর্বক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন খন্দকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আশিক নূর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ শিবলী সাদিক, ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান (ডিএডি), জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, রেড ক্রিসেন্টের সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু।
ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপক মহড়ার নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা ফায়ার স্টেশনের লিডার খানে আলম খান। মহড়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউটরা অংশ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা ‘সং মার্চ’ শুরু করেছে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
মুক্তাঙ্গন থেকে পিকআপভ্যানে করে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করতে করতে সংগীত যাত্রা শুরু করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা। এই ‘সং মার্চ’ থেকে ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি দেবেন তারা।
‘সং মার্চ’ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে সারা ভারতজুড়ে নানা সময়ে নানা স্থানে নানাভাবে সেখানকার মুসলমানদের ওপর হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, উচ্ছেদ ও লাঞ্ছনাসহ নানারকম নির্যাতন সংঘটিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা থেকে নিয়ে ২০০২ সালে গুজরাটের নৃশংস মুসলিম হত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ, ২০১৩ সালে মুজাফফরাবাদের মুসলিম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ, ২০২০ সালে দিল্লিজুড়ে মুসলিম হত্যা ও মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা ধ্বংসযজ্ঞ, সর্বশেষ ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণ ও প্রতিকার হননের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ভারতের পার্লামেন্টে গৃহীত ওয়াকফ আইন সংশোধন বিলকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মুসলমানদের ওপর যে নিধন ও নির্যাতন চলছে আমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অঙ্গ ও অংশ হিসেবে এবং আধুনিক বিশ্বের মানবতাবাদী সভ্য মানুষ হিসেবে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কবি মুহিব খান আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের ধর্মান্ধ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং কখনো কখনো এসব কর্মকাণ্ডে ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার বিরুদ্ধে শ্লোগান, সংগীত এবং সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই যে, ভারতসহ পৃথিবীর যেকোনো ভূখণ্ডে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে আমরা আছি। শুধু মুসলিমরাই নন, নির্যাতন অন্যায় ও অমানবিকতার শিকার যেকোনো মানুষের পক্ষেই আমাদের অবস্থান। আমরা ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নিজ ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ভারতীয় মুসলমানদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
কবি মুহিব খান বলেন, আমরা উগ্রতা ও সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। আমরা চাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমরা চাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পতন। আমরা চাই পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষ নিজেদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। আমরা চাই বিশ্ব মানবতা এবং প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিজয় হোক।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আজ ২ জুন বরিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকিট কোনো কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না; সব টিকিট শুধু অনলাইনে পাওয়া যাবে। সকাল ৮টায় টিকিট উন্মুক্ত হবে। সকালে বিক্রি করা হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট।
আর দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঁচ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ যাত্রায় সারা দেশে বিভিন্ন গন্তব্যে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু এসব ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে না।
এমনকি দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং) ভ্রমণ করার টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। স্ট্যান্ডিং টিকিট ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি শুরু হবে।
ঈদকেন্দ্রিক রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০। ঈদের আগে আন্ত:নগর ট্রেনের ১২ জুনের টিকিট বিক্রি হবে আজ ২ জুন।
আর ১৩ জুনের টিকিট আগামীকাল ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন, ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হবে।
১জুন শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীতে এক অনুষ্ঠান শেষে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদুল আজহায় ট্রেনে চলাচলকারী মানুষের কোনো ভোগান্তি হবে না। মানুষের দোয়া ও আপনাদের সহযোগিতায় এবারের ঈদ যাত্রায় আমরা সফল হব। চেষ্টা করছি ভোগান্তি ছাড়া এবারের ঈদেও মানুষ ঘরে ফিরবে।’
এবারের ঈদ যাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলিয়ে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর পথে (রুট) চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া চলবে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম পথে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ পথে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল দুই জোড়া, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর পথে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল এক জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া পার্বতীপুর-দিনাজপুর পথে এবং ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর পথে গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া চলবে। চাঁদপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরদিন থেকে সাত দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ও গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল শুধু ঈদের দিন চলবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত তিন দিন এবং ঈদের পরে ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিন চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ২ অক্টােবর সকাল ৯ টার দিকে শহরের বাগান বাড়িস্থ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আল-মামুন সরকার দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
আল-মামুন সরকার ১৯৮৯ সালে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশীয় যুব সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান করেন।
২০১৭ সালে তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অর্থমন্ত্রণালয়ের এনবিআর প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ট্যাক্স কার্ড’ লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে ডুবে রিফাত হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বন্ধুদের সাথে মহানন্দা নদীর আনসারের ঘাটে গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় রিফাত। পরে বিকেল তিনটার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রিফাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ হরিমোহন স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ও শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়া পাখিয়া ইউনিয়নের গোলাপের হাট এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। রিফাতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে নদীতে স্রোতের কারনে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে রাজশাহী থেকে ১১ সদস্যের একটি ডুবুরি দল নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান, কারও অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই লক্ষ্যে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনায় এই বৈঠক হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ আইনটি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে।
এত আরো উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ১৫ মে ওই আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি দেওয়ার গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। ‘বর্তমানে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায়’ রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিত করতে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন।
এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়, জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
একই বৈঠকে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর কয়েকটি বিধান বাতিল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সংযোজন করে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ এবং ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১’ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচ আর এস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান এ রিট আবেদন করেন।
এ বিষয়ে আদালতে এখনও শুনানি হয়নি।