অনলাইন ডেস্ক :
ডিসি ও ইউএনওদের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা দামের ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যাদের জন্য গাড়ি কেনা হচ্ছে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।
নতুন গাড়ি কেনার ব্যাপারটি নৈতিক ও আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না সাংবাদিকদের জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আমি তো বুঝলাম না।
যখন পারচেজ কমিটিতে গাড়ি কেনার প্রস্তাব পাস হয়, তখন আমরা সবাই প্রশ্ন করেছিলাম যে আগে গাড়ি কেনা বন্ধ রাখতে একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা এ নির্বাচনের প্রয়োজনে শিথিল করা হয়েছে বলেই ২৬১টি গাড়ি কেনার অনুমতি কাল দেওয়া হয়েছে। একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন। যাদের এ গাড়ি দেওয়া হচ্ছে, তারা এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন আটতলা ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডুসহ অনেকে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আটতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
ভবন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সদর উপজেলার কাটা এলাকায় একটি জনসভায় যোগ দেন।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১২তলা ফাউন্ডেশনের এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ ভবনের আটতলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এর আয়তন এক লাখ ১১ হাজার ১৩৬ বর্গফুট। এ ভবনে আটটি এজলাস, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা হাজতখানা, ক্যাফেটেরিয়া, ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ ও গ্রন্থাগার রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য লেখেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ। লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
পরিদর্শন বই স্বাক্ষরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গতকাল ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি সফল হয়েছে। সারাদেশের জনগণকে সুষ্ঠুভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে।
রংপুরের পীরগঞ্জে সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজ প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে তিনি এ ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছে।
স্পিকার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারিভাবে ৩২ ধরনের ওষুধ জনগণকে সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ঢাকা থেকে প্রায় ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন, যা প্রশংসনীয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে ৩০ জনের বিশিষ্ট চিকিৎসক দল এই স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদানের জন্য উপস্থিত হওয়ায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের সত্ত্বাধিকারী এবাদুল করিম এমপি ৬৪ কার্টন ওষুধ সরবরাহ করায় তাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান স্পিকার। এরপর তিনি ক্যাম্পের বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন এবং সেবাপ্রার্থীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।
স্পিকার বলেন, মানবতার সেবায় বিনামূল্যে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এক অনন্য উদাহরণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জন ও ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বিমল চন্দ্র রায় এবং সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের প্রিন্সিপাল মো. রাশেদুন্নবী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আট শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন চার শিক্ষার্থীর অবস্থা দেখেছেন। চারজনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জেলার চলমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সম্মিলিতভাবে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছে। সবার সহায়তায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্গম এলাকাগুলো হতে মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের উজান থেকে সতর্কতা ছাড়া পানি ছাড়া নিয়ে কথা বলা হবে।
উজান থেকে আসা পলির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে ড্রেজিংকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে সব বেড়িবাঁধ যথাসময়ে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ সব কাজে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের অবস্থা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন, জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিল।
এর আগে হবিগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসে স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সুধীসমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে আগত মানুষের সেবায় সরকারের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর পানিসম্পদ উপদেষ্টা চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।