চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মোঃ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘মুসলিমদের চরম শত্রু হচ্ছে ইহুদিরা। তারা সারা বিশ্বের অশান্তির কারণ। ইসরাইল ৭০-৮০ বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা আল-আকসাকে রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে যেভাবে রুশ বাহিনী পলায়ন করেছে ফিলিস্তিন থেকেও ইসরাইল পলায়ন করবে।
তিনি ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনতার পক্ষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি আয়োজিত সংহিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ‘১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ এ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পর্যন্ত প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার খ্রীষ্ট্রিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাপটিষ্ট মিশন ইনচার্জ ফাদার টাইটাস দাস গুপ্ত জয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা কর্মকার ও টমাস তুহীন দাস প্রমুখ মিশনের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবির কণ্ঠে কবিতাপাঠের আয়োজন করেছে প্রকাশনা সংস্থা প্লাটফর্ম-এর বিশেষ প্রকাশনা ‘সাময়িক প্রসঙ্গ’। এতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ২০ জন কবি। বিপুল সংখ্যক কবির স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং কথা ও কবিতায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান। গতকাল রবিবার বিকেলে ‘হে মাঘনিশীথের পাখি’ শিরোনামে কবিতাপাঠের এই আসর অনুষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে।
কবিতাপাঠের এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। নান্দনিক এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খ্যাতিমান কবি দিলীপ দাস।
আমন্ত্রিত কবি হিসেবে অনুষ্ঠানে কবিতা পড়েন জয়দুল হোসেন, মো. আ. কুদদূস, মহিবুর রহিম, অর্ধেন্দু শর্মা, আমির হোসেন, শাদমান শাহিদ, রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, আমির হামজা, শাহরিয়ার কাসেম।
এছাড়াও হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, শিরীন আখতার, ইউনুস সরকার, গোলাম মোস্তফা, শাহাদত হোসেন সোহেল, আল আমিন তুষার, খাদিজা ইভ অনুষ্ঠানে কবিতা পড়েন। অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ এ কে এম শিবলী।
কবিতাপাঠের এই আসর সঞ্চালনা করেন কবি ও সাময়িক প্রসঙ্গ’র সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয়।
কথা কবিতা আড্ডার এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে কবিতারপাঠের পাশাপাশি কথা বলেন অনেকেই। তাদের কথায় ওঠে আসে সমকালীন ফেসবুকীয় লেখালেখি সহ নানান প্রসঙ্গ। তাদের মতে, বেশি বেশি ফেইসবুক ব্যবহার করার ফলে মানুষ বই থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। মানুষ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। সর্বোপরি মানুষ নিঃসঙ্গ একাকী হয়ে যাচ্ছে। কবিতাচর্চা বিষয়ে নিজের লেখা সম্পাদনা কিংবা কাঁটাছেড়ার প্রয়োজন বা তাগিদ কমে গেছে কবিদের মাঝে। ফলে উত্তম সাহিত্যচর্চা ব্যাহত হচ্ছে। ভালো লেখা ও লেখক তৈরি হচ্ছে না। এটা বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনেক বেশি কষ্টের বিষয়। বক্তারা আরও বলেন, ফেইসবুক যেনো আমাদের সাহিত্যচর্চায় সহায়ক হয়, অন্তরায় না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ এটা বেশি চর্চা করলে মানুষ সস্তা হয়ে যেতে পারে, আবার ব্যবহার না করলে সময় থেকে হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে সামাজিক অসংগতি দূরীকরণ সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার সকালে মধ্যপাড়াস্থ ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে এ অভিযানে ক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সদস্যরা এলাকার সম্প্রীতি রক্ষায় বিভিন্ন মন্দির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্র্শন করেন এবং এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এছাড়া সম্প্রীতি রক্ষা সহ সামাজিক অসংগতি দূরীকরণে একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের আহবায়ক আশরাফুল হক ফারুক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচি হয়েছে। উল্লেখ, গত ১২ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব কার্যালয়ে এক সভায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আশরাফুল হক ফারুককে আহবায়ক ও তাপস পাল প্রণবকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন রফিকুল ইসলাম (রফিক), শরীফুল হক বাকের, ইমতিয়াজ হোসেন সভ্য, মো. মানিক মিয়া, নকুল কৃষ্ণ পাল, মো. আবুল খায়ের, নান্নু মিয়া, আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মনির হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ৫ আনসার ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কুমিল্লা রেঞ্জের পরিচালক ও রেঞ্জ কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট আবদুল্লাহ আল হাদী, আশুগজ্ঞ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আনসারদের কাজ সবচেয়ে কঠিন। যারা ভোট ডাকাত, আমাদের ভোটাধিকারকে নষ্ট করেছে সে সমস্ত লোকেরা যাতে ভোট কেন্দ্র জবর দখল করতে না পারে সেটি প্রতিহত করা আপনাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ন কাজ।
আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতরা যেন ভোট ডাকাতি না করতে পারে সেজন্য নির্বাচনে সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও ছাতা বিতরণ করা হয়। সমাবেশে তিনশত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য অংশ গ্রহণ করে।