অনলাইন ডেস্ক :
ডিমের গুণগতমান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ২১তম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’। দিবসটি উপলক্ষে এবার তেমন কোনো আয়োজন নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ছোট পরিসরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
ডিমকে বলা হয়ে থাকে পরিপূর্ণ খাদ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা মাথাপিছু ১৩৫টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩৬টি।
১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী চলছে একটি ইতিবাচক ক্যাম্পেইন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে- প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে- ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ইউএস সিনেটে জয় পেয়েছেন ফ্লোরিডা রাজ্যের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি। যার ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আসছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ইউএস সিনেট ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ৫৪-৪৬ ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। পাম বন্ডির এই নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য বিচার বিভাগে আরও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে সম্প্রতি এমন কিছু প্রসিকিউটর ও এফবিআই এজেন্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলা তদন্তে যুক্ত ছিলেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যান ৫৩ জন রিপাবলিকানের সঙ্গে যোগ দিয়ে বন্ডির পক্ষে ভোট দেন।
৫৯ বছর বয়সি পাম বন্ডি ২০১০ সালে ইতিহাস গড়ে ফ্লোরিডার প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন পাম বন্ডি।
ওই পদে থাকাকালে পাম বন্ডি মানব পাচারসংক্রান্ত সমস্যার ওপর জোর দেন। সরব হন পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের আইন আরও জোরালো করার পক্ষে। কয়েক বছর ধরেই ট্রাম্প বলয়ে দেখা যায় পাম বন্ডিকে।
ট্রাম্পের শুরুর দিককার সমর্থকদের একজন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রবেশের যাত্রায় পাম বন্ডির ব্যাপক সমর্থন ছিল।
তবে বন্ডি ছিলেন ট্রাম্পের দ্বিতীয় পছন্দ। তার প্রথম পছন্দ, সাবেক কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ, হাউস ইথিক্স কমিটির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও মাদকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান এবং কংগ্রেসের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
সূত্র : সিএনএন
সূত্র: প্রথম আলো
অনলাইন ডেস্ক :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি জগতে নতুন এক দিগন্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এবার সেই যাত্রায় বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন। দেশটি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ৬G নেটওয়ার্ক চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। চীনের শীর্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলমান ‘গ্লোবাল ৬জি কনফারেন্স ২০২৫’-এ বৃহস্পতিবার চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমির বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ উ হ্য ছুয়ান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ৬জি শুধু আগের প্রজন্মের চেয়ে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক নয়, এটি একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ১জি থেকে ৪জি পর্যন্ত প্রযুক্তির ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল কেবল ভয়েস ও ডেটা সেবার মধ্যে। পরে ৫জি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে ব্যবহৃত হতে শুরু করলেও প্রত্যাশিত হারে শিল্প খাতে অগ্রগতি আসেনি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই ৬জি নিয়ে গড়ে উঠছে নতুন প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ।
উ হ্য ছুয়ান বলেন, আগামী প্রজন্মের স্মার্টফোন হবে সম্পূর্ণ এআই-চালিত, যেগুলো শুধু কনটেন্ট ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ব্যবহারকারীদের আরো দ্রুত ও সহজে কনটেন্ট তৈরি করতেও সক্ষম করে তুলবে।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য এবং পারপল মাউন্টেন ল্যাবরেটরিজের পরিচালক ইয়ু সিয়াওহু জানান, ৬জি প্রযুক্তি শুধু উচ্চগতির ইন্টারনেট নয়, বরং এটি সেন্সিং এবং স্বল্প উচ্চতার কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ নতুন প্রযুক্তির যুগের সূচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ৬জি যুগে যোগাযোগ, কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল একত্র হয়ে গড়ে তুলবে একটি সুপার-কনভার্জড প্রযুক্তি ব্যবস্থা।
চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে শুরু হওয়া এই গ্লোবাল ৬জি কনফারেন্স চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়— ‘ফ্রন্টিয়ার ইনোভেশন ড্রাইভিং ৬জি ডেভেলপমেন্ট’। সূত্র: সিজিটিএন
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় একটি স্কুলের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।
অ্যাটরিয়া থিয়েটারের বাইরে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানেই গ্রাজুয়েটদের গাউন দেওয়া হচ্ছিল।
স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুগেনোট হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে এই বন্দুক হামলা চালানো হয়। পুলিশের জানিয়েছে, নিহতদের একজনের বয়স ১৮, তিনি স্নাতক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আরেকজনের বয়স ৩৬। এই হামলার ঘটনায় একজন ১৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে সেনাবাহিনী আতঙ্কিত। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা’ পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তেহরিক-ই–ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান।
২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান খান। মাত্র চার বছরের কম সময় দেশ শাসন করেছিলেন। এরপর গত বছর সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার একটি বড় কারণ ছিল। মূলত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
ইমরান খানের দাবি, তার দল পিটিআই দেশটির একমাত্র দল যারা সামরিক স্বৈরশাসকদের দ্বারা তৈরি হয়নি। এ কারণেই দলটিকে ভেঙে দেওয়ার জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে অনেক সমালোচক বলেছেন, ইমরান খানের ক্ষমতায় উত্থানের সময় সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল।
গত কয়েক মাসে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে জানান, তার দল অক্ষত রয়েছে।
বিবিসির স্টিফেন স্যাকুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেও ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হয়েছি।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আশা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত পিটিআই দলকে দুর্বল করবে। উল্টো আমাদের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
ইমরান আরও বলেন, আমার দলকে ধ্বংস করার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তারা নারী ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীসহ ১০ হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর চেয়ে খারাপ হচ্ছে, তারা জনগণকে নির্যাতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনী ভয় না থাকলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতো।