অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের জন্য ২২টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে রয়েছে পূজামণ্ডপ বা মন্দিরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং তাদের আলাদা পোশাক, পরিচয়পত্র ও আর্ম ব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। এ ছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করতে হবে। আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, জুয়া খেলা ও আতশবাজি বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এসব নির্দেশনা মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো- পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ না করা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য ওয়াশরুমসহ স্বাস্থ্যকর আবাসনের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। ২৪ অক্টোবর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিকেল ৩টার আগেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা ওয়াইজঘাটে পৌঁছানো। ওয়াইজঘাটে সব প্রতিমা রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করা।
ডিএমপি আরো জানায়, পূজার দিনগুলোতে প্রত্যেক মণ্ডপে স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই বাণী আরও সমুন্নত করা সম্ভব হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, অভিবাসনের সঙ্গে সঙ্গে দিন দিন ঢাকায় ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
আজ ১ জুন শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে ফ্লাইটি কাতারের দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে।
এর আগে ফ্লাইটটি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইতালির স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
রোম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৩ জুলাই ইতালির রোমে পৌঁছেন।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ২৪-২৬ জুলাই ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনটি ‘সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্লানেট অ্যান্ড প্রোসপারিটি : ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ার্ড জার্নি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ২৪ জুলাই বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভাষণ দেন।
ইউএনএফএসএস+২-এ ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেও অংশ নেন। একই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে সদ্য উদ্বোধনকৃত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, ইতালির তিন মন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এএফও’র মহাপরিচালক কু ডংইউ, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এর প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেনসলি ম্যাককেইনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণকে নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন।
এ ছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও দু’টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জ্বালানি সহযোগিতা’ ও ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি’ শীর্ষক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়।
শেখ হাসিনা ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ ২০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ্ মুহিদুল্লাহ বাবুনগরী। এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশ কিছু দাবির কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে হেফাজতের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংস্কার কমিশনের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ও পারিবারিক বৈষম্য প্রস্তাব ও কমিশন বাতিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার থেকে ১ সপ্তাহ গণসংযোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমা প্রতি জেলা উপজেলায় বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলুর দাম বৃদ্ধির কারসাজি রোধে ফরিদপুরে আলুর হিমাগার ও আড়তে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে হিমাগারে ও হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে এই অভিযানে পরিচালনা করা হয়।
হিমাগারটিতে আলু মজুদের পরিমানসহ ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া ও রশিদ যাচাই বাছাই করা হয়। এসময় আলু বোঝাই একটি পিকআপ চালকের কাছে কোন ধরনের রশিদ না পাওয়ায় সেটি জব্দ করা হয়।
পরে চালক কে অনুসরণ শহরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে সেই ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে রশিদ বিহীন আলু ক্রয়ের অপরাধে দয়াল ভান্ডারের মালিক কে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: সোহেল শেখ। তিনি বলেন, আলুর হিমাগার ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোন ধরনের ক্রয় বিক্রয় রশিদ না পাওয়ায় হিমাগার থেকে একটি আলু বোঝাই পিকআপ জব্দ করা হয়। সেসময় ভোক্তা অধিকারের টিম তাকে সাথে করে ওই ব্যবসায়ীর আড়তে গেলে সেখানেও তার কোন আলু ক্রয়ের রশিদ না থাকায় তাকে জরিমানা করা হয়। আলুর বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় জেলা কৃষি বিপনন অধিপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন, জেলা পুলিশের একটি টিম ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের হিমাগারটিতে বর্তমানে ৪শ ৬২ মে.টন আলু মজুদ রয়েছে। ব্যবসায়ী ও মজুদকারীরা হিমাগারটি থেকে সপ্তাতে ৩ দিন আলু বের করে বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করে থাকেন।
আজ ফরিদপুরের বাজারে আলু পাইকারি প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন বাজার ভেদে খুচরা পর্যায়ে সেই আলু প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে ৯ বছর বয়সী এক ছেলেকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। ছেলেটির বাবা একটি গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি চালালে ছেলেটি মারা যায়। ইরানি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
শুশতার কাউন্টির পুলিশ প্রধান রুহুল্লাহ বিগডেলি পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানান, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ‘চুরি যাওয়া গাড়িটিকে গুলি করে’ থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এতে ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হয়।
পুলিশ দাবি করছে, তারা গুলি শুরু করার আগে লোকটিকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিল। গাড়ি চুরি এবং মাদক চোরাচালানসহ ওই ব্যক্তির অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, তারা একটি গাড়ি চুরি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছিল, যা এই পরিবারের গাড়ির সঙ্গে মিলে যায়।
কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা গুলি শুরু করার আগে লোকটিকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিল। কিন্তু চালক তা না মেনে দ্রুত চলে যান। ফলে পুলিশ গুলি চালায়।
ইরানি নিউজ ওয়েবসাইট জামারান ছেলেটিকে ৯ বছর বয়সী মোর্তেজা দেলফ জারেগানি বলে শনাক্ত করেছে। তারা ওই ছেলের বাবার সঙ্গেও কথা বলেছে। গুলি করার আগে পুলিশ তাকে সতর্ক করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
মোর্তেজার বাবা বলেছেন, পুলিশ কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এবং গাড়ি চুরির মিথ্যা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শুশতার শহরে তাদের গাড়িতে গুলি চালানো শুরু করে।
মোর্তেজার চাচার মতে, তারা তাদের পেছনে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে থামতে চেয়েছিল, কিন্তু কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মোর্তেজা মারা যায়।
এদিকে মোর্তেজার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। লোকেরা তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মোর্তেজার ঘটনাটি কিয়ান পিরফালাকের কথাও মনে করিয়ে দেয়। নভেম্বরে ৯ বছর বয়সী কিয়ান পিরফালাক গুলিতে নিহত হয়েছিল। তার মা ওই ঘটনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করেছিলেন। দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছিল। এরপর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন খুজেস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজেহ শহরের একটি রাস্তায় পিরফালাককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সে ওই রাস্তা দিয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল।
সূত্র : দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, ইরান ইন্টারন্যাশনাল