চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নেবে। তবে আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছ থেকে রক্ষা পাবে না। তাদের শেষ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় এ কথা বলেন তিনি। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আহম্মদ হোসেন বলেন, বিদেশে ঘুরে লাভ নেই, বিদেশিরা ক্ষমতায় উঠাতে পারবে না। দেশের মূলশক্তি হচ্ছে জনগণ। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কারা ক্ষমতায় থাকবে।
তিনি বলেন, মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি একটি গণতান্ত্রিক দল নির্বাচন ছাড়া বাঁচতে পারে না। এ কথা বিএনপির অনুধাবন করা উচিত।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহম্মদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিকেরা যুদ্ধে গিয়ে হেরে আসেন না, হারতেও জানেন না। সামনে অগ্নি পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় আবার জিততে হবে। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে মরে যাব, তবে গণতন্ত্রকে খুন করতে দেব না। পাকিস্তান মার্কা স্বাধীনতা আনতে দেব না। সরকার বহির্ভূত কোনো সরকার আসতে দেব না।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
এছাড়া সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বরাবরের মতো এবারো এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া জেলা শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৫ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী। পাস করেছে ২০ হাজার ২৯৪ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭১৪ শিক্ষার্থী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল থেকে মোট ৩০ হাজার ৯০৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪ হাজার ৯৭৩ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হর ৮১ দশমিক ৪৫। এসএসি, দাখিল ও ভোকেশনাল মিলিয়ে জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৬১।
এবছর জেলা থেকে মাদরাসার ১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থী এসএসসির দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ১০৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬জন।
এবছর জেলা থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৩১২ পরীক্ষার্থী এসএসসির ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৩ হাজার ৫৭৬ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০১জন।
বিভিন্ন বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ এ- এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ৩২১জন অংশ নিয়ে পাস করে ৩১৯জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮০জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
জেলার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ২০১জন অংশ নিয়ে পাস করে ১৯৬জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ৩৩২জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩২১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১৯৪ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৮৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এছাড়া জেলা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে পাসের হার শতভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭জন। বিয়াম ল্যাবরেটরি থেকে ৭জন অংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রেতাকে ওজনে কম দেয়ায় এক মুরগীর ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্ত দোকানের নাম বিসমিল্লাহ ব্রয়লার হাউজ। এছাড়াও একটি সবজি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা ও একটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আনন্দ বাজারের বিসমিল্লাহ ব্রয়লার হাউজে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় দেখা যায় ওই ব্যবসায়ী একজন ক্রেতাকে ৩ কেজি ওজনের মুরগীকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বলে ক্রেতার কাছ থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের দাম রাখছে। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীকে বেশি দামে মুরগী বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
তিনি বলেন এ সময় একটি সবজির দোকান ও একটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গনে ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম বাবুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস উন্নয়ণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপনুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ নূরুল্লাহ, সরুয়ারদি মৃধা, এস.এম. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার এবং মোবাইল কোট পরিচালনার মাধ্যমে তামাক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়।