চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থানা পুলিশের হাজতখানা থেকে এক আসামী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। হাজত থেকে পলায়নকারী ওই আসামীর নাম হৃদয় (১৫) ওরফে গিট্টু। সে ময়মনসিংহের বাবুল মিয়ার ছেলে। তবে বর্তমানে বিজয়নগরের জালালপুর গ্রামে নানা বাড়িতে থাকতো।
পলাতক আসামি হৃদয়কে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে মোবাইল চুরি সংক্রান্ত অভিযোগে একটি চুরির মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, পুলিশ থাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সে এখনও পলাতক আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে রাস্তা পারাপারের সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সামসু মিয়া (৫৭) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামসু বাড়িউড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে সামসু মিয়া সড়ক পারাপারের সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে ৫ শত মানুষের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরাইল সদর দপ্তর রিজিয়নের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল কাজী শামীম হাছান। ইফতার ও খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার সামগ্রী। এছাড়াও বয়স্কদের যাতায়াতের গাড়ি ভাড়াবাবদ কিছু অর্থ দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং রিজিয়ন ও ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ। এসময় মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি ডিআই পিকআপ জব্দ করে পুলিশ।
আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত জাফর ঠাকুর এর ছেলে ইমন ঠাকুর (২৪) ও বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৩)।
জানা যায়, ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে সরাইল উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে একটি ডিআই পিকাআপ ১৬ কেজি গাঁজা বহন করে যাচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে সরাইল থানা পুলিশ গাড়িটি আটক করে। এসময় গাড়িতে থাকা দুই মাদক কারবারি গাড়ি রেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে গ্রেফতার করে। বিশেষ কায়দায় গাড়ির সিটের নিচে প্লাস্টিক বস্তায় কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।