চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ২৬০ জন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করেন লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫-এ-৩ এর জেলা গর্ভনর লায়ন ফারহানা বক্স।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কাউন্সিল চেয়ারপার্সন, মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ৩১৫ বাংলাদেশ এবং সাবেক জেলা গভর্নর, জেলা ৩১৫-এ-৩ বাংলাদেশ লায়ন এস.কে কামরুল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জয়েন্ট কেবিনেট সেক্রেটারী লায়ন এ.এইচ.এম ফয়সাল, লিও ক্লাবস চেয়ারপারসন লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, রিজিয়ন চেয়ারপার্সন হেডকোয়ার্টার লায়ন মোঃ ইমরান আজমির, প্রেসিডেন্ট লিও মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ৩১৫ বাংলাদেশ লিও কাজী লামিয়া করিম, প্রেসিডেন্ট লিও ডিস্ট্রিক ৩১৫-এ-৩ বাংলাদেশ লিও সাইফ ইকবাল, লিও মাল্টিপল ডিস্ট্রিক ট্রেজারার লিও তুবা।
অনুষ্ঠানে গোকর্ণ ইউনিয়নের ২৬০ জন সুবিধা মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, ডাল, আটা, চিড়া, আলু, লবণ ও দিয়াশলাই।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের জেলা ৩১৫-এ-৩ কনভেনশন চেয়ারম্যান, ও সভাপতি সৈয়দ মোঃ শরীফ জানান, লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দান জনসেবামূলক কাজ করে থাকে। অসহায় ও গরীব মানষের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সহযোগিতা ছাড়াও ত্রাণ বিতরণসহ জনসেবামূলক কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকা থেকে গতকাল ২৮ অক্টোবর সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পালকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দ শাখার (ডিবি) পুলিশ বিভাগ।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নাসিরনগর থানায় হস্তান্তর সম্পন্ন করে। তিনি আরো জানান, অসিম কুমার পাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার মামলায় আসামি। তাকে কোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য দুর্র্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গােকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রাম থেকে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের জানান, নুর মোহাম্মদ দুর্র্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আটক নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামিল ফোরকানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যাট মো. ইসমাইল হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজটি তদারক করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
নাসিরনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছু দূর যেতেই রাস্তার মাঝ অংশে আরো কয়েকটি খুঁটি দেখা যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
চিতনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে ৭-৮টা খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। গত দুই-তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটির কাজ চলায় কাদা হয়ে গেছে। এই কর্দমাক্ত রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার বলার পরও খুঁটিগুলো সরানো হচ্ছে না।
অপর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার মইধ্যে বিদ্যুতের খুডি (খুঁটি) রাইখা কীভাবে রাস্তার কাজ করে আমার বুঝে আসে না।’
গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণকাজ চলছে। এটা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা তাঁর জানা নেই। তবে রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে হবে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যে সব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে তা সরিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।