চলারপথে রিপোর্ট :
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারে না। তারাও দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ রাসেল ৪ বিভাগীয় টি-১০ হুইল চেয়ার ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে দু’দিনব্যাপী টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এসময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেন প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ থেকে বিভিন্ন জেলার ৫০ জন প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় ৪টি টিমে অংশ নেয়। সকালে রাজশাহী বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম রাউন্ডে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ১০ ওভারে ১০৪ রান করে। জবাবে রাজশাহী ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় লাভ করে। ২য় রাউন্ডে চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৬ রান করে। জবাবে সিলেট মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে পরাজয় বরণ করে। খেলায় হুইল চেয়ারে বসেই তারা অত্যন্ত নিপুনতার সাথে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের দৃশ্য নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শকদের।
এদিকে এ ধরণের মহৎ আয়োজনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছসিত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা খেলোয়াড়রা। তারা বলেন, প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই তাদের এগিয়ে চলা। সুযোগ সুবিধা পেলে তারাও ছুঁটতে পারবে দুর্বার গতিতে। সে সাথে দেশের পতাকাকে সুমজ্জল করবে বিশ্বের মানচিত্রে।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি। বিহারের কাইমুরে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এই ভোজপুরি অভিনেত্রীর। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গায়ক ছোটু পাণ্ডেও। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ভোজপুরি চলচ্চিত্রের চার উঠতি তারকাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
জনপ্রিয় সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর দ্বিতীয় সিজনে দেখা গেছে আঁচলকে। এ ছাড়া ভোজপুরি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় মুখ তিনি। অভিনয় করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্রেও।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মোহনিয়া থানা এলাকার দেবকালী গ্রামের কাছে জিটি রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কাইমুর জেলায় একটি এসইউভি এবং মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভোজপুরি অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি, সংগীতশিল্পী ছোটু পাণ্ডেসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। সিমরান শ্রীবাস্তব নামে এক ভোজপুরি অভিনেত্রীও দুর্ঘটনায় নিহত হন।
মোহনিয়ার ডিএসপি দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, সোমবার মৃতদের শনাক্ত করা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে ভোজপুরি শিল্পী বিমলেশ পাণ্ডে ওরফে ছোটু পাণ্ডে। অন্য নিহতদের মধ্যে ছিলেন আঁচল তিওয়ারি, সিমরন শ্রীবাস্তব, প্রকাশ রাম, দধিবল সিং, অনু পাণ্ডে, শশী পাণ্ডে, সত্য প্রকাশ মিশ্র এবং বাগিশ পাণ্ডে। এদের মধ্যে বক্সারের বাসিন্দা ভোজপুরি গায়ক ছোটু পাণ্ডে, তার ভাগ্নে অনু পাণ্ডে, গীতিকার সত্য প্রকাশ মিশ্র বৈরাগী, বারানসির বাসিন্দা অভিনেত্রী সিমরন শ্রীবাস্তব এবং আঁচল তিওয়ারি ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুই নারীসহ আটজনকে বহনকারী একটি গাড়ি প্রথমে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর এসইউভি এবং বাইক উভয়ই অন্য লেনে চলে যায়, যেখানে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের সঙ্গে এসে ধাক্কা লাগে।
ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালকসহ নয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ট্রাকচালক।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘কাইমুর জেলার মোহানিয়া থানা এলাকায় এনএইচ২-এ দেবকালীর কাছে একটি ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার কলম্বোতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শ্রীলঙ্কা নারী দলের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ১ বল হাতে রেখে পৌঁছে বাংলাদেশ।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৬ রানেই ফিরে যান ওপেনার ভিস্মি গুনারত্নে। ফারিয়া তৃষ্ণা প্রথম উইকেট এনে দেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ও তিনে নামা হার্শিতা। তবে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে নাহিদা আক্তারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাঁ-হাতি আতাপাত্তু।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হারশিতা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা মিলে ৪৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। হারশিতাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। ৪৪ বলে ৫ চারে ৪৫ রান করেন, এই জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লঙ্কানরা। হাসিনী পেরেরা করেন ১ রান। কাভিশা দিলহারি ও আনুশকা সঞ্জীবনী পারেননি রানের খাতাই খুলতে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করতে সমর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা, সুলতানা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ রান করে শামিমা সুলতানা কাভিন্দির শিকারে পরিণত হন। ২৩ রানের মাথায় আরেক ওপেনার রুবিয়া হায়দারও বিদায় নেন। ১৬ বলে ৯ রান করে তিনি প্রাবোধিনির বলে ক্যাচ তুলে দেন।
চতুর্থ উইকেটে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জ্যোতি। ৫১ রানের জুটির পর বিদায় নেন মোস্তারি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৭। এরপর তৃতীয় উইকেটে রিতুমনি ও জ্যোতি যোগ করেন ৭১ রান।
ম্যাচ টাই হওয়ার পর রানআউটের শিকার হন ২৩ বলে ৩৩ রান করা রিতুমনি। তবে ৫১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জ্যোতি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। এতে দীর্ঘ ৯ বছর পর লঙ্কানদের হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগ্রেসরা।
স্পোর্টস ডেস্ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন, আফিফ ও শান্ত।
লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৯ রান।
হৃদয় আউট হওয়ার পর শামিম পাটোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৭ রান করেন শামিম।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২.৪ ওভারে ১৬ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
রাত সোয়া ৮টায় বৃষ্টি থেমে গেলে ফের খেলা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
নবি দুই দফা নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। প্রথমবার নবির ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার ফেলেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।
নবি আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান দ্রুত কিছু রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন। ১০ম ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও তাকে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৫ রান আদায় করে নেন ইব্রাহিম।
১১তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। ৫ রানে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৫ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান মোস্তাফিজ। আর ১৫ বলে ২০ রান করা করিম জানাতকে আউট করেন তাসকিন। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১১৬ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব-মোস্তাফিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।
প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।
প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।
লেখা : উম্মে হানি
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।