চলারপথে রিপোর্ট :
‘আপনার নাগালেই পরিচ্ছন্ন হাত’ স্লোগান নিয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে বরিশালে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ উপলক্ষে সাবান বিতরণ ও হাত ধোয়ার কৌশল শেখানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের হলরুমে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান তরফদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহেল মারুফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই।
সভায় ইউনিসেফের বরিশাল প্রতিনিধি, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, সুধীজন এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। পরে একটি র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার কৌশল শেখানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাই নাশকতা এড়াতে ট্রেনে বসানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছে। প্রথম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃনগর ট্রেন ও পরবর্তীতে অন্য ট্রেনগুলোতেও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
জানা যায়, শুধু ট্রেনেই নয়, যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেসব স্টেশনেও এ ক্যামেরা বাসানো হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনগুলো এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ জানুয়ারি থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসানো শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ট্রেনে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে রেল সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হয়েছে। তাই নাশকতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠেছে ডাব। এজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১২টায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে শহরের চকবাজার, থানা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ডাবের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় প্রতিটি ডাব ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক্রয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডাব বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হওয়া প্রতিটি ডাব ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি শুরু করে দোকানিরা।
এ ছাড়াও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শহরের চকবাজারের সাপ্তাহিক হাটে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় রসুনের ক্রয় রশিদ দেখাতে না পাড়ায় ও বেশি দামে রসুন বিক্রির অপরাধে দুজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করে জেলা ভোক্তা অধিকার।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টার বজলুর রশিদ, বাজার বনিক সমিতির প্রতিনিধি ও পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে ১৫শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ ভুঁইয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবেল মিয়া, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমদ প্রমুখ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ১৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ-১/২০২৩-২৪ মৌসুমে উফশী আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়ার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলার ১৫শ কৃষককে ১০ জনের গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপকারভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে রয়েছে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের ২৩০ জন, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৮০ জন, কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৩০০ জন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ১০ জন, উত্তরদা ইউনিয়নের ৮০ জন, আজগরা ইউনিয়নের ২৮০ জন, লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ২৯০ জন ও পৌরসভা এলাকার ২৩০ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম যুক্ত ছিলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প, পুনঃখননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী, খাল, জলাশয়ের উদ্বোধনসহ নতুন ২০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সব জায়গায় পানি সরে যাওয়ার জন্য জলাধার রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নদী-নালাগুলো মানুষের জীবনের মতো, এগুলোর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। মানুষের হার্ট বন্ধ হলে যেমন মরে যায়, নদী-নালার প্রবাহ বন্ধ হলে দেশটাই মরে যায়। শুধু পাড় বাঁধলেই হবে না, নদীর ড্রেজিংও করতে হবে।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রত্যেক এলাকায় নদী, খাল, বিল, হাওরের পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নদীপথগুলোও সচল করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে পিটুনি দেয় প্রেমিকার বাবা ও চাচা। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকটি মারা যায়। ছেলের মারা যাওয়ার ঘটনা শুনে যুবকের বাবাও মারা যান।
নিহত যুবকের নাম মাহিন মিয়া (২০) ও তার বাবা হিরন মিয়া (৫০)।
নিহতের ছোট ভাই আলম জনান, তার বড় ভাই মাহিনের সাথে প্রতিবেশী তন্বী আক্তারের ১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গেল বৃহস্পতিবার রাতে মাহিনকে তন্বীর বাবা মুজা মিয়া ও চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মাহিনকে বেদম পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাহিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আজ ৭মে রবিবার সকালে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে মাহিনকে ছাড় দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১১ টায় বাড়ির সামনে মাথাঘুরে পড়ে যায় মাহিন। পরে আবারও তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ছেলের মৃত্যুর ঘটনা শুনে বাবা হিরন মিয়া বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন হিরন মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর প্রেমিকার বাবা ও চাচাসহ স্বজনরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন জানান, এই পরিবারটি গ্রামের অত্যন্ত নিরীহ পরিবার। নিহত ছেলেটির টাইলসের কাজের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ভাতের হোটেলের ব্যবসা করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ডেকে নিয়ে ছেলেটিকে পিটিয়ে আহত করে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল ও চাচা জাহাঙ্গীর। এরপর থেকে ছেলেটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সকালে মৃত্যুর খবর শুনে হামলাকারীরা বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে।
মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে যান কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
বিকেলে ঘটনাস্থলে যান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হাসান।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় নিহত ছেলেটির মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে দোষীদের গ্রেফতারি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।