চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বাদ আছর জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে সদ্য প্রয়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান (সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় মানব কল্যাণ পদক প্রাপ্ত) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মিলাদ মাহফিলে চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন মার্কেট কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমের বর্ণাঢ্যময় কর্মময় জীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, জগত বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক আল মামুন, চেম্বার পরিচালক ও মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ, মসজিদ রোড ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি কে এম আনোয়ার হোসেন আনার প্রমুখ।
উক্ত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, মমিনুল আলম বাবু, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, হারুনুর রশিদ, রেজুয়ানুল হক মনি, আব্দুল মালেক ও চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
মাহফিল পরিচালনা করেন রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক মোঃ শাহ আলম।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাও: সিগবাতুল্লাহ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিতার দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন এ সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়ই বাড়িতে অত্যাচার করত। সম্প্রতি তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছুদিন ধরে সে নেশা করে বাড়ির পাশাপাশি বাইরে মানুষের উপর লাঠি-দা নিয়ে হামলা করতে যায়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার পিতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন। পরে তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকাসক্ত আশরাফুলকে তিন মাসের সাজা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন জানান, ঐ যুবক মাদকাসক্ত হয়ে অত্যাচার চালাত। তার পিতা এ অভিযোগ করলে তাকে রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের (৩৬)(৫) ধারায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে নিজেও মাদক সেবন ও অত্যাচারের কথা স্বীকার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।
পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর কনটেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে প্রচন্ড গরমে রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী মোঃ সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা- ২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রাসেল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ১টার দিকে অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে কনটেইনার ট্রেনের ৭বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। উল্লেখিত পথের আন্তঃনগরসহ সব ধরণের ট্রেন বেশ বিলম্বে চলাচল করে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করায় ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুর এলাকায় অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী (কন্টেইনার) ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী রেলপথ (আপ লাইন) দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় দাড়িয়াপুর এলাকায় রেলাইনের উপর ৫১ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিলো। রেললাইনের উপর সাধারনত ৪৫ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা গেলেই ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরেই এ পথে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। পাশাপাশি কচুরিপানা ও পানি দিয়ে রেললাইনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম. ঢাকা-সিলেট পথে বেশিরভাগ ট্রেনই বেশ বিলম্বে চলাচল করে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা মেইলসহ সব কয়টি ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুলল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগি গুলো উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে লাইন মেরামত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।