অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রয়োজন। যদি সবাইকে প্রয়োজন হয়, সবাই থাকবেন। আর যদি চান তাহলে ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইএলও’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
চলতি মাসে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন, সেখানে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আইন পাসের পাশাপাশি সংসদে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আনিসুল হক বলেন, আমরা শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের সঙ্গে আইএলও’র আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বক্তব্য নিয়ে এসেছিল আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর। আমরা সেগুলো শুনেছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে সমাধান করে ফেলেছি। যেটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার সেটা দিয়েছি। যেসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। সেগুলো আমরা ২২ অক্টোবর আবার বসে আলোচনা করব। তখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা নিয়ে বাকি বিষয়গুলোর সমাধান আসবে। পূর্বে গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, যে আস্তে আস্তে এই শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি। মূল কথা হচ্ছে তারা- শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।
সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।
আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫ বছর পর মাকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে ভাসছেন শাহানারা। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসর ইউনিয়নের পশ্চিম ধুলাসর গ্রামের আলী হোসেন ও শিরিন বেগমের মেয়ে। মাত্র ছয় বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিলেন শাহানারা। ভুলে গিয়েছিলো বাবা ও মায়ের নাম-পরিচয়ও।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পারিষদে মা এবং মেয়ের সঙ্গে দেখা হলে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শিরিন তার মেয়েকে দেখেই চিনতে পারেন। পরে ছোট বেলায় শাহানারার হাঁটুর নিচে গরম পানিতে পুড়ে যাওয়া দাগ দেখে শনাক্ত করেন তার মেয়েকে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈশবে শাহানারার হারিয়ে যাওয়ার পেছনেও ছিল আরেক করুণ গল্প। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। বাবা-মায়ের সংসারে ছিল খুব অভাব। বাধ্য হয়ে শাহানারাকে এক ব্যক্তির বাসায় কাজে দেওয়া হয়। সেখানেও এক চিলতে সুখ মেলেনি। একটা গ্লাস ভাঙার অপরাধে বেধরক মারধোর করা হয় শাহানারাকে। ভয়ে পালিয়ে লঞ্চে বরিশাল চলে যান শাহানারা। এদিকে মা শিরিন বেগম মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। শাহানারাকে না পেয়ে তিনি অনেকটা পাগলের মতো হয়ে যান।
শাহানারা বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে আমি সরকারিভাবে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ট্রেনিং করতে এই গ্রামে আসি। আসার পর থেকেই কেমন যেন আমার কাছে এই গ্রামটা পূর্ব পরিচিত মনে হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও অনেকের সহযোগিতায় আমি আমার পরিবার এবং মাকে খুঁজে পাই। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই যে আমার হারানো পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি।’
পরিবারকে ফিরে পেয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ের কথা বলছেন ফিরে আসা শাহানারা, ‘তখন আমি কিভাবে বরিশাল যাই, সেটুকু আমার মনে নেই। তবে ওখানে এক নারী আমাকে পেয়ে বরিশালের একটি এতিম খানায় দিয়ে আসেন। পরে আমি সেখানেই বড় হই। সেখানে আমার নাম রাখা হয় ইয়াসমিন। এক পর্যায় গত ১৬ বছর আগে আমাকে বিয়ে দেন জেলা প্রশাসক। আমি এখন পরিবারের সাথে বরিশাল বসবাস করছি।’
ধুলাসর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমার কাছে আসার পরে আমি বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে তার হারিয়ে যাওয়ার কথা উভয় পক্ষের কাছে শুনে নিশ্চিত হই যে, সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি এই শাহানারা। তিনি তার মায়ের কাছে এবং পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি পুকুরে ৩৫ বছর অবরুদ্ধ প্রায় ৮০-৯০ কেজি ওজনের একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চরহাজারী ইউনিয়নের চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর যাবত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমিরটি। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর শনিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট ও নোয়াখালী বন বিভাগ। সেখানে ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে নোয়াখালী বিভাগীয় উপকূলীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ে আনা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে, ঐ এলাকার অনেক মানুষ উদ্দেশ্য পূরণে মানত করে এ কুমিরকে খাবার দিত।
বন্যপ্রাণী ওজীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা অবগত হই। উদ্ধারকৃত কুমিরটি পঞ্চাশ বছর বয়সী। এর ওজন প্রায় ৮০-৯০ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্রগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর উপকূলীয় বনকর্মকর্তা আবু ইউসুফ, বন্যপ্রণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই তরুণ-তরুণীর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক, তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে সংসার শুরু করেছেন। এ দম্পতি হলেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারখালী মহল্লার আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) ও মার্কিন তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)। রিজু কম্পিউটার মেরামত ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন। ডেভিডসনের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরে। সম্প্রতি ঢাকায় আসেন ডেভিডসন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। রিজুর বাড়িতে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়েছে।
রিজুর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে- জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, ২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয়। তখনো জানতাম না তার বাড়ি কোথায়? বছরখানেক ধরে চেনাপরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালোলাগা, প্রেমের সম্পর্ক। দুজনই তাদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর পিয়ারখালী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন। এ সম্পর্কে রিজু বলেন, ডেভিডসন ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি গর্বিত। এ দেশে তার খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলা শিখেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে। তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এ দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। বিদেশি হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে খুবই খুশি রিজুর বাবা আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, ‘ওই ছেলেটির বাড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবুকে খোঁজখবর নিতে বলি। একই সঙ্গে সব নিরাপত্তার জন্য থানার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও দিই।’ কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ের সঙ্গে এলাকার একটি ছেলের বিয়ে হয়েছে খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগল। ওই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন খাতের সংস্কারে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ প্রতিনিধি এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের পুলিশ ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং বন্যা পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পুনর্গঠনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতেও সহায়তার কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী। বৈঠকে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয় উঠে আসে।
গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং তিনি ড. ইউনূসকে বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ‘অসাধারণ ভূমিকা নেয়ার জন্য’ ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব ও পরবর্তী সময়টি সমগ্র জাতির জন্য ‘সর্বাধিক ঐক্যবদ্ধ মুহূর্ত’। তার সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রত্যেকের জন্য ‘একটি উদাহরণ স্থাপন করা’। এটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার একটি সমন্বিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের ঝামেলা কমিয়ে দেবে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হবে। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে একটি কমিশনও গঠন করেছে, যাতে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।