স্পোটর্স ডেস্ক :
দলকে শুরুতেই এগিয়ে নিয়েছেন রাকিব হোসেন। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে দারুণ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে কোয়ালিফাই করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ ২০২৬ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের লেগে মালদ্বীপের মাঠে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধান নিয়ে প্রিলিমিনারি পর্ব পার করতে পেরেছে রাকিব-ফাহিমরা। দ্বিতীয় পর্বে তারা খেলবে ‘আই’ গ্রুপে থাকা বাকি দল অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আক্রমণ-রক্ষণ দুই দিকেই সমানভাবে মালদ্বীপকে চাপে রাখছিল কাবরেরার শিষ্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। দশম মিনিটে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বলে ফাহিম দৌড়ে গিয়ে বক্সের শেষ প্রান্তে বল রিসিভ করেন। বল রিসিভ করেই রাকিবের উদ্দেশ্যে দ্রুতগতির কাটব্যাক করেন। ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করলে কিংস অ্যারেনা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
প্রথম গোলের মিনিট তিনেক পরেই বাংলাদেশ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বক্সের সামনে বল ফেলেন। সতীর্থ ফরোয়ার্ড বলটি রিসিভ করলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। বিশেষ করে তার বাড়ানো দুই বলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
গোলদাতা রাকিব হোসেন গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল পোস্টে ভেড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হলেও মালদ্বীপ সমতা আনতে ভুল করেনি। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাজমার কর্ণার ফাহিম হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি। আইসাম ইব্রাহিম উড়ে আসা বল ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনার গ্যালারী নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম লেগে কয়েকটি সুযোগ মিস করা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম এবার দ্বিতীয় লেগে গোলের দেখা পেয়েছেন। ৪৬ মিনিটে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে থেকে সাদ উদ্দিনের কোনাকুনি শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক আংশিক সেভ করেন। ফিরে আসা বল ফাহিমকে লক্ষ্য করে বাড়ান সোহেল রানা। দারুণ শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সোহেল রানা লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
বিনোদন ডেস্ক :
ইংরেজ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। ২০০১ সালে ‘হ্যারি পটার’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়।
এমা দীর্ঘদিন অভিনয় করছেন না। অভিনয়ের বিষয়ে তিনি ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে’ জানান, তিনি অভিনয় পেশায় তেমন খুশি নন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ‘লিটন উইমেন’ ছবির কাজ শেষ করেন। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের শেষে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পাঁচ বছর পূর্ণ হবে তার।
এমা ওয়াটসন বলেন, আমার মনে হয়, আমাকে একটা জায়গায় আবদ্ধ করে রাখার অনুভূতি হয়েছিল। সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হয়েছিল এই যে, আমাকে বাইরে সবার কাছে এমন একটা জিনিস বিক্রি করতে হবে, যার ওপর আমার নিজের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। একটা সিনেমা করতে যাওয়া এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া ও বিভিন্ন বিষয়ে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল।
হ্যারি পটার অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আমি উপলব্ধি করলাম যে, আমি এমন সব বিষয়ের মুখোমুখি হতে চাইতাম যেখানে আমার কাজের জন্য সমালোচনা করা হবে ঠিকই, কিন্তু এমনভাবে না যে, আমি নিজে নিজেকে ঘৃণা করব। হ্যাঁ, আমি অনেক কিছু নষ্ট করেছি, এটা আমার নিজেরই সিদ্ধান্ত ছিল, আমার আরও ভালোভাবে কাজ করা উচিত ছিল যদিও।’
এমা বলেন, ‘আপাতত আমি চুপচাপ বসে সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে চাই। আমি যা করছি সেটা আমার খুবই পছন্দের। নিজেকে ভেঙে অসংখ্য মানুষ ও চেহারায় রূপ দিতে হবে না- এমনটাই চাচ্ছি আমি। আর রোবট মোডে চলে গিয়ে কাজ করতেও চাই না আমি।’
এমা ‘হ্যারি পটার’ ছাড়াও ‘নোয়া’, ‘দ্য পার্কস অব বিইং আ ওয়ালফ্লাওয়ার’, ‘দ্য ব্লিং রিং’, ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘লিটন উইমেন’সহ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
‘লিটল উইমেন’ চলচ্চিত্রটি বেস্ট পিকচারসহ ছয়টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিনোদন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এ অভিনেত্রী এখন সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও দেখা যায়। আজ তার জন্মদিন। দিনটি উদযাপন, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* জন্মদিন ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
** তেমন কিছু ঠিক করিনি। প্রতিবার যা করি এবারও তা-ই করব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। আমার স্বামী নিশ্চয়ই কিছু না কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে, আমি জানি। সেটার অপেক্ষায় আছি। সন্ধ্যায় হয়তো কিছু কাছের মানুষের সঙ্গে ছোট কোনো আয়োজন আছে। তবে বাবা-মাকে খুব মিস করব। এবার তাদের ছাড়া জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে। কারণ তারা বর্তমানে কানাডায় আছে। তাই কিছুটা মন খারাপ তো আছেই।
* জীবনের এ পর্যায়ে কখনো চাওয়া পাওয়ার হিসাব করেছেন?
** হিসাব করিনি। তবে পাওয়াটাই বেশি। সবার কাছ থেকে এত ভালোবাসা, এত স্নেহ, এত দোয়া পেয়েছি-এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। আর কীইবা চাইতে পারি। আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি। সারা জীবন এভাবেই কাজ করে যেতে চাই। আর সবাই আমাকে এবং আমার কাজকে আরও বেশি ভালোবাসবে, এটাই আশা করি।
* আপনার অভিনীত ‘পরান’ সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২-এ সেরার নির্বাচিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
** দারুণ। এ সিনেমা শুরু থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে। আর এবার তো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেল। অনেক ভালো লাগছে। দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের কষ্টকে আগেই সার্থক করেছিল। এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেই সার্থকতাকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল। এখন কাজ করার জন্য আমি আরও বেশি অনুপ্রাণিত। সামনে এমন আরও অনেক ভালো কাজ করতে চাই।
* ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করছিলেন। সেটার খবর কী?
** এটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা। এতে আমি পান্না কায়সারের (কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী) চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। এর শুটিং শেষ হয়েছে অক্টোবর মাসেই। এখন ডাবিংয়ের কাজ করছি। সেটাও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তারপর মুক্তির পরিকল্পনা। এ সিনেমাটা বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
* এছাড়া কী নিয়ে ব্যস্ত এখন?
** মাঝে অনেক ব্র্যান্ডের শুট করলাম। যেহেতু আমি একসঙ্গে অনেক ব্র্যান্ডের আম্বাসেডর হিসাবে কাজ করছি, তাই একটানা অনেক কাজ গেল। এসব কাজ ওসব ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমার অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এছাড়া নতুন করে কোনো সিনেমা বা ওটিটির কাজ শুরু করিনি। কথা চলছে বেশকিছু কাজের। দুটো ওটিটির কথা চলছে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এখনো।
স্পোর্টস ডেস্ক :
লোকশান এড়াতে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। কাজেও লেগেছিল দিনটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্প্রচার স্বত্ত্বের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো। লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে ১০০ ওভারের ম্যাচ ২২ ওভারের মধ্যে শেষ করল ভারত। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে রোহিত শর্মার দল ঘরে তুলল এশিয়া কাপের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা।
ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহ তুলে নেন কুশল পেরেরাকে।
এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শিবিরে বড় ধাক্কা দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। একে একে সাজঘরে ফেরান পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৪)।
পরে আরও দুই উইকেট দখলে নেন ২৯ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করা সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করে দেন। ২১ রানে ক্যারিয়ারে সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। বাকি তিন উইকেট হার্ডিক পান্ডিয়া দখল করে লঙ্কানদের ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট করে দেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বোচ্চ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েন।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২০১৮ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।
গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্ণামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।
শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।
৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।
তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।
শেষ উইকেটের জন্য খানিকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ১ উইকেট হারালেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট হারানোর পর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা।
চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তোলেন সাবলীল গতিতে। ফিফটির দেখা পান দুজনই। পরে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ওপেনার শিবলী।
২য় উইকেটে বড় জুটি করার পর ৬০ রানে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে খেলা রিজওয়ান।
এরপরে ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি হয় ৮৬ রানের। ৫০ রান একাই নেন আরিফুল। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি।
এই জুটি চলার সময় অপর প্রান্তে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ঝলমলে ১২৯ রান।
আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর কিছুটা ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত।
তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।
স্পোটর্স ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের মেগা আসরে জায়গা নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া। প্রথমবার ২০ দল নিয়ে আয়োজিত হবে আগামী আসরের টি-২০ বিশ্বকাপ। ১৯তম দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে তানজানিয়ার বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলটি। এদিন শুরুতে ব্যাট করে ১৫৬ রান করে তারা। জবাবে তানজানিয়া ৯৯ রানে অলআউট হয়। আসরে টানা পাঁচ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো দলটি।
বিশ্বকাপে ফাঁকা থাকা একমাত্র জায়গার জন্য বুধবার মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে ও নাইজেরিয়া এবং উগান্ডা ও কেনিয়া। চার দলের মধ্যে জয়ী দুই দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে এক দল বিশ্বকাপে যাবে।
স্বাগতিক হিসেবে ২০২৪ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে সেরা আটে শেষ করায় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করেছে। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আইসিসির টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ২০২৪ বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত।
এই ১২ দলের সঙ্গে বাছাইপর্ব থেকে আসা আট দল যোগ হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নেবে ২০ দল। এরই মধ্যে ইউরোপ অঞ্চল থেকে আয়ারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে। এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেপাল ও ওমান। আমেরিকা অঞ্চল থেকে খেলবে কানাডা। আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নামিবিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। ওই অঞ্চলে ফাঁকা থাকা জায়গার জন্য লড়ছে জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া। পূর্ব আফ্রিকা থেকে পাপুয়া নিউগিনি খেলবে ২০২৪ বিশ্বকাপে।