চলারপথে রিপোর্ট :
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর-সিপাহীপাড়া সড়কে বেইলি সেতু ভেঙে একটি মালবাহী ট্রাক খালে পড়ে আহত হয়েছেন ট্রাকচালক ও হেলপার। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরের দিকে সদর উপজেলার বণিক্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই বেশ নড়বড়ে ছিল বণিক্যপাড়া এলাকা বেইলি সেতুটি। বর্তমানে পাশেই আরেকটি কংক্রিটের কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে নির্মাণাধীন কালভার্টের জন্য নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মুক্তারপুর থেকে একটি ট্রাক আনা হয়। মালবাহী ট্রাকটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে সেতুটি। এ সময় ট্রাকটি নিচের খালে পড়ে গেলে চালক এবং তার সঙ্গে থাকে হেলপার আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার সময় অন্যকোনো যানবাহন সেতুতে না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে ভেঙে পড়া সেতুর পাশে আরেকটি বিকল্প বেইলি সেতু থাকায় জান চলাচল বন্ধ না হলেও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহীন রেজা জানান, রাতে ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল নিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। তবে পাশেই বিকল্প আরেকটি বেইলি ব্রিজ সচল রয়েছে। সেটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া নির্মাণাধীন ২২ মিটারের কংক্রিটের কালভার্টটি ৯ মিটার তৈরি হয়েছে। সেই অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কটিতে কোনো যানজট নেই।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা ভুলে না যেতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, কারণ তারা অন্য কোনো রূপে এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা ভুলে যাবেন না। কারণ, তাদের অগ্নি সন্ত্রাস অন্য কোন উপায়ে আছে কি-না বা তারা বিভিন্ন উপায়ে তা ঘটিয়েছে কিনা-সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ ১৫ এপ্রলি শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নগরীর বাজারগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত চক্রের অতীত অপকর্মের কথা মাথায় রেখে শুধু ঢাকাসহ সারাদেশের সকল শহরে বসবাসকারী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সরকার প্রধান সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আগুনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখা উচিত।
বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্র নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে বলেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রত্যেককে নিজ উদ্যোগে নিজের স্থাপনা পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর সময় বিনা প্রয়োজনে ভিড়ের অনুমতি দেয়া যাবে না ও এ ব্যাপারে কেউ কোনো বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, যখন প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন ধারণা করা হয়েছিল যে এটি একটি দুর্ঘটনা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু প্রথমটির একই সময়ে আরও কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে সকাল ৬টার পরে। নজরদারি বাড়াতে হবে এবং অন্যান্য মার্কেটগুলোকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এটি লক্ষণীয় যে, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা যখন আসে তখন তারা কিছু লোকের বাধার সম্মুখীন হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘কেন তারা বাধার সম্মুখীন হবে? সেই সময় আগুন নেভাতে গিয়ে কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দমকল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এই লোক গুলো কারা?’
শেখ হাসিনা বলেন, যে কেউ এই চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নিয়ে একটু চিন্তা করলেই তার মনে এই প্রশ্ন আসবে যে-‘এগুলো কী সাধারণ দুর্ঘটনা, নাকি এসব ঘটনার পেছনে কোনো কারসাজি আছে?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি- কিছু রাজনৈতিক দল ঈদের পর আন্দোলন করতে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। হ্যাঁ, আপনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন-তবে এই সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের কী দোষ?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ, তারা তাদের ব্যবসার জন্য এই মৌসুমের অপেক্ষা করতেন। ‘যারা এসব করেছে তারা সহজে রেহাই পাবে না, আমরা এই বিষয়ে আমাদের নজরদারি বাড়িয়েছি।’
দেশবাসীকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা স্মরণ করে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, তারা অন্য পথও বেছে নিতে পারে এবং এটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়েছে ও এখন তারা অর্থনীতিকে পঙ্গু করার পথ নিয়েছে কিনা-আমাদের এই রহস্য বের করতে হবে।’
তিনি সবাইকে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের কৌশল পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। কারণ, তারা ৩,৫০০টিরও বেশি যানবাহন, ২৯টি ট্রেন এবং ৮/৯টি লঞ্চ, ৫০০ স্কুল, ৭০টি সরকারি অফিস এবং ছয়টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা ৩ হাজারের বেশি লোক আহত ও ৫শ’ জনকে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটি নজরে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তার সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঢাকা।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন।কমিটিতে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিদ আসিফ ইনান দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে সভাপতির পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দায়িত্ব পেয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সম্পাদক সজল কুণ্ডু দায়িত্ব পেয়েছেন।আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। এই সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আজই ঘোষণা করা হচ্ছে না। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে শেখ হাসিনা কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়। কিন্তু চাঁদাবাজিসহ আরও কয়েকটি অভিযোগের কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা সম্মতির ভিত্তিতে পূর্ণ দায়িত্বে পূর্ণ মেয়াদ পার করেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
তেলবাহী লরি, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন এসকর্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এই কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সময়ে চলমান হরতাল-অবরোধে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে র্যাব-৯ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলমান হরতাল-অবরোধে জনসাধারণের চলাচলে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে এবং নির্বিঘ্নে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়ি ও তেলবাহী লরি কনভয়কে নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে র্যাব এর দায়িত্বপূর্ণ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ) জেলাগুলোতে নিয়মিতভাবে এসকর্ট প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুরগামী বিভিন্ন তেলবাহী লরি কনভয়কে নিয়মিত র্যাবের এসকর্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিলেট থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এসকর্টকরে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯। নাশকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে কেউ যেন জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র্যাব-৯ এর বিশেষ টহল এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা সাদা পোষাকে সতর্কতার সাথে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সব ধরনের পরিবহণ ও সাধারণ জনগণ যেন নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর উক্ত নিরাপত্তা জোরদারকরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৪ বছর আগে নির্মাণ শেষ হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বারইয়া সেতুটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় এখনো সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। সাতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। এজন্য চলাচলে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন বারইয়া, ঝিকিরা ও কালিগঞ্জসহ অন্তত ১০-১৫ গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মইয়ের মতো তৈরি করে পথচারীদের পারাপার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম রুট উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ সড়কের বারইয়া খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ৪ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর দুই পাশের মই বেয়ে পার হতে হচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, বারইয়া গ্রামের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রাায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই ভূমির অধিগ্রহণ মূল্য এখনো নির্ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সেতুর বাকি কাজ শেষ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল হোসেন জানান, একটা ব্রিজ নির্মাণে বহুবিধ কাজ জড়িত থাকে। ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ভাওয়ারভিটি এলাকায় এক যুবক ভুয়া পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করার সময় র্যাব-১০-এর একটি টিম সেই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো. লিটন খান (৩০) বলে জানা গেছে।
র্যাব-১০-এর মিডিয়া সেল থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ভাওয়ারভিটি এলাকায় এক যুবক ভুয়া পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ মে রাতে র্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের এক ভুয়া পুলিশকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার নিকট হতে দুটি ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, দুটি ল্যাপটপ, একটি সিডি ড্রাইভ, তিনটি হার্ডডিস্ক, দুটি ভুয়া এনআইডি কার্ড, দুটি পেনড্রাইভ, তিনটি মডেম, তিনটি মোবাইল ফোনসেট ও ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১০-এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত যুবক একজন প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ কেরানীগঞ্জসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাময়িক বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে এবং পুলিশের এএসপির পরিচয় প্রদান করে জনসাধারণের মূল্যবান জিনিসপত্র প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।