চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মেহেরাবাড়ির জিঞ্জিরা মাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের আশরাফ আলী আশুর ছেলে মাজাহারুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), ত্রিশাল উপজেলার গুজিয়াম গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে আফজাল মিয়া (২৯), মোক্ষপুর গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে রিফাত সরদার (২৫) ও মৃত শাহাব উদ্দীনের ছেলে রিয়াদ মিয়া (৪৫), সানকিভাঙা এলাকার মৃত মকবুল ঘটকের ছেলে নাজমুল হক (২৮), গৌরীপুর উপজেলার চুরালী এলাকার কিতাব আলী কেদু মিয়ার ছেলে শামীম (২৫), শ্রীপুর উপজেলার মোলাইদ মধ্যপাড়া এলাকার আউয়ালের ছেলে সোলাইমান (২৮) এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা দেওলী এলাকার অছিল উদ্দিনের ছেলে শামীম (৩৪)।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন জানান, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলো।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৯ জনকে আটক করতে পারলেও দৌঁড়ে পালিয়ে যায় আরও ৭ জন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি নীল রঙের পিকআপ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াই সেতুর কোটি টাকার জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। আরো দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় সেতুর জায়গা দখলমুক্ত করতে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী। গত ১৫ মার্চ আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হচ্ছে না দোকান নির্মাণের কাজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ রক্ষা করতে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ওয়াই সেতু। এই সেতুর নিচের এলজিইডির জায়গায় দোকানঘর তুলে দখল করে নিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। কয়েকজন ব্যক্তি দোকানঘর নির্মাণ করে দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিতে গেলে উল্টো হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে দোকানপাট নির্মাণ করার কারণে বহু বছরের পুরোনো রামকৃষ্ণপুর বাজারে যাওয়ার রাস্তা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন কি, মানুষের চলাচলের রাস্তাও বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর নিচে সরকারি জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে ১২-১৫ জন। পিলার ঘেঁষে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান নির্মাণে ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হলেও মানছে না কেউ।
অভিযোগদাতা আহসান উল্লাহ বলেন, ‘রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম এলজিইডির জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগি ও গরুবাজারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমি বাদী হয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি। ভূমি অফিস থেকে বাধা দিলেও মানছেন না শাহ আলম গংরা।’
জানা গেছে, ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। আগে সেতুটি দেখার জন্য আসতেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় সৌন্দর্য ফিকে হয়ে গেছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবারের ঈদের সময় সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়দের জোর দাবি, ভূমিখেকোদের কবল থেকে জমি উদ্ধার করে রামকৃষ্ণপুর বাজার রক্ষা ও সেতুর সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
রামকৃষ্ণপুর বাজারের ইজারাদার সফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরে যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টিকে পুঁজি করে সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম। এ কারণে আমি ইজারা নিয়েও গরুবাজার বসাতে জায়গা পারছি না। অবৈধ দখল বন্ধ না হলে সেতুর দুই পাশের আরও জায়গা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকেই দোকানঘর নির্মাণ করে দখল করছেন। তাদের দেখে আমিও দোকানঘর নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জায়গা ছেড়ে দেব।’
চান্দেরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আমান উল্লাহ জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে সরকারি জমি দখলকারী শাহ আলমকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বাধা অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করছে।
হোমনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, সেতুর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে এলজিইডি বিভাগ। জমির মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। এ জমি দখল করতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত স্থাপনার তালিকা করে উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার দাবি, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জমিটি এলজিইডি বিভাগের হওয়ায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। দখল বন্ধ না হলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ওয়াই সেতুর নিচের বাঞ্ছারামপুর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হোমনা অংশে অবৈধ দখলদার থাকলে তা দ্রুত অপসারণ করার জন্য হোমনা উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহ্যবাহী শত বছরের স্কুল পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে ক্লাস করতে হচ্ছে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে। ভবনটির টিনের চাল ফুটো থাকায় অনর্গল বৃষ্টির পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
যারা ছাতা ব্যবহার করছেন না তাদের বই, খাতা ও স্কুল ব্যাগ বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাচ্ছে। সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এ দুরাবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসছেন না বলে জানা যায়।
স্কুলটি নতুন একটি ভবন থাকলেও সেখানে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সংকট। শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরাতন আধা পাকা টিনসেডের কক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে।
শ্রেণি কক্ষে গিয়ে দেখা যায় টিনের চাল ফুটো থাকায় সরাসরি বৃষ্টির পানি পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রেণি কক্ষের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে পরশুরাম সরকারি পাইলট হাই স্কুলে। স্কুলের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ। নিচ তলায় শুধুমাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডের কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ টিনসেডের বিল্ডিং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন তারা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার।
অভিভাবকরা জানান, শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ায় তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে রাজি হচ্ছে না। স্কুলটির অধিকাংশ ক্লাসরুমের অবস্থায় খুবই জরাজীর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই চালের পানি গড়িয়ে ভেতরে পড়ে। বৃষ্টি একটু বেশি হলেই শিক্ষার্থীদের ছাতা কিংবা পলিথিন মাথায় দিয়ে বসতে হয়।
পরশুরাম সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান চৌধুরী আসিফ বলেন, ঝুকিপূর্ণ বোঝার পর শিক্ষার্থীদের এ ভবনে ক্লাস করাতে হচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। পুরাতন টিনসেডটি সংস্কারের জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। তাই এই বৃষ্টির মধ্যে বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস চলছে। নতুন ভবন নির্মান করা হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা শসসাদ বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি আজই প্রথম জেনেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সরেজমিন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন ছাড়াও ৪ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে নতুন সিইসিকে শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি। এরপর শপথ নেন চার নির্বাচন কমিশনার।
নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহ্মদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ওইদিন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান (সিইসি) করে গঠন করা হয় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
পরে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি ১নং পাড়ার যোগাযোগের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সাঁকোটি ভেসে যাওয়ার পর থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাড়াবাসী। বর্তমানে ওই পাড়ার প্রায় ৫০ পরিবারের মানুষ একরকম ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সাঁকোটি গত সোমবার ভেসে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় মোহাম্মদ রাশেদ, ইউসুফ সওদাগর, আজিজ মিয়া, আব্দুল মুনাফ জানান, বর্ষা মৌসুম আসলে তাদের দুঃখের সীমা থাকেনা। প্রতি বর্ষায়ই এই সাঁকো ভেঙে যায়। আবার এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় সাঁকো তৈরি করা হয়। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে। ওই স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, অচিরেই এই খালের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ওই খালের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাব পাস হয়ে আসলে কাজ শুরু হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরে ৬টি মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকার শেখ রতনের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম(২৬), শহরের কমলাপুর এলাকার ১৭ বয়সী এক কিশোর ও দক্ষিণ ঝিলটুলী এলাকার শেখ শফিউদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২১)।
আজ ৩ মে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের রিয়াজুল ইসলামের মোটরসাইকেল গ্যারেজ ও শহরের টেপাখোলা বেড়িবাঁধ এলাকার অর্জুনের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের গ্যারেজ থেকে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন স্থান হতে চোরাই মোটরসাইকেল কম দামে ক্রয় করতেন। পরবর্তী তাদের নিজস্ব গ্যারেজ থেকে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর বিকৃত করে বেশি দামে অন্যের নিকট বিক্রয় করতেন।
সুমন রঞ্জন সরকার জানান, এ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাথে আরো বেশ কিছু সদস্যের খোঁজ পেয়েছি। তাদেরও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিবির ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম, এসআই মো. ইমানুর হোসেন, এসআই আব্দুর রহিমসহ পুলিশ ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।