অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত খুনি যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আরো বার্তা দিচ্ছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’
‘খেলা হবে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর কবরস্থানে শুয়ে আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত? আমি বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা সাহেব, পশ্চিমারা নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতেই ব্যস্ত। আপনাদের সামলাবে কখন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে। এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক একাডেমী মাঠে দলীয় নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষক দলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক রাজিবুর রহমান রাজিব, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরু, পৌর কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন খাঁন, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মেজাম্মেল হক, যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি মানে বগুড়া-নোয়াখালী পার্টি। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়।
এটি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়স্থল। বড় আশা করে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগাযোগ করেছিল। তারা এসে ঘুরেও গেছে। তাদের একটিই প্রশ্ন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাইছি সেটা। এখন তারা বিপদে পড়ে গেছে। ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও থেকে তাদের বের হয়ে আসতেই হবে।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকেলে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় রাজনৈতিক-সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে যদি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হই তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সুতরাং নির্বাচন সময়মতো হবে। সেই নির্বাচনে জনমত কাজে লাগিয়ে কীভাবে আমরা আবারও সরকার গঠন করতে পারি- সেই চেষ্টা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন ও সংস্কৃতিকর্মী শুকলা রানী ভট্টাচার্য প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশ আজ হুমকির মুখে। এখন বাংলাদেশ অন্য দেশের তাবেদারিতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের দেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করব। বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরেকবার স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সিইসির পদত্যাগ দাবি করে চরমোনাই পির বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যে কাণ্ড ঘটিয়েছে বিশ্বে কলঙ্গের ইতিহাস হয়ে থাকবে। ধিক্কার জানাই এই সিইসিকে।
তিনি আরো বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এ সময় তারা সিইসির কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা। জীর্ণ, মুড়ির টিন চলছে। গায়ে লেখা- আল্লাহর নামে চলিলাম। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া এত বিলম্বিত করেছি, দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই, এমন আইনের দরকার কী?’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।