চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজিবি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং আমাদের সাজ-সরঞ্জামও প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লা-১০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি চূড়ান্ত ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ও মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত হচ্ছে চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। প্যাট্রলিংয়ের টাইমে টহলে একটু ফাঁকা পেলেই মাদক চোরাকারবারিরা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। স্থানীয়রা জড়িত না থাকলে, মাদকের সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রিজিয়ন কমান্ডর সরাইলের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০-এর কর্নেল শরিফুল ইসলাম মেরাজ, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।
এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের ও বিরোধীদলীয় উপনেতা নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের নিকট আজ দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে এবং বিরোধী দলীয় উপনেতার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নিকট পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা পত্র পৌঁছে দেন।
এছাড়া সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে তার কাছেও ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৩ সালে ২৫ মে যুবক মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়। তখন চিকিৎসকদের কাছে মোতালেব ওয়াদা করেছিল কখনো আর এসব জিনিস খাবেন না। কিন্তু কলমগুলো বের হতে কোনো কষ্ট না হওয়ায় যুবক মোতালেব আবারও লোহার সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি খেয়ে ফেলে। পরে পেট ব্যথা শুরু হলে পুনরায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফায় চিকিৎসকরা পরীক্ষ-নিরীক্ষার পর এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে মোতালেবের পেট থেকে পুনরায় লোহার তাঁতের সুচালো সরঞ্জাম, কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলত নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
মোতালেব হোসেন জানান, গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন অনেক কলম বের হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যথা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আবারও এগুলো খেয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর খাব না।
হাসপাতালের চিকিৎসক ইরিন আলম বলেন, গত মাসের ১৩ মে মোতালেব হোসেন পেট ব্যথা-বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যথা কমে না। এরপর আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা পাই তার পেটের ভেতর লোহার মতো সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি থেকে দেখা যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে ৪টি ধারালো লোহার তাঁতের সরঞ্জাম, একটি কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
তিনি বলেন, এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। যখন ভাল থাকে তখন কিছু করেন না। কিন্তু যখন মনে রোগটা একটু বেড়ে যায় সে অখাদ্য নানা জিনিসপত্র খেয়ে ফেলে। তাকে মানসিক চিকিৎসাও প্রদান করা হচ্ছে।
সার্জারি ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত বছর মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়েছিল। এবারও যখন পেট ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় তখন আগের সিনটম তার মধ্যে দেখা যায়। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা পর তার পেটের ভিতর থেকে এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে কলম ও সুচোলো জাতীয় ধারালো জিনিসগুলো বের করা হয়। গত বছরও অপারেশন ছাড়া বের করায় সে কষ্ট না পাওয়ায় আবারও সে এগুলো খেয়েছিল। তবে এবার ওয়াদা করেছেন আর খাবেন না।
তিনি আরো জানান, মোতালেব বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে। রোগটি পিকাসিন্ডোম নামে বিরল মানসিক রোগ। এ রোগের আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ খাবারের জিনিসের পোড়ামাটি খায়। কিন্তু মোতালেব যেগুলো খেয়েছে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। তারপরও আল্লাহর রহমতে আমরা সুস্থভাবে সেগুলো বের করেছি। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনের কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, আগে শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। তাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে বর্তমানে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নাই।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ র্যাপোটিয়ার আইরিন খান।
আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) এর ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটাকে বাতিল করতে হবে। তার পরে অন্য বিবেচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, উনাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে যাওয়ার আবেদনটা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপরই নির্ভর করে এই ব্যাপারটা। কারণ হচ্ছে এটা আইনের ব্যাপার।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আইনের যে অবস্থান এখন, সেই অবস্থানে ইট ইজ অ্যা পাস্ট ট্রানজেকশন। আমার মনে হয়, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমাদের (স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের) মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কারভাবে আবারও বলছি, যদি কোনো আবেদন আসে; সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, ৪০১ ধারায় উনাকে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়। যা তিনি মেনেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ মহান শিক্ষা দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ ও একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন।
১৯৬২ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশনে’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল-পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। এক পর্যায়ে হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন।
সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা আজ সকালে হাইকোর্ট-সংলগ্ন শিক্ষা অধিকার চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন।