চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপে গিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মন্ডপ পরিদর্শন করছেন।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাতে আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজামন্ডপসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা চলাকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কেউ যাতে কোন বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুনীল চন্দ্র দেব, আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আশীষ পাল, উত্তম রায়, সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রবীর চন্দ্র দেব, সাংবাদিক নেতা পীযুষ কান্তি আচার্য্য, এড. রাখেশ রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতনী ধর্মলম্বীদের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি পালিত হয।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। সকালে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালিবাড়ীতে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ গ্রহনকারী জেলা ব্রাহ্মণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী জানান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করার জন্য তিনি যুগে যুগে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার তার ৫ হাজার ২৪৯ তম জন্মতিথি পালন করছেন তারা। তিনি বলেন, মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে ধ্বংস করে তিনি সেখানে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট প্রণব দাস উত্তম বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে র্যালি বের করা হয়। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় প্রতি বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উৎসব মুখরভাবে পালন করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, জন্মাষ্টমীর র্যালি উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে শহরের আনন্দময়ী কালিবাড়িতে পূজার্চনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যখন অবসরে যান তখন তাকে ফুলের তোড়া ও হাতে একটি চেক দিয়ে বিদায় করা হয়। তিনি হাসিখুশিভাবে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের অবসরের সময় ফুলের তোড়াও অনেক সময় দেওয়া হয় না। চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হয়। আমরা চাই ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা হোক।
আজ ৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দশম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পান সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সঠিক বেতন-ভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত ১ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশব্যাপী সংঘটিত কোটা সংস্কার এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে নিহত ছাত্র রংপুরের সন্তান শহীদ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, জাহিদুজ্জামান তানভীম, উমর সহ কয়েক শত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, গৃহবধূ, ব্যবসায়ীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ আগস্ট শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পরিষদ নেতা শরীফ আহমেদ খান, আরমান উদ্দিন পলাশ, অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, মোঃ বাবুল চৌধুরী, আলী মাউন পিয়াস, আলী হায়দার তুষার, কাজল, ডা. মোফখখারুল ইসলাম ছামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা শেখ জুলফিকার আলী, পূর্ণ, প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, কামরুল হাসান নান্টু, রুমানা আক্তার শ্যামলী, শামছুল আলম বাবুন, নিয়ন প্রমুখ।
এদিকে, সকালে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শোকাহত ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. তৌহিদুল ইসলাম মিথিল। অনুভূতি ব্যক্ত করেন শিক্ষক আব্দুস সাকিব ছোটন, বাচিক শিল্পী আল আমিন শাহীন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, শহীদ তানভীম ও শহীদ উমরের মা বাবা, আন্দোলকারী ছাত্র জাহিদ হাসান, দূর্জয় প্রমুখ। শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র বাবা মা অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। উভয় অনুষ্ঠানে বক্তারা অতি শীঘ্রই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, নারী পুরুষদের গুলি করে হত্যাকারী ছাত্রলীগ এবং পুলিশদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন রাখা যাবে না। সমাজে চলমান বৈষম্য দূর্নীতি দূর করতে হবে। আদালতসহ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। উভয় অনুষ্ঠানে আন্দোলনের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় স্থানীয় আলেমগণ দোয়া মোনাজাত পরিচালনার পর তাবারুক বিতরণ করা হয় এবং ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সরকারি টাকায় নির্মিত শেখ হাসিনা সড়ক নামফলক ভেঙ্গে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ সড়ক” নামকরণ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিশিষ্ট আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতি’র নান্দনিক আবৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ‘আমরা ভাষায় এক,আমরা ভালোবাসায় এক’ পর্ব-৩ অনুষ্ঠানে শ্রুতির ১০ সদস্যের আবৃত্তিদল “আমরা অল্পে খুশী” শীর্ষক দলীয় আবৃত্তি উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের বাদ্য ও ছন্দের তালে রিবেশিত কবিতার পংক্তির সাথে শ্রোতারাও তাল মিলিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। দলীয় পরিবেশনা শেষে শ্রুতির কর্ণধার বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী স্মীতা ভট্টাচার্য পরপর কয়েকটি একক আবৃত্তি করে মুগ্ধ করেন সকলকে। আমন্ত্রিত দল শ্রুতির সাথে অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের অভিভাবকদল, বড়োদল, মধ্যমদল, ছোটদল ও সোনালী সকাল। স্থানীয় এসকল সংগঠনের আবৃত্তি পরিবেশনাও ছিলো উপভোগ্য। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর, উত্তম কুমার দাস। স্বরচিত কবিতাপাঠ করেন কবি শৌমিক ছাত্তার,কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়।
আবৃত্তিশিল্পী রেজা এ রাব্বী ও ফারদিয়া আশরাফি নাওমীর সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে আবৃত্তিসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, কবি আবদুল মান্নান সরকার ও কবি আবদুর রহিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায়, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, নারী মুক্তি সংসদ সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবদুল বাসেদ, সংস্কৃতিকর্মী ওয়াহিদ শামীম, নেলী আক্তার, জামিনুর রহমান, খেলাঘর আসর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফজলুর রহমান মুকুল, পূঁজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুজন দত্ত, আবৃত্তিশিল্পী আবদুস সাকির ছোটন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক সুজন সরকার বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ত্রিপুরা রাজ্যের সংগঠন শ্রুতি যৌথভাবে “আমরা ভাষায় এক, ভালোবাসায় এক” শীর্ষক অনুষ্ঠান করে আসছি। আমরা কবিতা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই মানুষের কাছে। এবারে শ্রুতির শিল্পিদের একক ও দলীয় পরিবেশনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
শ্রুতির কর্ণধার স্মীতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বিশ^াস করি সবার উপরে মানুষ সত্য। এই সত্য ও সম্প্রীতির বানী দুই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমরা ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন মিলে দুই দেশেই আবৃত্তি অনুষ্ঠান করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ আবৃত্তি ভালোবাসে। আমাদের পরিবেশনা তারা উচ্ছাসের সাথে গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, কবিতা ও গানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা সহজেই বলা যায়। আজ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আমরা চাই এভাবে কথা ও কবিতার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কবিতার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বানী খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।