চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছে মজনু মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য খালেদা মুন্নী, মো. খায়রুজ্জামান ইমরান, সোহেল রানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম। তরী সরাইল শাখার সদস্য সদস্য শাহাগীর মৃধার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- কবি আবুল কাশেম তালুকদার, মো. শাহিন শাহ, মোহাম্মদ আইয়ুব খান ও মুখলেছুর রহমান।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খানকে আহ্বায়ক ও সাংবাদিক মো. শাহাগীর মৃধাকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার সদস্য সাংবাদিক মো. আলমগীর মিয়া, রাকিবুর রহমান রকিব, নাজমা বেগম, শেখ কামরুজ্জামান সজল, জয়নাল আবেদিন, মো. বেলাল মিয়া, মো. জুনায়েদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শেখ মো. মামুন মিয়া, মো. নাজমুল হক ও মোহাম্মদ শাহিন মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পাষন্ড স্বামীর হাতে শেখ তানিয়া বেগম-(৪০) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননী খুন হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। সোমবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নিহতের সন্তান ও স্বজনরা জানান, উজ্জ্বল বিভিন্ন সময় তানিয়ার উপর কোন কারন ছাড়াই মারধর করত। সোমবার রাতে উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে তানিয়ার উপর নির্যাতন চালায়। রাতভর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ।
এ সময় ছেলে- মেয়েরা বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে মঙ্গলবার তানিয়ার বড় মেয়ে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বাড়ির সীমানা ও রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী, শিশুসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৯জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল কবির বলেন, বাড়ির সীমানা ও রাস্তা নিয়ে গ্রামের গনি মিয়ার গোষ্ঠীর ধন মিয়া ও একই গোষ্ঠীর মস্তু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে সাদেক মিয়া (৪০), শিরু মিয়া (৬৫), মস্তু মিয়া (৩৫), শিরিনা বেগম (৩০), নিশা বেগম (৩০), ইদ্রিস মিয়া (৩২), আবদুল হাকিম (৩০), হাসান মিয়া (৮) ও আক্তার মিয়া (৬৫) কে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। বাড়ির রাস্তা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেন নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ৪০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ ২ মার্চ রবিবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসন, সদর ও সরাইল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এ অভিযানের অংশ নেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা নাগাদ বিশ্বরোড এলাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বুলডেজার দিয়ে ও শ্রমিক লাগিয়ে অন্তত ৪০টির মতো দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় নতুন করে যেন আর দোকান না উঠানো হয় এ বিষয়ে স্থানীয়দেরকে সতর্ক করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন, সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্মাণের ৫ বছর পর সরাইল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৩ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এ কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নৌসাদ মাহমুদের পরিচালনায় ইউএনও মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এডঃ আব্দুল রাশেদ, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সায়েম উল্লাহ ঠাকুর, ইউপি চেয়ারম্যান আসমা বেগম প্রমুখ।