চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কসবা পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল আক্তার চড়নাল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই তাকে অন্যমনস্ক বা বিকারগ্রস্ত হয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ ভাল থাকতো আবার কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের মর্জিমাফিক চলত। এসব সমস্যায় চিকিৎসাও চলছিল। গত বুধবার তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে বড় মেয়ের কক্ষে পাঠায়। বড় মেয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে পারুল আক্তারের গলাকাটা পড়ে আছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গৃহবধূ পারুল। ঘটনার সময় গৃহবধূর হাতে ছিল রান্নার কাছে ব্যবহৃত বটি দা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে গৃহবধূ পারুল আক্তার গলা কেটে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও মিথ্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছোট ভাই আরিফুল হক রনির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি নির্বাচনে ভোট দেয় তাহলে কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণের যে উচ্ছ্বাস, যে আনন্দ, যে ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা এই নির্বাচন নিয়ে, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমি দশ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণের সেবা করেছি। আমার কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা আমি রাখতে পেরেছি। আমি আমার জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছি এবং তারা আমাকে দোয়া করেছে। তাদের দোয়া নিয়েই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে তিনি কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ ও সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিকসহ দলীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর যাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিতেন। দাবি করতেন টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আবু হানিফ তুষার ওরফে হানিফ মিয়া (৩৯) নামে এসব অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও বিভিন্ন ভিডিও ও এডিট করা ছবি উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়।
হানিফ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কারও কাছে ৫০ কোটি, কারও কাছে ১০০ কোটি, কারও কাছে ৩০০ কোটি টাকা দাবি করতেন। আর তাদের কারও সঙ্গে দামি গাড়িতে করে দামি হোটেলে সাক্ষাৎ করতেন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেতে ১০ থেকে ১১ জন তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন বা পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করা হতো। ৩০ জনের অধিক ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আবু হানিফ দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় হিসেবে মিথ্যা পরিচয় ও সুসম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতেন হানিফ।
তিনি আরো বলেন, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য সেজে নিজ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসাতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ এইচএসসি পাশ, কিন্তু একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০৮ সালে মটরপার্টসের ব্যবসার সঙ্গে জড়ান। তুষার এন্টারপ্রাইজ পরিবহন নামে তার বেশ কয়েকটি বাস ও নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার রয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কার্যক্রম শুরু তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌশলে রাজনৈতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরিচিত হতেন। পরে সুসম্পর্ক তৈরি করে ছবি তুলতেন এবং প্রতারণার কাজে এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা আক্তার নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি সৈয়দাবাদ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশু আদিবা সৈয়দাবাদ গ্রামের আলমগীর মিয়ার মেয়ে।
নিহত শিশুর চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে আদিবার মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় সবার অজান্তে শিশু আদিবা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একপর্যায়ে ঘরের পেছনে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজনের খাওয়া শেষ হলে আদিবাকে না দেখে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা-বাবা কান্নাকাটি শুরু করেন।
পরে পুরো মহল্লায় খুঁজেও না পেয়ে বিকেলে লোকজন দেখতে পান পুকুরে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে শিশু আদিবা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম খান বেদন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।