চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিশিষ্ট আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতি’র নান্দনিক আবৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ‘আমরা ভাষায় এক,আমরা ভালোবাসায় এক’ পর্ব-৩ অনুষ্ঠানে শ্রুতির ১০ সদস্যের আবৃত্তিদল “আমরা অল্পে খুশী” শীর্ষক দলীয় আবৃত্তি উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের বাদ্য ও ছন্দের তালে রিবেশিত কবিতার পংক্তির সাথে শ্রোতারাও তাল মিলিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। দলীয় পরিবেশনা শেষে শ্রুতির কর্ণধার বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী স্মীতা ভট্টাচার্য পরপর কয়েকটি একক আবৃত্তি করে মুগ্ধ করেন সকলকে। আমন্ত্রিত দল শ্রুতির সাথে অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের অভিভাবকদল, বড়োদল, মধ্যমদল, ছোটদল ও সোনালী সকাল। স্থানীয় এসকল সংগঠনের আবৃত্তি পরিবেশনাও ছিলো উপভোগ্য। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর, উত্তম কুমার দাস। স্বরচিত কবিতাপাঠ করেন কবি শৌমিক ছাত্তার,কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়।
আবৃত্তিশিল্পী রেজা এ রাব্বী ও ফারদিয়া আশরাফি নাওমীর সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে আবৃত্তিসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, কবি আবদুল মান্নান সরকার ও কবি আবদুর রহিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায়, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, নারী মুক্তি সংসদ সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবদুল বাসেদ, সংস্কৃতিকর্মী ওয়াহিদ শামীম, নেলী আক্তার, জামিনুর রহমান, খেলাঘর আসর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফজলুর রহমান মুকুল, পূঁজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুজন দত্ত, আবৃত্তিশিল্পী আবদুস সাকির ছোটন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক সুজন সরকার বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ত্রিপুরা রাজ্যের সংগঠন শ্রুতি যৌথভাবে “আমরা ভাষায় এক, ভালোবাসায় এক” শীর্ষক অনুষ্ঠান করে আসছি। আমরা কবিতা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই মানুষের কাছে। এবারে শ্রুতির শিল্পিদের একক ও দলীয় পরিবেশনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
শ্রুতির কর্ণধার স্মীতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বিশ^াস করি সবার উপরে মানুষ সত্য। এই সত্য ও সম্প্রীতির বানী দুই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমরা ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন মিলে দুই দেশেই আবৃত্তি অনুষ্ঠান করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ আবৃত্তি ভালোবাসে। আমাদের পরিবেশনা তারা উচ্ছাসের সাথে গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, কবিতা ও গানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা সহজেই বলা যায়। আজ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আমরা চাই এভাবে কথা ও কবিতার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কবিতার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বানী খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এ কর্মচারী নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজী খায়রুল আলম, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল আলিম, কাজী নুরুল আমিন আকাশ ও আতাউর রহমান রিপন মিয়া।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ফিল্ডস-এর কিছু কর্মকর্তা ২০২১ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানিতে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিস্ফোরক মামলার আসামিদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
তারা আরো বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা উপেক্ষা করাসহ যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এ নিয়োগ বাতিল করে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, জিএম ও এডমিন মাহমুদুন নবী মিলনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের সময় ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্হানীয়রা। ২০ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির ভাটপাড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই বটতলী গ্রামের আমীর খাঁর ছেলে মো. আশিক (২৫), জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজিবুর রহমান সানি (২৭) ও ঢাকার খিলগাঁও এলাকার রুবেল আহম্মদের ছেলে মো. সফিক (২৬)।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির ভাটপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের বাড়িতে কিছু লোক ঘোরাফেরা করছিল। তখন লোকমান তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। তারা লোকমানকে বলে, সে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে আসামি। তখন লোকমান তাদেরকে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি দেখাতে বললে, তাদের মধ্যে একজন লোকমানের মুখ চাপ দিয়ে ধরে টেনেহিঁচড়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি নোহা গাড়িতে তুলে ফেলে। এ সময় লোকমানের স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বাইরে এসে চিৎকার শুরু করলে তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আশিক, শফিক ও সানিকে আটক করে। তাদের সঙ্গে থাকা আরো ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ৩ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, লোকমানের ছোট ভাই খান জাহান আলী রমজানের নির্দেশে তারা লোকমানকে তুলে নেয়ার জন্য আসে। জাহান আলী লোকমানকে তুলে নেয়ার জন্য তাদের ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় লোকমান হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৭ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বজ্রপাতে আলমগীর মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমীর আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর বাড়ির পাশের জমিতে সবজির চারা রোপণ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। পরে গ্রামের লোকেরা আলমগীরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এডাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে শহর বাইপাস সড়কের সার্কিট হাউজের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এডাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি এস.এম শাহীনের সভাপতিত্বে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি প্রতিপাদ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু।
এ সময় বক্তারা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন এনজিও নারী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।