প্রাইজবন্ডের ১১৩তম ‘ড্র’, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০৮৫৮৭১৯

জাতীয়, 31 October 2023, 522 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৩তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর হলো- ০৮৫৮৭১৯।

তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী নম্বর ০৭২৬২০১। আর তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা ক‌রে দু‌টি হ‌লো, ০৭২৪৪৯১ ও ০৭৬৬৯০৪। ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী চতুর্থ পুরস্কার নম্বর দুটি হলো ০৬২৮১৪৫ ও ০৭৬৭৪৩৯।

আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের -এর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাইজবন্ডের ১১২তম ‘ড্র’, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০৭৯৮৮৯০

১১১তম প্রাইজবন্ডের ড্র, ছয় লাখ টাকা বিজয়ী ০৬৪০৮৬৪

১১০তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, ছয় লাখ টাকা বিজয়ী ০০৮৮৭০৮

প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের মোট ৭৫টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর) এ ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো: কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গষ এবং গপ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।

এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো: ০০৩৫৮৮৬, ০১৯৪৭৮৭, ০৪৫০৩৫৬, ০৬৩৬০৫৩, ০৮০৭৬২৯, ০০৩৬৩৬৯, ০২৩৭৩৯৬, ০৪৬৩৭৪৮, ০৬৫৮৩৮২, ০৮৩৯৫৪১, ০০৫২০৪২, ০২৬৮২৭৩, ০৫৩৭২৩৯, ০৬৮০২১৭, ০৮৬০৫৮১, ০০৯০৬৪৯, ০২৭০৬৪১, ০৫৬৭২০০, ০৭১৩৬৬৩, ০৯০৮৮৬২, ০১১৯২১২, ০২৮৩২১০, ০৬০৯৩৪৪, ০৭৩২৭৮৩, ০৯৪৮৫১৯, ০১২০৮৫৯, ০৩৪১৮৭৩, ০৬১৩৯৯০, ০৭৪৩০৯১, ০৯৭৮১৯৯, ০১৬২৫৩৪, ০৩৪৩৪২০, ০৬১৪৬৬৯, ০৭৪৪৫৩৩, ০৯৮৯৪৮০,০১৬৯৬৯৩, ০৪৪২৪৭৫, ০৬৩১২৪৭, ০৭৭২৬৩৯ এবং ০৯৯১৭১২ ।

Leave a Reply

আইসিসির পরোয়ানা : নেতানিয়াহু কানাডায় গেলে…

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ Read more

মামলায় কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির…

অনলাইন ডেস্ক : ৫ আগস্টের পরে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more

হরতাল ঘিরে কঠোর সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

জাতীয়, 29 October 2023, 566 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম চারজনের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাত্রিকালীন নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি, মেস ও হোটেলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এদিকে হরতাল চলাকালে রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। এর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এর ফলে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদিকে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রোববারের হরতালে নাশকতার বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশসহ সব ইউনিটকে। একই সঙ্গে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। শনিবার মহাসমাবেশে পুলিশ হত্যা, পুলিশ আহত, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ি, মেস, হোটেলে রেড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। রাস্তায় চেকপোস্ট আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। কমপক্ষে চারজন পুলিশকে অস্ত্রসহ টহল দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বার ও আবাসিক হোটেলগুলোর রেজিস্টার চেক করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছে রোবাস্ট পেট্রোল ডিউটি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় থাকা সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে না পারে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও। পুলিশের সব সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবারের মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাইবার মনিটরিং থেকে শুরু করে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। রবিবারের হরতালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবারের ঘটনার পর হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। রবিবারের হরতালে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র‌্যাব। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যারা মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব কাজ করছে। র‌্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত, শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন। অন্তত ১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি, কাকরাইল চার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনপদ

জাতীয়, 4 January 2023, 1166 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ভোর থেকে কুয়াশার প্রকোপ কম থাকলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। একদিকে অধরা সূর্য অন্যদিকে উত্তরের বাতাস- সব মিলিয়ে শীতে জবুথবু ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের সব জেলার জনপদের মানুষজন। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা সারাদেশ। তাপমাত্রার পারদ নামছে। পৌষের শেষার্ধে কনকনে ঠান্ডায় শীতার্ত হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। সারাদিন সূর্যের দেখা নেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিন দিন শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। এরপর কিছুটা কমে আবার নামবে। থেমে থেমে এভাবেই জানুয়ারি মাসটাই শীতে পার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া কখনও উঞ্চ, কখনও আর্দ্র এবং এর বাইরে সমভাবাপন্ন। সমুদ্র, পাহাড়, নদ-নদী, সবুজ-বনানী ও সমতলভূমির কারণে এখানকার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন হয় না। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনে সাম্প্রতিক সময়ে এতে পরিবর্তন ঘটেছে। এখন অসময়ে বর্ষা খরা ও শীতের প্রবণতা বাড়ছে। এখনকার আবহাওয়া পঞ্জিকার হিসাব মানছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ সাধরাণ মানুষেরা। বিশেষ করে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শীতের কারণে মাঠ-ঘাট প্রায় ফাঁকা। ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে তেমন একটা দেখা যায়নি দিনমজুরদের। রিকশাভ্যান-ইজিবাইকের সংখ্যাও কম রয়েছে রাস্তায়। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার তৃণমূল পর্যায়ের হাট-বাজারেও লোক সমাগম কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কালিসীমা এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মামুন মিয়া বলেন, শীতের কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের চেয়ে বয়স্করা আরও বেশি কষ্টে আছেন। হাড়ভাঙা শীতে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
এদিকে শীতের কারণে জেলায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। ফলে বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শেরপুরের ওষুধের দোকানি মো. সানাউল হক বলেন, বিকেল হলেই দোকানে শিশুদের ঠাণ্ডা-কাঁশির ওষুধ নিতে ভিড় পড়ে যায় মায়েদের। গত কয়েক দিনে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি বেড়েছে।
উত্তরের হিমেল বাতাস আর মেঘে ঢাকা সূর্য। দুইয়ে মিলে কনকনে শীত বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। আর এই কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের জন সাধারণ আর ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে এই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে বলে জানান খেটে খাওয়া মানুষেরা।
ঢাকার আগারগাঁও আবহাওয়া অফিসের একজন সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষা মওসুম যাত্রাবিরতি দিলে নভেম্বর মাস থেকে উত্তরে বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়। হিসাবে তখন থেকেই বাতাসে ঠান্ডার প্রভাব বাড়তে থাকে। কিন্তু শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়- তার বেশ পরে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি। বর্ষাকালে ২৬ দশমিক ৭ এবং শীতে ১৮ দশমিক ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনগত শেষরাতে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে এবং আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মাঝারি এবং তারও নিচে নেমে এলে তখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে শীত সেটিকে শৈত্যপ্রবাহ বলতে নারাজ আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের উপ-পরিচালক বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান দুপুরে বলছিলেন, চলতি শীতের বড় কারণ কুয়াশা। তিনি বলছিলেন, শীতকালে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমে শীতল থাকে। রাত-দিনে সময়ের ব্যবধান বেড়ে যায়। বাতাসে ভেসে বেড়ানো জলীয়বাষ্পকণা ঘনীভূত হয়ে ধূলিকণার সাথে মিশে কুয়াশা তৈরি করে। এই কুয়াশা সূর্যকিরণকে ভূপৃষ্ঠে নামতে বাধা দেয়। দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। আর এতে করে ঠান্ডার অনুভূতি তীব্র হয়।
আগামী তিন দিন কুয়াশার তীব্রতায় শীতের পূর্বাভাস জানিয়ে হাফিজুর রহমান জানান, এখন সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। ঢাকা শহরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়া, সেখানে শেষরাতের তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল প্রায় একই রকম শীতল থাকছে। তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার বড় কারণ এটাই। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারেরও নিচে নেমে এসেছে। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে সবধরনের যান্ত্রিক কিংবা অযান্ত্রিক বাহন চলাচল সীমিত হয়ে গেছে।
১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ববাংলার ঢাকায় আবহাওয়া অফিস চালু হয়। পুরনো রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ৪০ বছর পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে বিরাজমান জলীয়বাষ্পকনা উষ্ণতার কারণে বরফে পরিণত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে এখানে শীতের তীব্রতা সত্ত্বেও পেঁজা তুলোর মতো বরফ জমে না। ১৯৬৮ সালে সিলেট অঞ্চলে পানির উপরিভাগে পেঁয়াজের খোসার মতো পাতলা আবরণ তৈরি হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ঢাকায় ১৯৬৪ সালের ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা নেমেছিল ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আবহাওয়া বিভাগের কাছে সংরক্ষিত সর্বনিম্ন রেকর্ড।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলো থেকে তাপমাত্রার যে রেকর্ড জানা গেছে তাতে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ১, টাঙ্গাইলে ১৮ দশমিক ৫, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৯, রংপুরে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৪ সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫, সর্বনিম্ন ১৩, সিলেটে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৫, সর্বনিম্ন ১২, চট্টগ্রামে ২৫ দশমিক ৭ ও ১৪ দশমিক ৯, খুলনায় ২১ দশমিক ৫ ও ১৩ দশমিক ৫, যশোরে ১৭ দশমিক ৪ ও ১৪, বরিশালে ২৫ দশমিক ৪ ও ১৩ দশমিক ১, কুমিল্লায় ২৬ দশমিক ৩ ও ১৫, নোয়াখালীতে ২৫ দশমিক ৩ ও ১৫ দশমিক ৫, চাঁদপুরে ২৪ দশমিক ২ ও ১৫ দশমিক ৪, কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ২৭ ও সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর নেই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।

দাম বাড়ল এলপিজি গ্যাসের

জাতীয়, 3 December 2023, 495 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে এখন ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। ঘোষিত এই দাম রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৭ টাকা ২ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। আর ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারে ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো পর্যায়ে (এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ, ডিস্ট্রিবিউটর এবং ভোক্তাপর্যায়ে রিটেইলার পয়েন্টে) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে এলপিজি (বোতলজাতকৃত এবং রেটিকুলেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে সরবরাহকৃত)/অটোগ্যাস বিক্রয় করা যাবে না।

এর আগে অক্টোবর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি। যা সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮৪ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিল।

হাতিরঝিলে জি-টিভির নারী সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর লাশ উদ্ধার

জাতীয়, 28 August 2024, 131 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি-টিভির সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাহানুমা সারাহ জি-টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।

সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

তিনি আরো বলেন, তবে আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।

রাহানুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া পথচারী সাগর জানান, ওই নারীকে ঝিলের পানিতে ডুবতে দেখেন তিনি। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান ওই নারী আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাহানুমা সারাহর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট থানাকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।

নোয়াখালীতে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা সম্পন্ন

জাতীয়, 13 June 2023, 993 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীতে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা সম্পন্ন হয়েছে এবং কৃষকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা প্রাঙ্গনে তিন দিনব্যাপী এ কৃষি মেলা শেষ হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শহীদুল হক।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোশরেফুল হাসানের সভাপতিত্বে মেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ প্রমুখ।

মেলায় সদর উপজেলার বিভিন্ন কৃষকরা তাদের উৎপাদনের ফলমূল ও বীজ প্রদর্শনী করেন এবং বক্তাগণ কৃষকদের আগামীতে আরও ফসল উৎপাদন করে কৃষির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য আহবান জানান।