চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিানইদহের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপ্লব খাঁ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার বারবাজারের বাডেদিহি গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মটরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারোবাজার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন ঢাকায় ও তিনজন ঢাকার বাইরে। এ নিয়ে নভেম্বরের চার সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২৬২ জনের। গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৯৫৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকায় ২০১ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৫৮ জন।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৬১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩১ জন ও ঢাকার বাইরে ৬৭৯ জন। চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ সাত হাজার ৪৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে দুই লাখ দুই হাজার ৫৪৭ জন।
বর্তমানে সারা দেশে তিন হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার জন ও ঢাকার বাইরে দুই হাজার ৫৬৭ জন। চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৭১ জন।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত তিন লাখ চার হাজার ৮৬৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৬৮ জন ও ঢাকার বাইরে এক লাখ ৯৯ হাজার ৩০১ জন।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ৩৮২ জন ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের কৃষক কাজিমুদ্দীন ওরফে কাজু হত্যা মামলায় শরিফুল ইসলাম নামে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। শরিফুল ইসলাম (৪২) গাংনীর কাজিপুর গ্রামের রোমজিতের ছেলে। তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ মে রাত আটটার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চায়ের বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ শরিফুল ও তার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে কৃষক কাজিমুদ্দীনকে। ওই রাত্রেই কাজিমুদ্দীনের ছেলে আবু সাঈদ দফাদার বাদী হয়ে তিন নারীসহ ১০ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন।
মামলায় ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও বাদী বিবাদী পক্ষের আইজীবীদের যুক্তি তর্ক শেষে আসামি শরিফুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলায় বাদী সরকারি পক্ষের কৌশুলী ছিলেন পলব ভট্টাচার্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কেএম শফিকুল আলম।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার। এদিন অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
গত ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
এ সময় তিনি দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। কারণ তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদেন ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশটি সবার, কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়নি। রিজার্ভ নিয়েও দেশে কোনো সংকট নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রিববার দুপুরে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা সর্বত্রই বিরাজমান। এটা দূরীকরণে বর্তমান মন্ত্রীসভা কাজ করবে। দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত কাজগুলো করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। আর সুন্দর ও ভালো কাজ করতে গিয়ে হয়তো বিলম্বিত হয়। প্রকল্পে সমন্বয়ের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হয় উল্লেখ করে রাজশাহীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করছেন বলে জানান। আরডিএ থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেউ আবাসন গড়ে তুললে সেটা বে-আইনি কাজ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। সুতরাং, জেলা প্রশাসক এটা দেখুক। এরআগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।