চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবরোধের সমর্থনে আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় তা পন্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের পীরবাড়ি এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান, সাবেক ভিপি তাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন অংশ গ্রহণ করেন।
মিছিলটি বের করার ২/৩ মিনিটের মধ্যেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলটিকে ধাওয়া করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পাশের কৃষি জমিতে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশ বিরোধী নাশকতামূলক কর্মসূচি দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা সকাল থেকেই তাদের অপচেষ্টা প্রতিরোধে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। পীরবাড়ি এলাকায় তারা নাশকতার চেষ্টা চালালে আমরা সেখানে গেলে আমাদের দেখেই তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল বের করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ছাত্রলীগের ছেলেরা সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যায়। তবে সেখানে কোন সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে জেলা বিএনপির অপর অংশের নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে এক ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম মোমিনুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ অংশ নেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার মজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব কমরেড শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজকে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসাবে আখ্যায়িত করে তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে মর্মে উল্লেখ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষকদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্লে-কার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে এই বিক্ষোভ করেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, একটি বিশেষ মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য ৬ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এর ফলে ৬ শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ ধরণের অস্থিরতার কারণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে পাঠদানে ভীতি কাজ করছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আন্দোলন ছিল সংস্কারে। কিন্তু তা সেই পর্যায়ে থাকেনি। বরং প্রাইভেট টিউশন, টিফিনের টাকাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিয়মের মিথ্যাচার করে শিক্ষকদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। সেই শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। তারা বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে এর সত্যতা থাকলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। তারা দ্রুত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে ফিরিয়ে আনার দাবীর পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলমের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলীর মোড়, কালীবাড়ির মোড়, মঠের গোড়া ও কোট রোড, কুমারশীল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, যত্রতত্র পার্কিং এবং বিপুল সংখ্যক লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করায় যানজট সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে।
শহরের যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, ট্র্যাফিক বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত জেলা শহরের যানজট নিরসনে ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা, লাইসেন্সবিহীন রিকশা, অটো রিকশা শহরে প্রবেশে বাধা প্রদান করার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরসনে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। সমস্যা সমাধানে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করা ছাড়াও জনগণকে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জোর দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সনের হত্যাকান্ডের মূলহোতা উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। মূল হোতা সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক শান্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০২১ সনে আমার সন্তানরা শহীদ হয়ছে। পুনরায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কেহ দুই বৎসর, কেহ এক বৎসর কেহ নয় মাস কারাবরণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে ৪১ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ৩০ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ২৬ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেন আর হাজিরা দিতে না হয় এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের আর কোন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে হবে না এই বলে হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব কে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লমা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মেরাজুল হক, কাসেমী হাফেজ ইদ্রিস, মাওলানা আব্দুল হাফিজ নাটাই, মাওলানা তানভীরুল হক সিরাজী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রাকিবুল হাসান মুফতি জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা তারেক জামিল, মাওলানা সাব্বির প্রমুখ।