চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ নভেম্বর বুধবার সকাল দশটায় ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা, যুবঋণের চেক ও সনদ বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াকুব আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আমির আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন বা পলিথিন মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষার সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় ‘তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর প্রার্থীগণের নির্বাচনী পোস্টার প্লাস্টিক লেমিনেশন ও নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। এসব পোষ্টার শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মাটি, নদী, জলাশয় তথা পরিবেশ দূষিত ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা জানি- পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকে, ফলে মাটি ও পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ নষ্ট করে। পলিথিন জলাবদ্ধতা, নদী দূষণ, নদীর জীববৈচিত্র ও নাব্যতা বিনষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ সনের ৬নং আইনে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপণ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে বা উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, যারা আইন প্রণেতা হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তাঁরাই আইন পরিপন্থি কাজ করছেন।
তাই পরিবেশ রক্ষার বৃহৎ স্বার্থে নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন ও পলিথিন মোড়ানো পোষ্টার ব্যবহার বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ”।
এ সময় শামীম আহমেদ ছাড়াও খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরীর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সুশান্ত পাল, মো. খাইরুজ্জামান ইমরান, নাজমুল খান, মো. হেকিম, শাহ্ আবদুল মনসুর আলামিন, অমৃত ঋষি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।
মাকের্টের দোকান গুলোতে রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই কাপড়-চোপড়ের বিপুল সমাহার। ক্রেতারাও পছন্দসই কাপড় কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য মার্কেট কমিটিগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশী ছাউনী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দোকানগুলো।
প্রতিটি মার্কেটেই নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের নিউ মার্কেট, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, আশিক প্লাজা, ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ার, গ্রীণ সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, বি-বাড়িয়া টাওয়ার, গোলাপ সুপার মার্কেট, সড়ক বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে মেয়েদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্কার্ট, টপস, থ্রিপিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট শাড়ী, জয়পুরি শাড়ী, লেহেঙ্গা, পার্টি গাউন, সফট কাতান, বেনারসি, ঢাকাই জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
ছেলেদের জন্য শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, নবাবী পাঞ্জাবী, শেরওয়ানী, ফতুয়া, কাতুয়া, বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি।
সরজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার পর থেকেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভীড়। বিকেল ৫টার পর ভীড় একটু কমলেও ইফতারের পরে আবার বাড়তে থাকে ভীড়। বেচা-বিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
শহরের সড়ক বাজারের শাড়ীর দোকান কমলালয়, ইলোরা, জান্নাত ফ্যাশন, শাড়ি বিচিত্রা, নীলাচল, আঁচল নামের দোকানগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের উপড়েপড়া ভীড়।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান “পাঞ্জাবী ফ্যাশন” এ গিয়ে দেখা যায় হরেক রকমের পাঞ্জাবীর সমাহার।
শহরের কান্দিপাড়ার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ ও রুমা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
সদর উপজেলার সুহিলপুরের বাসিন্দা, ফরিদ মিয়া বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছ কাপড় কিনতে। কয়েকটা দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য একটা থ্রি-পিস ও ছেলের জন্য একটা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। তিনি বলেন, এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
মধ্যপাড়ার রুবি বলেন, প্রচন্ড গরম ও দিনের বেলা মার্কেটগুলোতে অনেক ভীড় থাকায় রাতের বেলা কিনতে এসেছি। তবে এবার কাপড়ের দাম বেশী। ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের সুপার সপ লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ এমরানুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে করোনার কারনে বেচা-কেনা কম হয়েছে।
তবে এবার বেশ ভালো হচ্ছে, আগামী দিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি। তিনি জানান, তার শো-রুমে শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও মহিলাদের থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের এলিগেন্স গার্মেন্টসের মালিক মাসুম শেখ জানান, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। আগামীদিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান পাঞ্জাবী ফ্যাশনের মালিক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য সূতি পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশী।
শহরের অভিজাত শাড়ীর দোকান কমলালয়ের মালিক আশিষ সাহা বলেন, পোশাক তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার ঈদের বেচাকেনা ভালো। বিশেষ করে থ্রি-পিসের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এছাড়াও তার দোকানে সব ধরনের শাড়ীই বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সদর ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশের ১৫ টি পেট্রোল টিম, ৫ টা হোন্ডা টিম কাজ করছে।
পাশাপাশি জরুরি সেবার জন্য ৪টি টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাতে মার্কেটে আসা কোন মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান,বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম দিলারা হারুনের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ এপ্রিল।
এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকালে প্রয়াতের কবরে ফাতেহা পাঠ, কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
তেলবাহী লরি, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন এসকর্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এই কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সময়ে চলমান হরতাল-অবরোধে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে র্যাব-৯ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলমান হরতাল-অবরোধে জনসাধারণের চলাচলে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে এবং নির্বিঘ্নে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়ি ও তেলবাহী লরি কনভয়কে নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে র্যাব এর দায়িত্বপূর্ণ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ) জেলাগুলোতে নিয়মিতভাবে এসকর্ট প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুরগামী বিভিন্ন তেলবাহী লরি কনভয়কে নিয়মিত র্যাবের এসকর্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিলেট থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এসকর্টকরে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯। নাশকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে কেউ যেন জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র্যাব-৯ এর বিশেষ টহল এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা সাদা পোষাকে সতর্কতার সাথে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সব ধরনের পরিবহণ ও সাধারণ জনগণ যেন নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর উক্ত নিরাপত্তা জোরদারকরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।