চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ নভেম্বর বুধবার সকাল দশটায় ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা, যুবঋণের চেক ও সনদ বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াকুব আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আমির আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চলমান নাশকতামূলক হরতাল ও অবরোধের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তি সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড.সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, তাঁতী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
সমাবেশ শেষে পদযাত্রাটি কাউতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুতাবাস থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিক মামুনুল হক। দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট বুধবার বিকেলে স্থানীয় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। তবে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নরেন্দ্র মোদীর ঘরে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য শেখ হাসিনা উষ্কানী দিচ্ছে।
তিনি বলেন বিগত ১৫ বছরে হাতুড়ী লীগের পরিচিতি পাওয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা সেই অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা হয় তাহলে প্রতিহত করা হবে।
এ জন্য বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও অন্তর্বর্তীকালী দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি হেফাজতের নেতাকর্মীদের ১৫ আগস্টসহ গোটা আগস্ট মাসে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে সাড়ে ৩ বছরে ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছিল।
অধিকার হারা মানুষ তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিল। তখন শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিল যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছিল সে জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করবেন। বিগত ৪৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। তিনি এখন খুনের নেশায় মাতাল। তিনি ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সাথে আখড়া বেধেছেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানান এবং সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জুনায়েদ কাসেমীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হুসেন রাজী প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।