চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির টানা দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। আর বার্ষিক আয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম। চার বছরে জিয়াউল হকের বার্ষিক আয় কমলেও নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রীর নামে সম্পদ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম।
হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচজনের মধ্যে তিনজন প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মধ্যে শাহজাহান আলম এমবিএস (মাস্টার্স ইন বিজনেস স্টাডিজ), আবদুল হামিদ ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা এলএলবি পাস। রাজ্জাক হোসেন উচ্চমাধ্যমিক ও জহিরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
নৌকার প্রার্থী শাহজাহান আলমের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি পেশায় শিক্ষক। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএস পাস। আশুগঞ্জ উপজেলায় নিজের প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তিনি। ২০১৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তাঁর নামে দুটি মামলা ছিল। তবে দুটি মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
হলফনামা অনুযায়ী, শাহজাহান আলমের বার্ষিক আয় ১১ লাখ ২৩ হাজার ১১৬ টাকা। তাঁর নিজ নামে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৬২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩২ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। নিজ নামে সোনা আছে ২০ তোলা। নিজ নামে ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৭ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ১২ লাখ ৯৬ হাজার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে তিনি ১৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
জিয়াউল হক মৃধার পেশা আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে মামলা হলেও তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়। হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল বড় ছেলের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৩১ হাজার ১২ টাকা দেখিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩১ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ২২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩১ টাকা কমেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে জিয়াউল হক মৃধার বর্তমানে নিজ নামে সরাইল ও রাজউকের পূর্বাচলের নিউটাউনে ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৭৯ টাকার সম্পত্তি, স্ত্রীর নামে ১৬৩ শতক জমি ও যৌথ মালিকানায় ৯ একর ৫০ শতক জমি আছে। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে নিজ নামে ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ডক্রুজার প্রাডোসহ ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পত্তি আছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৭ ভরি সোনাসহ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৮ টাকার এবং নির্ভরশীলদের নামে ৩৫ ভরি সোনাসহ ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকার সম্পদ আছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কৃষি ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ হাজার ৯৬ হাজার ২০০ টাকা বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ৩০ লাখ ২৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। নিজ নামে সোনা আছে ৪০ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ ভরি। সরাইলে তাঁর ১০ বিঘা কৃষিজমি ও দশমিক ৪৫ শতক অকৃষিজমি আছে। আর স্ত্রীর নামে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকার অকৃষিজমি আছে বলে হলফনামায় লেখেন তিনি।
জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুলের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ২৬ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। তাঁর নামে ৩০ শতক কৃষি জমি ও আধা পাকা টিনশেডের দুই কোঠার একটি দালান আছে।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেনের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর নিজ নামে ২৮ লাখ ৭ হাজার ৭০০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে তাঁর নামে ৩০ শতক কৃষিজমি আছে। তাঁর ১২ লাখ টাকার ব্যাংক লোন আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। এতে আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, মানবিক সরাইল জে.বি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়ার সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হলে বেকার সমস্যা সমাধানে বিদেশি সহায়তায় পাঁচটি শিল্প কারখানা স্থাপন করবো। কোনো কারণে আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে কোনো হাইব্রিড প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, অসুস্থ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী, মৌলবাদ আওয়ামী নেতা, নিজ দলে কোন্দল ও বিবাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিকে যেন নৌকার মনোনয়ন না দেয়া হয়। নেত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে আমি আপনার নৌকার পক্ষ হয়ে ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বিল্লাল মিয়া, মানবিক সরাইল জেবি দপ্তর সম্পাদক নূর নবী, সদস্য তাবারক হোসেন সহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল্লাহ সড়কের পাশে আমিনপাড়া গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে শাহবাজপুর আমিনপাড়া এলাকায় পানি নিস্কাশনের ড্রেইনসহ বিশাল এরিয়া নিয়ে কৃষিজমিতে মাঠি ভরাট করে হাউজিং প্রজেক্ট তৈরী করেছে। এই প্রজেক্টের পাশের সড়কের নীচে পানি নিস্কাশনের ড্রেন রয়েছে। এই ড্রেনের সামনেও মাটি ভরাট করা হয়েছে। তাই কোন কাজে আসছেনা ড্রেন। বৃষ্টির পানি জমে এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সহ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অত্যন্ত দুর্দশায় ভুগছেন আমিনপাড়ার লোকজন।
স্থানীয় ভুক্তভোগী হাজি শরিফ চৌধুরী, আলমগীর চৌধুরী ও শহিদ মিয়া চৌধুরী বলেন, পানি নিস্কাশনের ড্রেইনসহ জমিগুলোতে মাঠি ভরাট করার কারণে আমিনপাড়া ও যাদবপুর এলাকার বাড়িঘরসহ রাস্তায় পানি উঠে গেছে। এই পানি গুলো সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে কয়েক ধরে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। এছাড়াও প্রায় শতবিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমরা কোন ফসল করতে পারছিনা। এ সমস্যায় তিনবছর ধরে ভুগছি। বিশেষ করে শিশুরা পানিতে ডুবে যাওয়ার আতংক রয়েছে।এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজের যাইতে পারছে না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, হাজি কুদ্দুছ, সিরাজ মিয়া, মামুন মিয়া ও গরু ফার্মের মালিক সিরাজ মিয়া এই প্রজেক্ট করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, আমিনপাড়া ও যাদবপুর এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। আগে কখনো এখানে জলাবদ্ধতা ছিল না। কয়েক বছর আগে কয়েকজন মিলে জমিগুলোতে প্লট আকারে বিক্রি করার জন্য মাটি ভরাট করে। এজন্য এই সমস্য হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করার জন্যই এ সমস্যায় কয়েক বছর ধরে ভুগছেন এলাকাবাসি। এছাড়াও পানি নিস্কাসনের নালাটি বন্দ হওয়ার জন্য এই সমস্য হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরনাপন্ন হয়েছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি এর সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর-ভবানীপুর সংযোগ সেতুর ভবানীপুর খালের পাশ থেকে নবজাতকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর খালের পাশে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, কে বা কারা কখন নবজাতক ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি। জন্মের পর হয়তোব কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রড নিয়ে একটি জাহাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসেছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি বন্দরে নোঙর করে। ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে বন্দর থেকে রডগুলো খালাস করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড নিয়ে এমভি বোলকার নামে একটি জাহাজ গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। রডগুলো আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় পাঠানো হবে। এগুলোর সিঅ্যান্ডএফ করবে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আজ রবিবার বিকেলে খালাস করতে পারলে আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে রডগুলো আগরতলায় পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, জাহাজের মালামাল লোড-আনলোড বাবদ প্রতি টনের জন্য ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা ও কার্যবেক্ষণ চার্জ হিসেবে প্রতি টন পণ্যের জন্য ১০ টাকা এবং জাহাজের বার্থিং চার্জ হিসেবে প্রতিদিন ৩১৫ টাকা পাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।