চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৩৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী দুইটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ইছামতি গ্রামের ফয়সল আহমদ ( ৩০), একই এলাকার মোঃ মাসুদ আহমেদ (৩৩), নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোঃ রাকিব (৩২) ও কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের রুমন চন্দ্র দাশ (১৯)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ ও মাসুদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরেকটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকে তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬২ কেজি গাঁজাসহ মোঃ জামিল হোসেন (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জামিল হোসেন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকার তল্লাসী করে ৬২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান থেকে দিয়াশলাই আনতে গিয়ে ফাতেমা ও মঈন উদ্দিন নামের দুই ভাই-বোন নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়ার শালুক পাড়া বাজারের সামনে থেকে নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধার করে সদর মডেল থানার পুলিশ। এর আগে সকাল ৭টার দিকে মধ্যপাড়া শান্তিবাগ এলাকার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় থেকে দুই শিশু নিখোঁজ হয়।
উদ্ধারকৃত শিশু ফাতেমা ও মঈন উদ্দিন শান্তিবাগ মহল্লার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় এলাকার কাউসার মিয়ার সন্তান।
নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারের বিষয়টি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে আশুগঞ্জ উলজেলার তারুয়া ইউনিয়নের তারুয়া গ্রামের শালুক পাড়া বাজারে একটি গাড়ি থেকে দুই শিশুকে ফেলে চলে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। পরে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে শিশুদের খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং শিশুদের উদ্ধার করি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, সকালে ৭টার দিকে মধ্যপাড়া শান্তিবাগ এলাকার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় হাজী মোহাম্মদ আলী ভবনের রাস্তার পাশের মুদি মালের দোকানে যাওয়ার পর শিশুরা নিখোঁজ হয়। পরে শিশুদের খোঁজে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ শিশুদের উদ্ধারের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে শিশুদের আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে উদ্ধার করি।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বাসায় ফিরেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৫টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সাংবাদিকরা তার বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে আমার কাছে নির্বাচন অগোছালো মনে হয়েছিল। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি বেশি চাপ নিতে পারছিলাম না। বেশি চাপ অনুভব করাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারব না। এ জন্য আমি নির্বাচন ছাইড়া সইরা গেছি।’
আবু আসিফ বলেন, ‘চাপ নিতে পারছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে গিয়েছিলাম। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমি চলে এসেছি।’ কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমার একটি জায়গায়।’ সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন তাকে থামিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় আবু আসিফ নিজ কক্ষে বিছানায় কম্বল জড়িয়ে শুয়েছিলেন। কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল তাকে। সেই সময় স্ত্রী মেহেরুননিসা, শ্যালক সায়ায়েত সুমন, দারোয়ান ইছু মিয়াসহ অনেকেই তার কক্ষে ছিলেন।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন বলেন, ‘আমি আশুগঞ্জের বাসায় ছিলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে জানতে পারি, স্বামী ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় ফিরেছেন। আমাকে ফোন দেওয়ার পর ঢাকায় চলে যাই। স্বামীকে নিয়ে বিকাল ৫টায় আশুগঞ্জে চলে আসি। তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।’
মেহেরুননিসা বলেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে থেকে তিনি চাপ অনুভব করা শুরু করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই চাপমুক্ত থাকতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এক কাপড়ে গেছেন, এক কাপড়েই ফিরেছেন। এতটাই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি, নিজের মুঠোফোনটিও বাসায় রেখে চলে যান।
নিরাপত্তাহীনতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। নিজে নিজে ভয় পাচ্ছিলেন। অন্য কোনো কারণ নেই। কোনো সংস্থা বা কেউ ভয় দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানসিক চাপ থেকে ভয় পাচ্ছিলেন। নিখোঁজের দু’দিন আগেও তিনি কাজে বের হননি। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ যেমন অসুস্থ থাকে, তেমনই এখন তার অবস্থা।
এর আগে দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মেহেরুননিসার বরাত দিয়ে আসিফের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, আসিফের স্ত্রী জানিয়েছেন – তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় তাদের বাসায় আছেন। সন্ধ্যার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছাবেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুঠোফোন বাসায় চার্জারে রেখে বের হন তিনি। এর পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তার সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুননিসা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর-ভবানীপুর সংযোগ সেতুর ভবানীপুর খালের পাশ থেকে নবজাতকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর খালের পাশে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, কে বা কারা কখন নবজাতক ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি। জন্মের পর হয়তোব কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে গেছে।