অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় সাংবাদিকবৃন্দ হাইকমিশনারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরতে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। উপস্থিত সাংবাদিকরা পাসপোর্ট সমস্যা, ভিসা জটিলতাসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন স্বার্থ, সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরেন এবং তা সমাধানে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) সুফী আব্দুল্লাহিল মারুফ, আরটিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোস্তফা ইমরান রাজু, সময় টিভির মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, এনটিভির কায়সার হামিদ হান্নান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়ান টিভির জহিরুল ইসলাম হিরণ, নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির শাহাদাত হোসেন, বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রফিক আহমেদ খাঁন, বিজয় টিভির আশ্রাফুল মামুন, একুশে টিভির শেখ আরিফুজ্জামান, ফটো জার্নালিস্ট ফরহাদ হোসেন, দ্যা রিপোর্টের শওকত হোসেন জনি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর ফের ট্র্যাকে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আজ ৭ জুন বুধবার কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ফের যাত্রা শুরু করল যাত্রীতে পরিপূর্ণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নির্দিষ্ট সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৬ মিনিট দেরিতে এদিন শালিমার স্টেশন থেকে রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।
ভারতের তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথমবার ট্র্যাকে ফেরা করমণ্ডল সফরে আতঙ্কই যেন ছিল যাত্রীদের সঙ্গী। যাত্রীদের মধ্যেও চলে শুক্রবারের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা। তা সত্ত্বেও যেতে হবেই, বলছেন যাত্রীদের অনেকে। তা প্রিয়জনকে বিদায় জানিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার পর প্রথম যাত্রায় ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উদ্বেগের মধ্যেই ট্রেনটি ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর পর এসি বিকল হয়ে যায় ট্রেনের তাপানুকুল কামরার। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দমবন্ধ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর দ্রুতগতিতে মেরামত কাজ শুরু করে রেল। বি–১ এবং বি–২ কোচে এসি চালু হলেও বি–৩ কোচে ফের এসি বিভ্রাট দেখা দেয়। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায় সেটিও।
এদিকে বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিতরণের পর নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কী করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তৎকালীন রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে করমণ্ডল-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন মমতা। পাশাপাশি যারা এ দুর্ঘটনায় দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।’
জ্বালানি সম্পর্কে কাতারের আমির বলেন, ‘কাতার থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব।’
ড. মোমেন বলেন, এটি (প্রতিশ্রুতি) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮ থেকে ২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ চায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন।’
শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।
মুসলিম উম্মাহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুচ্ছ বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য অন্তরায়।’ তিনি কাতারের আমিরকে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য কাজ করার অনুরোধ জানান।
জবাবে আমির বলেন, তিনি হয়তো মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন না, তবে, মুসলিম উম্মাহ যাতে আরও অগ্রসর হয় সে বিষয়ে তার প্রচেষ্টা থাকবে।
কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে আমির বলেন, ‘এখন তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশিরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশিদের নিয়ে খুবই খুশি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বৈঠকটির পরিবেশে ছিল খুবই আন্তরিক। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, তিনি তাঁকে তাঁর গাড়ি থেকে নামার সময়ই স্বাগত জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা একাডেমির বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেন। আওসাজ একাডেমিতে ৩ বছর থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ৫০০ জন ছাত্র এবং ১৮৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এর শিক্ষার্থীদের আঁকা শিল্পকর্ম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি একাডেমিতে বাংলাদেশি অটিস্টিক শিশুদের আঁকা চারটি শিল্পকর্মও উপহার দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের দ্রুত শনাক্তকরণে কাতারের সহায়তা চান। ড. মোমেন জানান, কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, তারা একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুজন পুলিশের করা গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। নিহত ওই তরুণের নাম উইন রোজারিও (১৯)। তার পরিবার দশ বছর আগে বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। নিহত ওই তরুণ মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ বুধবার বিকেলের দিকে কুইন্সে তার নিজের বাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এক তরুণকে নিউইয়র্কে বুধবার তার কুইন্সের বাড়িতে পুলিশ গুলি করে। এতে তিনি নিহত হন। নিহত ওই তরুণ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। গুলিতে নিহত হওয়ার আগে সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, উইন রোজারিও নামের ওই তরুণ কাঁচি দিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিয়ে তেড়ে যান। এরপর একপর্যায়ে কর্মকর্তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, কিন্তু নিহত তরুণের ভাই এই গুলি চালানোর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তিনি ঘটনার পুলিশি বিবরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, তার মা ছেলেকে আটকাচ্ছিলেন এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পুলিশ অফিসারদের তাদের বন্দুক থেকে গুলি করার দরকার ছিল না।
এদিকে পুলিশ গুলি চালানোর পরপরই উইন রোজারিওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওজোন পার্কের ১০৩তম স্ট্রিটে তার পরিবারের দ্বিতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্টে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ওই পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ কর্মকর্তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সে ফুটেজ প্রকাশ করা হয়নি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ইউএস সিনেটে জয় পেয়েছেন ফ্লোরিডা রাজ্যের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি। যার ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আসছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ইউএস সিনেট ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ৫৪-৪৬ ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। পাম বন্ডির এই নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য বিচার বিভাগে আরও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে সম্প্রতি এমন কিছু প্রসিকিউটর ও এফবিআই এজেন্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলা তদন্তে যুক্ত ছিলেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যান ৫৩ জন রিপাবলিকানের সঙ্গে যোগ দিয়ে বন্ডির পক্ষে ভোট দেন।
৫৯ বছর বয়সি পাম বন্ডি ২০১০ সালে ইতিহাস গড়ে ফ্লোরিডার প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন পাম বন্ডি।
ওই পদে থাকাকালে পাম বন্ডি মানব পাচারসংক্রান্ত সমস্যার ওপর জোর দেন। সরব হন পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের আইন আরও জোরালো করার পক্ষে। কয়েক বছর ধরেই ট্রাম্প বলয়ে দেখা যায় পাম বন্ডিকে।
ট্রাম্পের শুরুর দিককার সমর্থকদের একজন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রবেশের যাত্রায় পাম বন্ডির ব্যাপক সমর্থন ছিল।
তবে বন্ডি ছিলেন ট্রাম্পের দ্বিতীয় পছন্দ। তার প্রথম পছন্দ, সাবেক কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ, হাউস ইথিক্স কমিটির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও মাদকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান এবং কংগ্রেসের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
সূত্র : সিএনএন
অনলাইন ডেস্ক :
পঞ্চমবারের মতো বিয়ে করেছেন মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। এই বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের আঙুরবাগানে।
৯৩ বছর বয়সী মারডক গত শনিবার ৬৭ বছর বয়সী এলেনা জুকোভার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এলেনা একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ জীববিজ্ঞানী। চলতি বছরের মার্চে মারডকের সঙ্গে এলেনার বাগ্দান হয়। তখনই নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, জুনে দু’জনের বিয়ে।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চ্যাপলেইন (পুলিশের বিশেষ পরামর্শক) অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে মারডকের বাগ্দান হয়েছিল। তারা বিয়ের পরিকল্পপনাও করেছিলেন। কিন্তু বাগ্দানের পরের মাসে (গত বছরের এপ্রিল) হঠাৎ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। তখন থেকেই এলেনার সঙ্গে মারডকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যানের সঙ্গে মারডকের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে। পরিচয় পরে গড়ায় প্রণয়ে। অ্যানের সঙ্গে প্রেম ও বাগ্দানের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে মারডক বলেছিলেন, ‘প্রেমে পড়ার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে এটাই আমার শেষ প্রেম। এটা ভালো, আমি ভীষণ খুশি।’ শেষ পর্যন্ত অ্যানের সঙ্গে মারডকের আর ঘর বাঁধা হয়নি।অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া মারডকের ছয় সন্তান আছে। তিনি নিউজ করপোরেশনের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান। নিউজ করপোরেশনের মালিকানায় রয়েছে ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সান ও টাইমসের মতো গণমাধ্যম।
গত বছর ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন মারডক। তিনি তাঁর ছেলে লাচলান মারডককে উভয় সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব দেন।
জানা যায়, মারডক ও এলেনার দেখা হয়েছিল একটি পার্টিতে। এই পার্টির আয়োজক ছিলেন চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেং। তিনি মারডকের সাবেক স্ত্রী। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বিচ্ছেদ ২০১৩ সালে।
মারডকের অন্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মান ও মার্কিন মডেল-অভিনেত্রী জেরি হল।
মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, প্যাট্রিসিয়াকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। একই বছর আন্নাকে বিয়ে করেন মারডক। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ২০১৬ সালে জেরিকে বিয়ে করেন মারডক। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়।
পঞ্চম স্ত্রী এলেনার আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সাবেক স্বামী রুশ তেল ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জুকোভা।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন মারডক। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও সান সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদপত্র কেনেন।
১৯৯৬ সালে ফক্স নিউজ চালু করেন মারডক। এটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় টিভি নিউজ চ্যানেল। নানা কারণে মারডক আলোচিত-সমালোচিত।
সূত্র : বিবিসি