চলারপথে রিপোর্ট :
রাঙামাটিতে বাস চাপায় দুই সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন পরি চাকমা (৪৫) ও গুরিমালা চাকমা (৫৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো চার জন। আহতরা হলেন রিপন চাকমা, পিন্টু চাকমা, রিগেন চাকমা । অপর এক জনের নাম জানা যায়নি।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৩টায় শহরের ভেদভেদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে রাঙামাটি আসে খাজা গরীবে নেওয়াজ নামে একটি বাস। বাসটি শহরের ভেদভেদী এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীসহ একটি সিএনজিকে (অটোরিক্সা) চাপা দেয়। এসময় ঘটনা স্থলে মারা যান পরি চাকমা ও গুরিমালা চাকমা। আহত হন সিএনজি চালকসহ চারজন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার করে প্রথমে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিহতদের হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় তাদের স্বজনদের।
নিহত পরি চাকমা ও গুরিমালা চাকমার স্বজনরা বলেন, শনিবার হাট থাকায় জুমের উৎপাদিত ফসল নিয়ে রাঙামাটি শহরে এসেছিল তারা। কিন্তু হাট শেষে সবাই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। এসময় তাদের স্বজনদের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের চারপাশ।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আর এমও ডা. মো. সওকত বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বাস চালক। তাকে আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর আবু তৌহিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈরী আবহওয়া চলছে। আজ ২৭ মে সোমবার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে জেলার তিতাস ও মেঘনা নদীতে বেড়েছে পানি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রবিবার থেকে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর নৌবন্দর থেকে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১শ’ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুইদিনে তিতাসের পানি বেড়েছে দশমিক ৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে দশমিক ৮৬ মিটার। তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহববু আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা না থাকলেও সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি ও আটক না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ২ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি ও আটক না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে যেন হয়রানি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।আটকদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি আদায় হওয়ায় আশা করি তারা এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ঘরে ফিরে যাবে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তে তাদের আওতা বাড়ানো হয়েছে। এখন কমিশনে তিন জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। অনেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রেরণ করেছেন। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী; দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩২) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ ১ মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ পিলারের সামনে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় আল আমিনকে গুলি করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে আল আমিনের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসে বিজিবি ও বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ৪৯ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার অজিত কুমার যৌথ নেতৃত্ব দেন।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী কালনী ও উপবন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রী বিরতি দেয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন বৃদ্ধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারী মুক্ত করার দাবিতে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, কবি দেওয়ান মারুফ, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, খেলাঘর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউছার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের আসন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন শুরু করি, তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন ট্রেনের আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মতো।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে কোন টিকেট কালোবাজারী নাই, আমরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনকে কালোবাজারী মুক্ত দেখতে চাই। বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কালনী, বিজয় ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া না হলে জেলার সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে কথা বলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাত ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না থাকা, বি এস টি আই এর অনুমোদন ব্যতীত মালামাল বিক্রি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরি করার দায়ে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ্ সোয়াইব মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেনেটারী কর্মকর্তা মৃনাল চন্দ্র দেবনাথ, কলাপাড়া পুলিশ সদস্যরা।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলো আমির বেপারী পাঁচ হাজার টাকা, মো.ইব্রাহিম পাঁচ হাজার, আরিফুল ইসলাম দুই হাজার, গাজী আনোয়ার এক হাজার পাঁচশত, আবুবক্কর আড়াই হাজার টাকা, আল মদিনা হোটেল আট হাজার এবং আনিকা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ছয় হাজার টাকা।