চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহাদী (১৬) নামের কিশোর নিহত হয়েছেন। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের বড়হরণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহাদী উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মাসুকুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহাদী বড়হরণ বাজারে একটি দোকানে টেইলারিংয়ের কাজ করে। আজকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে জুতা নিয়ে ঢিলাঢিলি করার সময় মাহাদীর জুতা বাজারের দোকানের চালে আটকিয়ে যায়। পরে মাহাদী জুতা জন্য চালে উঠলে ওইখানে থাকার বিদ্যুৎতিক তারের সঙ্গে স্পর্শ হইলে মাহাদী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মাহাদীকে মৃত ঘোষনা করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তি ও চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুণর্বহালের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন হয়েছে। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ছাত্র ও ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, আনিক হাসান, মোঃ শরীফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গ্রেফতার করতে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। তাই বক্তারা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকুরীতে পুণঃর্বহালের দাবি জানানোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে বৈষম্যদূর করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি দোকানে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে জয় রেফ্রিজারেশন নামের একটি দোকানে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মোফাসসিল (২২), ইসরাফিল (১৭) ও মোহাম্মদ আরমান (১৮)। তারা তিনজনই ওই দোকানের কর্মচারী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রেফ্রিজারেশন দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করার সময় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হয়ে দোকানে আগুন লেগে যায়। এতে দোকানের তিন কর্মচারী দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি শুভ সূচনা হয়। একই সময়ে শহরের ফারুকী পার্কে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রথমেই স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
পরে পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।
এর পর স্মৃতিসৌধ উম্মুক্ত করে দিলে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংণাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। পরে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, কারাতে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২৭ নভেম্বর অবিস্মরণীয় ৪১তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলন এবং এ আন্দোলনের চূড়ান্ত পূর্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহুত সর্বাত্মক সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে অবরুদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে ১৯৮৪ সালের তৎকালীন (এরশাদ) সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শাহাদাৎ বরণকারী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবস।
উল্লেখ্য, মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করার দাবিতে বিগত ১৯৮৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে কয়েক মাস ব্যাপী পর্যায়ক্রমিক আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২৭ নভেম্বর হরতাল চলাকালে জেলা সদর ছিল ঊর্মিমূখর শ্লোগানে মুখরিত। জনতা রেলওয়ে স্টেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। যার ফলে, রেল ও সড়ক পথে পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ ছিল সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। পলু নিহত হওয়ার খবরে জেলা সদরের সর্বত্র জনজীবনে স্তব্ধতা নেমে আসে। পলুর লাশ নিয়ে জনতার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় ট্রেন এবং যানবাহন আটকা পড়ে। পরে বিষয়টি এরশাদ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অবগত হলে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিজাত হয়। এর সিদ্ধান্ত অনুসরণে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনে উবায়দুর রউফ পলু নামে ১জন ছাত্র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের ৪৫টি মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলো এবং বিদ্যমান ১৯টি সহ দেশে মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টিতে উন্নীত করা হয়।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গঠিত উপ কমিটির প্রস্তুতি সভা ১৯ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাতে আহবায়ক মোহাম্মদ আমির হোসেন ফারুক এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য সচিব জিয়া কারদার নিয়ন এর উপস্থাপনায় কর্মসূচি প্রণয়নের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, মোঃ হারুন আল রশীদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টায় কালোব্যাজ ধারণ, শেরপুরস্থ শহীদ উবায়দুর রউফ পলু’র কবর জিয়াত, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকল মসজিদে দোয়া এবং সন্ধ্যায় বাদ মাগরীব শহরের পূর্ব পাইকপাড়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আলোচনা সভায় আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। উদ্বোধন করবেন দিবস উদযাপন উপ কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আমীল হোসেন ফারুক।
সভায় আগামী ২৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবসের সকল কর্মসূচি নির্ধারিত সময়ে সফল করার জন্য জেলা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।