ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন : জামানত হারাচ্ছেন ৩ প্রার্থী

আশুগঞ্জ, সরাইল, 6 November 2023, 1556 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই জামানত হারাচ্ছেন।

banner

৫ নভেম্বর রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।

তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপ-নির্বাচনেও যারা এক ভাগের কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপ-নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ১৩ হাজার ৫৪৪ ভোটের বেশি। তাই জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে ৩ হাজার ১৮৬, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫৫১ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

সেচ বন্ধে ক্ষতির মুখে ৫০ হাজার কৃষক

আশুগঞ্জ, 1 March 2024, 718 Views,

আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্প

চলারপথে রিপোর্ট :
মেয়াদ শেষে নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় প্রায় তিন বছর বন্ধ সেচ কার্যক্রম। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ৫০ সহস্রাধিক কৃষক বাড়তি সেচ খরচ মেটাতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ। প্রতি মৌসুমে প্রায় ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন কম হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন দ্রুত না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।

banner

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বলছে, কিছু সংশোধন, সরেজমিন যাচাইসহ সেচ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও টেকসই প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্তের কাজ শেষ পর্যায়ে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন ইউনিটের টারবাইন ঠান্ডা রাখতে মেঘনা নদীর বিপুল পরিমাণ পানি লাগে। পরে এই বর্জ্য পানি একটি আউটার চ্যানেল দিয়ে পুনরায় নদীতে ফেলা হয়। ১৯৭৫ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি হেড রেগুলেটর নির্মিত হলে পানির গতিপথ আংশিক পরিবর্তন করে তা পার্শ্ববর্তী জমির সেচ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। এটিই ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে বিএডিসির অধীনে ‘আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প’ নামে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। একই সময় নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এ ধরনের প্রকল্প গড়ে ওঠে। পরে ১৯৯০-৯৫ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দুটিকে একীভূত করে যাত্রা শুরু হয় ‘আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্প’, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৩০ জুন।

কৃষকরা জানায়, গভীর কিংবা অগভীর নলকূপ থেকে ভূগর্ভস্থ পানি সেচকাজে ব্যবহার করলে একরপ্রতি তাদের জ্বালানি খরচসহ লাগে ৮-১০ হাজার টাকা। বিপরীতে প্রকল্পের পানিতে একরে সেচ খরচ ২ হাজার টাকার মতো। কৃষি বিভাগের হিসাবে প্রকল্পের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ, সরাইল, সদর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার এবং পলাশের ১৬ হাজার কৃষক এর সুবিধাভোগী। তারা নামমাত্র খরচে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পেয়ে আসছিল। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ যেমন কমত, তেমনি গড়ে ৭০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হতো। কৃষকরা প্রতি বোরো মৌসুমে আশুগঞ্জ অংশে প্রায় ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন করে আসছিল, যা এখন একেবারে বন্ধের পথে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পুকুর আংশিক ভরাট ও পরে ২০২০ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নে সেচ প্রকল্পের প্রায় ১১ কিলোমিটার ড্রেন ও খাল ধ্বংস হয়ে যায়। এর পরই সেচ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। এক পর্যায়ে ‘আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে স্থানীয় কৃষকরা আন্দোলনে নামলে বিএডিসির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব পায়। ২০১৯ সালের আগস্টে বিএডিসি, সওজ ও সিইজিআইএস যৌথ জরিপ শেষে সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয় ও বিএডিসির কাছে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়। ২০২০ সালের ১৭ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রকল্পটি সচলে যেসব সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। পাশাপাশি বিএডিসি সেচ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়। কিন্তু সেটি সাড়ে তিন বছরেও অনুমোদন পায়নি।

সেচ সুবিধাভোগী কৃষক রশিদ আহম্মদ, সেলিম মিয়া, দুলাল মিয়া ও স্কিম ম্যানেজার মো. বাছির জানান, সেচ বন্ধ থাকায় তিন বছর ধরে তাদের শত শত একর জমি অনাবাদী। অনেকে গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে আবাদ করলেও খরচ পড়ছে কয়েক গুণ। প্রকল্পটি দ্রুত চালু না হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা।

আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাহীন সিকদার বলেন, ‘এটি ব্যতিক্রমী সেচ প্রকল্প। দেশের কোথাও এতো কম খরচে সেচ সুবিধা নেই। প্রকল্প চালু থাকলে প্রতি মৌসুমে অন্তত ২৫ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারে এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

বিএডিসির উপপ্রধান প্রকৌশলী ও আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের ফোকাল পারসন মোহাম্মদ ওবায়েদ হোসেন বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত প্রকল্পের কিছু বিষয় যাচাই-বাছাই করছে। শীঘ্রই প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে কাজ শুরু করব।’

চলন্ত ট্রেনে কন্যাসন্তানের মা হলেন জান্নাতুন

আশুগঞ্জ, 25 March 2024, 668 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আন্তঃনগর ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতুন (৩০) নামের এক মা।

banner

২৪ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার মাঝামাঝি চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে মা ও নবজাতককে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জান্নাতুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার বাসিন্দা ও ইকবাল মিয়ার স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সস্ত্রীক ট্রেনে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ইকবাল। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন অতিক্রম করার পর ইকবালের স্ত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ওই বগিতে থাকা এক নারী চিকিৎসকসহ অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ওই মা।

নবজাতকের বাবা ইকবাল মিয়া বলেন, আমরা ‘ড’ বগিতে ছিলাম। ভাগ্য সহায় থাকায় এ বগিতে একজন নারী চিকিৎসক ছিলেন। ট্রেনেই আমার স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে। এটি আমার দ্বিতীয় সন্তান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, প্রসূতি সন্তানপ্রসব করায় ঢাকা কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন : ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

আশুগঞ্জ, সরাইল, 20 October 2023, 1607 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

banner

প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন কলার ছড়ি প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন আম প্রতীক এবং জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরণ-বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি বলেন, আপনারা সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। নতুবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আপনাদেরকে জরিমানাসহ আইনি ঝামেলায় পরতে হতে পারে। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন আচরণ-বিধি মেনে চলেন। আমরা সকলের সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেব।

এদিকে প্রতীক পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি। আমি আশা করি জনগণের ভালবাসায় উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।

অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমি এরশাদ ও রওশন এরশাদের অনুসারী জাতীয় পার্টি করি। এর আগেও আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দুইবার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার জাতীয় পার্টি দুইভাগে বিভক্ত হওয়ায় আমি দলীয় প্রতীক চাইনি। আমাদের অনুসারীদের পছন্দে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কলার ছড়ি বিজয়ী হবে।

উল্লেখ্য এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করলে এই সংসদীয় আসনটি শুন্য হয়।

শহরতলীর ঘাটুরায় ১৪ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, 29 December 2022, 2859 Views,

গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে বাখরাবাদের জোরালো অভিযান

 

banner
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ে এবার অভিযান চালানো হয়েছে শহরতলীর ঘাটুরা এলাকায়। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম প্রকৌশলী আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কর্মকর্তারা ঘাটুরার ১৯টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় অবৈধভাবে নেয়া ১৪টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাখরাবাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়।
জানা গেছে, বাখরাবাদের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও সদরের কিছু অংশ এবং সরাইলের আংশিক অংশে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায় ও অবৈধ গ্যাস সযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে প্রতি সপ্তাহের দুইদিন বাখরাবাদের কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসব অভিযানে প্রচুর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায় করা হয়। সম্প্রতি বাখরাবাদের প্রধান কার্যালয়ে নির্দেশনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় বকেয়া বিল আদায়ে আরও বেশি তৎপর হয়েছেন। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহেই শহরের মুন্সেফপাড়া ও সদরের রাজঘরে অভিযান পরিচালনা করে বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার শহরতলীর ঘাটুরা এলাকায় ১৯টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সম ১৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ পান। এসবের বৈধতা প্রমাণ করতে না পারায় কর্মকর্তারা ১৪টি বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
অভিযানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার (ই.এস শাখা) প্রকৌশলী শফিকুল হক, ম্যানেজার (সেলস) প্রকৌশলী কিরণ শংকর পাল, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলামসহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে চারদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, 16 May 2023, 2676 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজের আওতায় গ্যাস পাইপ লাইন স্থানান্তর কাজের জন্য চারদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

banner

এরই অংশ হিসেবে আজ ১৬ মে মঙ্গলবার থেকে ১৯ মে শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ফলে এসব এলাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ২৫ হাজার গ্রাহকের সংযোগের পাশাপাশি সিএনজি পাম্পগুলোও বন্ধ রয়েছে।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক মো. আকতারুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলায় চারলেন সড়কের ইউটিলিটি শিফটিং (উপযোগিতা হস্তান্তর) এর আওতায় সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাস পাইপ লাইনের হুকআপ ও কমিশনিংয়ের কাজ করবে। অর্থাৎ সড়কের পাশ থেকে গ্যাস পাইপ লাইন নিরাপদ দূরত্বে স্থানান্তরের কাজ করা হবে। তাই চারদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বুধবার থেকে বাণিজ্যিক এলাকার বড় গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দিতে। তবে আবাসিক এলাকার গ্রাহকদের সংযোগ দিতে চারদিন সময় লাগবে।