চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ জগৎসার থেকে ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা নারীর ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজকে সকালে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার বাজারের শাহজালাল টিন এন্ড হার্ডওয়্যারের দোকানের সামনে থেকে এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করি। ওই মহিলা রাধিকা ও জগৎসার গ্রামে ভিক্ষা করতো এবং ওইখানে থাকতো। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ওই নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পিবিআই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়েছেন। তারপরও পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, আজকে মঙ্গলবার বাদ আসর বেওয়ারিশ লাশের দাফনকাজ করা হবে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ইয়ামাল অরলান’। রাশিয়ার এ জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বিকালে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজ শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার এমভি ইয়ামাল অরলান জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট অসীম কুমার সাহা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬৮ প্যাকেজে থাকা ২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে গত ৩১ আগস্ট রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইয়ামাল অরলাম জাহাজটি। জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। বিকালে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজও শুরু হয়েছে। খালাস করা এসব মেশিনারি পণ্যের অধিকাংশই সড়ক পথে আর ভারী কিছু মালামাল নদী পথে দ্রুত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি স্যাপোডিলা একটি জাহাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্প মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস এবং একশ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমূখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাওয়ের কিনেছি।বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছে। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে হাসপাতালের রোগীসহ গ্রাহকদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ সমঝোতার ভিত্তিতে পুনরায় চালু করা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুতের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এর মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এছাড়া ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এবং উপ মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়াও রয়েছেন। শাটডাউনের ফলে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন উপজেলার মিল কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও অসুবিধার মুখে পড়েন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউন চলছিল। বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। খেজুরের প্যাকেটে এর জাত ও মূল্য না থাকায় ওই ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, খেজুরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার কোর্ট রোড, মসজিদ রোড ও থানা রোডের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কয়েকটি দোকানে জাত ও দাম না লেখা এবং ক্রয় রশিদ না থাকার বিষয় পরিলক্ষিত হয়। অভিযানের সময় খোলা খেজুর ডেকে বিক্রি করার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় নয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এতে অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ৮ মার্চ শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ডাউন পথের এক নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। ঘটনার প্রায় নয় ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ছেড়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বগিটি রেখে সকাল পৌনে নয়টার দিকে ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের স্টেশনের এক নং লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মো. কবির হোসেন, সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকির, ট্রেন যাত্রী এমরান উদ্দিন ও মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আনঅফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি থামার আগ মুহূর্তে মাঝামাঝি থাকা ‘ঝ’ বগি লাইন থেকে সরে যায়। এতে ট্রেন বেশ ঝাঁকুনি খায়। ট্রেনের কয়েকটি বগিতে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বগি সরিয়ে নেয়। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে একই গন্তব্যের তুর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।