চলারপথে রিপোর্ট :
স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশে এখন আর কোন মানুষ অভুক্ত থাকেনা। মানুষ যাতে কোন ধরনের কষ্ট না করে সেজন্য করোনা মাহামারীর সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছেন।
তিনি আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের নতুন ভবনের নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পরে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণী সম্পদের প্রতি খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাণী সম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পদ মর্যাদা দিয়েছেন। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আয়োজনে শহরের দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান কমপ্লেক্সস্থ জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে বিশাল শ্রমিক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি এড. কাউসার আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এড. কামরুজ্জামান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিনার আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সহ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, শেখ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন খান, আমিন শাহ, খবির উদ্দিন আহমেদ, দুলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লু মিয়া, রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক লীগের সভাপতি হোসেন মিয়া, ইজিবাইক শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির হোসেনসহ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের উর্ধ্বে থেকে আজ আরো সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্বতঃর্স্ফুত উপস্থিতি তার স্বাক্ষী বহন করে। এই সুশৃংঙ্খল ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় এদেশের প্র্রধানমন্ত্রী করে দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো যৌক্তিসঙ্গত। আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শ্রমিকদের কল্যাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
আলোচনাসভা শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি যে পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় সেটি স্পষ্ট করেছেন বাসের চালক মো. আসাদুল হক।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সাথে কারো কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে কথা, কথাও হয়নি বলে তিনি জানান।
তবে, এর আগে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে দাবি করেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। একইসঙ্গে ভারতীয় একাধিক পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত খবরে ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে যায়।
এ সময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ছিল ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক তাৎক্ষণিকভাবে বলেন, ‘একটি ট্রাক উল্টা দিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিতে ধাক্কা খায়।
তিনি আরো বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাটি সরিয়ে নেই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
সংবাদ সম্মেলনে চালক বলেন, ‘চলার পথে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দুর্ঘটনা এটি। দুর্ঘটনাও একেবারে সাধারণ। এটি মোটেও পরিকল্পিত নয়। পরিকল্পিত হামলার কথা শুনে রীতিমতো হাসি পায়।’
সংবাদ সম্মেলনে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট বায়জিদ মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ছুটে যান। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক মো. ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। বাসের চালক ও অটোরিকশাচালকের মধ্যে সমঝোতা করে যে যার মতো চলে গেছেন।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা রাজধানী আগরতলা থেকে আন্তঃদেশীর শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস চলাচল করে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় এই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রং দেওয়া হচ্ছে, যা সত্য নয়। এটা নিছক একটা দুর্ঘটনা। এখানে সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো জানান, এই সড়কটি ভারতীয় একটি কোম্পানি নির্মাণ কাজ করছে। এই সড়কের এক লেনে যান চলাচল করে। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় সময় ঘটে থাকে। দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও ডেলিভারি ম্যান কর্তৃপক্ষের লোকজন কথা বলে নিষ্পত্তি করেন। বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া এ দুর্ঘটনা নিয়ে রং ছড়াচ্ছেন। এটা স্রেফ দুর্ঘটনা, কোন হামলা নয়।
এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, ভোক্তাবিষয়ক, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। শনিবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বাসটি যে বাংলাদেশের বিআরটিসি পরিবহনের, সেটি তিনি লেখায় উল্লেখ করেননি।
এ ব্যাপারে আজ ১ ডিসেম্বর রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এখানে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির বর্ষপূর্তিতে ফান রান দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড় থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদেরা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরে সূর্যের আলো উঠার আগেই শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সের দৌড়বিদরা লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ে জমায়েত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিলারা আক্তার খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠনের এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রাজন মিয়া।
শহরের লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ের প্রধান ফটক থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে শহরের তিতাস নদীর বুক চিরে বের হওয়া নতুন সড়ক সীমনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের (শেখ হাসিনা সড়ক) তৃতীয় সেতু পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর থেকে শহরের শিমরাইলকান্দি সেতু পর্যন্ত আসা-যাওয়া ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা চলে। ফান রানে দুই কিলোমিটার দৌড়ে শিশুরা, ৪৫ বছর বয়স থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা ৫ ও ১০ কিলোমিটার এবং নারীরা ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন। ৫ ও ১০ কিলোমিটার সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮৫ জন অংশ নেন।
দৌড় শেষে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের শিমরাইলকান্দি সেতুতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান। অংশগ্রহণকারীদের একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রাজন মিয়া বলেন, সুস্থ্য দেহ ও সবল মনের জন্য ২০২১ সালে এই সংগঠন করেছিলাম। নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় সংগঠনের ৫০ সদস্য প্রতিদিন দৌড়ান। সংগঠনটির সক্রিয় রানার সংখ্যা এখন শতাধিক। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। আগামী বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মানের বড় পরিসরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রফেসর দিলারা আক্তার জানান, প্রথমবারের মতো শিশুরা অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। সকলকে এই সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও মেধাবীদের কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল কুমারশীল মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহ আলম পালোয়ান বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা কোটা বা সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই কোটা সংস্কার করে পাঁচ ভাগে নামিয়ে আনা হোক।
ফাহিম মুনতাসির বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়কে সবসময় সম্মান জানাই। আমরা কোটা বাতিল চাই না, কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে না, আমাদের অবস্থান কোটা সংস্কারে পক্ষে। আমরা চাই কোটাকে সংস্কার করে মেধাবীদের কর্মসংস্থান করা হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও লাইফ স্টাইল হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের উদ্যোগে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলামের পরিচালনায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা অংশ নেন লাইফ স্টাইল এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া ও ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, পৌর কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন, শেখ মাহফুজ, জেলা নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, মোঃ ইস্কান্দার মিয়া, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরামউল্লাহ বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্য খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে প্রত্যেক মানুষকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তিনি সমাজের বিশিষ্টজনদের নিরাপদ খাদ্য নিয়ে জনগণকে সচেতন করার আহবান জানান।