চলারপথে ডেস্ক:
ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে পোশাকশ্রমিকদের। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।’
‘এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।’
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
‘শ্রমিক নেতা ও মালিকরা যারা আছেন আমি প্রত্যেকের কাছে আহ্বান জানাবো, আপনারা কারখানা খুলে দেবেন, শ্রমিক ভাইদের বলবো কাজে যোগদান করতে। উভয়পক্ষের কাছে আমি আবেদন করবো মালিকদের সহনশীল ভূমিকা রাখার জন্য। এর কারণ এ আন্দোলনে ভুল করুক, ক্রটি করুক, যেটিই করুক পেটের দায়েই তো মানুষ অনেক কিছু করে। তাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে কর্মে যেন তারা সঠিকভাবে যোগ দিতে পারেন।’
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রমিক ভাই-বোনদের বলবো শিল্পই আপনার জীবন কিন্তু। এ শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি, মালিক কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরে। সুতরাং সেদিকে লক্ষ্য রেখে শান্তিপূর্ণভাবে যার যার কাজে গিয়ে কারখানাকে কর্মচঞ্চল করে তুলবেন। অর্থনীতির চাকা হলো আপনাদের কাছে। সেই চাকা যেন বন্ধ না হয়। আপনারা কর্মে যোগ দিয়ে শিল্প শান্তি আনবেন, দেশের উন্নতিতে আপনাদের অবদান রয়েছে। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কথায় কান দেবেন না এটা আমাদের আবেদন।’
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষ সবসময় সহনশীল। মালিকপক্ষের সামনে দিয়ে যখন শ্রমিকরা ভাঙচুর করে আমরা কিন্তু কখনো আমাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাই না। শ্রমিকরা কাজ করেনি তার পরেও কারখানা বন্ধ রেখেছি, আমরা যথেষ্ট সহনশীল।
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। মজুরি বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত অনেকটাই একমত হন মালিক-শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিরা।
এর আগে মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধির দেওয়া ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার প্রস্তাবের বিপরীতে মালিকপক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব দেয়। দুই পক্ষের দেওয়া প্রস্তাবে গড়ে প্রায় অর্ধেক ফারাক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনে গাজীপুরের দু’জন পোশাক শ্রমিক মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শ্বাসনালিতে মারবেল আটকে মো. জাবের (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত জাবের ওই গ্রামের মো.মাসুদ মিয়ার ছেলে। বাড়ির সবার অগোচরে মারবেল নিয়ে খেলার একপর্যায়ে সেটি মুখে নিলে গলায় ভেতরে গিয়ে শ্বাসনালিতে আটকে যায়। তাৎক্ষণিক শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
চলারপথে ডেস্ক :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে মুখে মদ ঢেলে টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছে মাস্তানেরা। অটোরিক্সার অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বিবাদকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশের টহলরত টিম আহতকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। মারধরের শিকার আমিনুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। তিনি উপজেলার আঠারবাড়ি মরিচপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী আমিনুল জানান, ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ঈশ্বরগঞ্জে ৫ যাত্রীসহ তারা দুই পুলিশ সদস্য অটোরিক্সায় ওঠেন। এ সময় অপর পুলিশ সদস্য সোহাগী যেতে চাইলে ২০ টাকার ভাড়া ৭০ টাকা দাবি করলে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চালক ও মাস্তানবাহিনী আমাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়।
পরে আবার মাস্তানেরা এসে আমার ওপর চড়াও হয়ে কিলঘুসি মারে আর পানি খাবি বলে মুখে ও শরীরে মদ ঢেলে দেয় এবং মানিব্যাগে থাকা টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর বিচার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সংগঠনের বিচার এখনো হয়নি। আমার মনে হয় সেটাও সম্ভব যদি আমরা চিন্তা করি। কিন্তু মুশকিলটা হলো, এখনো বিভ্রান্ত করার সুযোগ রয়ে গেছে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রথমত তাঁকে চিনেছি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য। দ্বিতীয়ত, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে অসামান্য অবদানের কারণে।’
ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধপদ্ধতির বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক ও দুইয়ে আজ পর্যন্ত ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বিচারকাজে বাকি চ্যালেঞ্জগুলোও জয় করা (ওভারকাম) সম্ভব। সে জন্য ক্রমাগত চাপ ও দাবি অব্যাহত রাখতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারে ট্রাইব্যুনালের জনবলসংকটকে ‘প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কেউ কেউ মারা গেছেন, অনেকের বয়স হয়েছে। এখন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় নতুন করে সদস্য নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিচারকাজ চালু রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’
মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানা রকম বিষোদগার করছে। বিটিসিএলের উচিত এসব ভিডিও সরিয়ে দেওয়া।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা সবাই ন্যায়বিচার পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার স্বামীকে (শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলবদররা। কিন্তু আলবদরের মতো সংগঠনগুলোর বিচার তো হয়নি। তাহলে আমি কি ন্যায়বিচার পেয়েছি? এই দুঃখ আমাদের আছে।’
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ট্রাইব্যুনালে ৩০টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এই মামলাগুলোতে আনুমানিক ২০০ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। এই মামলাগুলোতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ২০০ থেকে ২৫০ সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ মামলা তদন্তের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আসামি এবং সাক্ষী সবারই বয়স ৭০-এর বেশি। প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়তো আর তিন-চার বছর পর এদের কাউকেই আমরা বিচারের জন্য পাব না। তাই দুটি বা প্রয়োজনে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলমান মামলাগুলো নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩২ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিজড়াদের গল্প একটি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে মন্দির ভাঙচুরের মাধ্যমে আমাদের এই দেশে মৌলবাদের যে একটি ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমরা এই দেশ গড়েছিলাম মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতির ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা এখনো এই নীতিগুলোকে ধারণ করেন তারা কবীর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন অনুপ্রেরণার আশায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গুজবকাণ্ডের’ এক সপ্তাহ পর ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের বাস আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাসে দুই দেশের মিলিয়ে ২৪ জন যাত্রী ছিল।
৩০ নভেম্বর শ্যামলী পরিবহনের ওই বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটিতে হামলা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীদেরকে গালমন্দ করা হয়। তবে একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাসের চালক মো. আসাদুল হক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে থাক কথাও হয়নি বলে তিনি জানান। অটোরিকশা চাপার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসের সঙ্গে চাপা খেয়ে সড়ক বিভাজকে আটকা পড়ে। এতে সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বলেন, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাস নিয়ে আগরতলা থেকে এসেছেন। যাত্রাপথে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। বাসে ২৪ জন যাত্রী রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জেলা শহরের নাগরা আয়শা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলার প্রশিক্ষণ অফিসার চন্দন কুমার মহাপাত্রসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে জেলার কৃষি অফিসার, উপ-সহকারী, মাঠ অফিসার, কৃষক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ধান ও বিভিন্ন রবিশস্যসহ মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৮ হেক্টর জমি এবার কৃষি ফলানোর আওতায় আনা হয়েছে।