চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।
তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের কৃতি সন্তান জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে তার র্কমদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ দমন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা, পুলিশ সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার “প্রসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (বিপিএম)” পদকে ভূষতি করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারডে গ্রাউন্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক এ পদকটি প্রদান করনে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, রেঞ্জ ডিআইজি, রাজশাহীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি পদক প্রাপ্তির জন্য জেলা পুলিশের সকল সদস্যের র্অজন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার সকল সহকর্মীসহ জয়পুরহাট জেলাবাসির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লষ্টি সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য র্কমসূচি হল–ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, প্রধান বিচিারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচবি এবং আইজিপির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সম্মেলন। আইজি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ।এছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধবিশেনে গত এক বছররে কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরর্বতী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ ৩ মার্চ শেষ হবে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ নুরে আলম বিগত ২০২২ সালের ২২ আগস্ট জয়পুরহাটরে পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করনে। মোহাম্মদ নূরে আলম অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন র্কমর্কতা পুলীশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও অপরাধ দমনে সাফল্য অর্জন, একই সাথে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা প্রতিটি ক্ষণইে বৃদ্ধি পায়। সেলক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলা। ভারত থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে ভেসে গেছে পুরো এলাকা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ফেনী জেলা। এই জেলার মোবাইল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলায় ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্য ১০ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্যে বিটিআরসি জানায়, বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকা এবং টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক সচল করা যাচ্ছে না।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ১৩ হাজার ২৪০টি টাওয়ারের মধ্যে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬১টি টাওয়ার অচল ছিল। এর মধ্যে ফেনী জেলার ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ টাওয়ারই অচল হয়ে গেছে। এরপর নোয়াখালী জেলার ২১ শতাংশের বেশি, খাগড়াছড়ির ১৫ শতাংশের বেশি ও কুমিল্লার প্রায় ১৪ শতাংশ টাওয়ার অচল।
ফেনী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার সচল করা কাজ চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে বলে জানায় বিটিআরসি। সংস্থাটি জানায়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টাওয়ার সচল করতে সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে যেসব টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে, পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সচল করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব মেঘনায় রেলওয়ে সেতু পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেন থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তানভীর নামে এক যুবক। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা কেটে গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
আজ ১ জুন শনিবার সকাল ১০টায় ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর ওপর শহীদ হাবিলদার রেলওয়ে সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তানভীর আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার মেরাজ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তানভীরের। সেই মোতাবেক মালয়েশিয়া যেতে বাড়িতে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হন। ছেলেকে বিমানে তুলে দিতে বাবাও বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন।
বিমানবন্দর এসে হঠাৎ জানতে পারে অনিবার্য কারণে মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এরপর ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বাবার সঙ্গে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন তানভীর। ট্রেনটি মেঘনায় রেলওয়ে সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় হঠাৎ দরজা থেকে পা পিছলে সে নদীতে পড়ে যান। পরে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তানভীরের সন্ধান মেলেনি।
ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চলন্ত ট্রেন থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। এরপর থেকে তার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন’র নেতৃত্বে বড় ধরণের এই অভিযান দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির দোতলা ভবনের একটি কক্ষে থেকে এসব নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়। এসময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির জনতা ব্যাংকের পূর্ব পার্শ্বের একটি দোতলা ভবনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আছে বলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা কর হয়। তবে অভিযানের সময় কাউকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। খবর দিয়ে জাল ব্যবসায়ী একজনকে এনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ এসব জাল আটক করে পরে দিরাই বিএডিসি মাঠে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, হাওরে দেশীয় জাতের মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য এসব জাল হুমকি স্বরূপ। তাছাড়া চায়না দোয়ারী মাছের পাশাপাশি অন্যান্য জীববৈচিত্রও নষ্ট করে দেয়। এজন্য প্রশাসন নিষিদ্ধ এসব জাল আটকের অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সীমান্তে সশস্ত্রবাহিনীকে ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক এ সব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং গোলাগুলি হচ্ছে সেটা এসে বাংলাদেশের মধ্যে পড়ছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে, মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজ ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটি স্কুলে আপাতত তাদের রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য, অথবা ফেরত পাঠানো যদি না যায় তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কি করা যায় সেটা দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বর্ডার ফোর্স তাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। বর্ডারে স্কুলগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোববার মর্টার শেলিংয়ে আমাদের একজন মারা গেছে, ওদের একজন মারা গেছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।