চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে (কচি মোল্লা) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৮ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব।
হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি পৌর শহরের মৌড়াইল এলাকার বাসিন্দা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে র্যাব আটক করে রাত দেড়টার দিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার নামে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিনের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পৌর শহরের ট্যাংকের পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে শহরের ট্যাংকের পাড়ের সামনে ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক বাচ্চার মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, ট্যাংকের পাড়ের আশপাশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। কেউ হয়তো রাতে অবৈধভাবে গর্ভপাত করে নবজাতকের মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে যান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ দেড় মাস পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন। বিচারপ্রার্থীরাও আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। এতে আদালতের স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা) ছুটিতে থাকায় বিচার কাজ পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক। ফলে সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা।
এদিন দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারকে তার এজলাসে বসে স্বাভাবিক বিচার কাজ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। জেলা জজের এজলাসেও আইনজীবীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রবিউল আলম ট্রাইব্যুনাল -১ এর মামলাগুলো পরিচালনা করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সোমবারের বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনজীবীর আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিয়েছেন।
নতুন মামলা রুজু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করতে থাকেন।পরে জেলা ও দায়রা জজ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অপসারণ এবং নাজির মোমিনুল ইসলামের বিচারের দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা দফায় দফায় আদালত বর্জন করেন।
পরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি আদালত ছাড়া অন্য সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকেন। এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বাত্মক আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
এতে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে স্থানীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু।
ডেপুটি কমান্ডার গাজী রতন মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারুল হক ফরিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহনেওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোঃ আহসানউল্লাহ হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীসহ দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত প্রবাসী মায়ের মরদেহ দেখতে ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। এরপর সড়কপথে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসীর নাম শাহ আলম (৬২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাজাহান মেম্বারের ছেলে। অপরজন হলেন শাহ আলমের ছোট বোন জামাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৫) নিহত হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহ আলম সকালে বাংলাদেশে আসেন।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে আনতে ছোট বোনজামাই সেলিম ও ভাগনে সাব্বির একটি মাইক্রোবাস ঢাকা নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান মারা গেছেন। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি আইসিইউ হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফায়েজুর রহমান ফয়েজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়াবেটিক, হাই প্রেসার ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল দুপুর দেড়টায় তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব কক্ষে অসুস্থতা অনুভব করেন। তখন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি হার্ট এ্যাটাক করেছেন বলে বিষয়টি জানা যায়। পরে তাকে ঢাকা নেওয়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমারশীল মোড়স্থ আইসিও স্প্যাশালাইজড হাসপাতালে তাকে আইসিওর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তবে বিকাল পৌনে ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২১ বিসিএস এর ক্যাডার। ২০২১সালে ২৩জুন তত্ত্বাবধায়ক পদে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিযুক্ত হন।