চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ফেসবুক লাইভে এসে জুম্মান খাঁ (৩৫) নামে মাদকাসক্ত এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
৮ নভেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার সাগরদীঘি (পূর্ব পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি উপজেলার মোগলটুলা এলাকার রমজান খাঁর ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, জুম্মান নেশাগ্রস্ত ও মাদক কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার নামে সরাইল থানায় মাদক মামলা রয়েছে। মাদক কেনা-বেচার কারণে জুম্মানের সঙ্গে তার বাবা-মা ও কোনো আত্মীয় স্বজনের যোগাযোগ ছিল না। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে পূর্ব পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি হতাশায় ভুগতেন। সেই হতাশা থেকে বিকেলে নিজের শোবার ঘরে ফেসবুক লাইভে এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জানারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ’ শুরু হয়েছে। এ সেবা সপ্তাহ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেবা সপ্তাহের প্রথম দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ বিস্তারিত কর্মসূচি পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার উদ্যোগে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে একটি র্যালি বের হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড় যাত্রীছাউনির সামনে থেকে বের হয়ে র্যালিটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় গণপরিবহন ও প্রাইভেটকার চালকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও খাবার বিতরণসহ তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। র্যালি শেষে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ও জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেবজুল করিমসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক পিকআপ চালক নিহত হয়েছেন।
আজ ৮ অক্টোবর রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় পিকআপে থাকা তৌহিদ নামে এক যুবক আহত হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ভোরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাথর বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে বাড়িউড়া নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপ চালক নিহত হয়।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরমানন্দপুর গ্রামের নূর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর-গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া (২৮), একই এলাকার মোঃ ফারুক মিয়া (৩৫), আবেদ মিয়া (২৫), হাফেজ মাহাদি হাছান (২৩) ও ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্বাস খাঁন (৩৮)।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আতদের মধ্যে মনির (৩০), রনি (৩২), মাহফুজ (৩০), বোরহান (৪৬), রুবেল (২৫), ফারুক (৩০), রামিম (১৫) এর নাম জানা গেছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। আমরা ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ২৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীর ভাই আজির উদ্দিন আহমেদ পান্নার সঙ্গে তরুণ দলের নেতা আরাফাত রহমান হৃদয়ের বিতণ্ডা হয়। এ সময় সরাইল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলম আরাফাতের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ নিয়ে দুলাল ও নুর আলমের মধ্যে বিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে দুই নেতার সমর্থকরা উপজেলা সদরের সড়কের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।